চট্টগ্রাম জেলা

চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পাহাড়, সমুদ্র, উপত্যকা, বন-বনানীর কারণে চট্টগ্রামের মতো ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশের আর কোন জেলার নেই।

চট্টগ্রাম
জেলা
বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°২০′১৫″ উত্তর ৯১°৫০′২০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
প্রতিষ্ঠাকাল১৬৬৬
আয়তন
  মোট৫২৮৩ কিমি (২০৪০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট৭৯,১৩,৩৬৫
  জনঘনত্ব১৫০০/কিমি (৩৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫৮.৯%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৪০০০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

আয়তন

চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার।[2] আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা

জনসংখ্যা

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৭৯,১৩,৩৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৯,৮৮,৫৫৩ জন এবং মহিলা ৩৯,২৪,৮১২ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১৪৯৮ জন। মোট জনসংখ্যার ৮৬% মুসলিম, ১২% হিন্দু এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[2]

অবস্থান ও সীমানা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবান জেলা, রাঙ্গামাটি জেলাখাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলাবঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ।[3]

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠাকাল

১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ জেলা ভেঙ্গে কক্সবাজার জেলা গঠিত হয়।[3]

নামকরণ

চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮টি নামের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‌ রম্যভুমি, চাটিগাঁ, চাতগাঁও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম ইত্যাদি। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ রয়েছে। পণ্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি "শ্যাত (খণ্ড)" অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী‌ এ থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। অপর এক মত অনুসারে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে বার জন আউলিয়া এসেছিলেন, তারা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় 'চাটি' অর্থ বাতি বা চেরাগ এবং 'গাঁও' অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় 'চাটিগাঁও'। আবার এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের মতে এ এলাকার একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। চট্টগ্রাম ১৬৬৬ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ হয়। আরাকানীদের হটিয়ে মুঘলরা এর নাম রাখে ইসলামাবাদ। মোগলরা এর প্রশাসনিক সীমানা চিহ্নিত করে। ১৭৬০ সালে নবাব মীর কাশিম আলী খান ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে এটি হস্তান্তর করেন। ব্রিটিশরা এর নাম রাখে 'চিটাগাং'।[4]

সাধারণ ইতিহাস

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী থেকেই আরবগণ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে পরিচিত ছিল। এশিয়ার ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন এমন বিখ্যাত পর্তুগিজদের মধ্যে প্রথম ঐতিহাসিক ডি বারোস ১৫৫২ সালে চট্টগ্রামকে এর বন্দরের জন্য বাংলারাজ্যের সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত ও সম্পদশালী নগরী বলে বর্ণনা করেছেন; যেখানে পূর্বাঞ্চলের সকল বাণিজ্য জাহাজ সমবেত হত। বর্মি ঘটনাপঞ্জিতে আরাকান অঞ্চলের নরপতিদের এক দীর্ঘ তালিকা পাওয়া যায়। ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে চট্টগ্রাম আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ সকল নরপতির নামের শেষে চন্দ্র পদবী যুক্ত ছিল। ঐতিহাসিক লামা তারনাথ গোপীচন্দ্র নামে এক বৌদ্ধরাজার নাম উল্লেখ করেছেন, দশম শতাব্দীতে যাঁর রাজধানী ছিল চট্টগ্রামে। তিব্বতি জনশ্রুতি মতে চট্টগ্রাম ছিল দশম শতাব্দীতে কর্মরত বৌদ্ধতান্ত্রিক তিলাযোগীর জন্মস্থান। বাংলার শাসক গিয়াসউদ্দীন তুঘলক বাংলাকে লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও ও তিনটি প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত করেন। ১৩৩৮ সালে ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ সোনারগাঁও এ ক্ষমতা দখল করেন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই চট্টগ্রাম অধিকার করেন। তিনি চাঁদপুর হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি মহাসড়ক এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি মসজিদ ও সমাধিসৌধ নির্মাণ করেন। শেরশাহ এর হাতে সুলতান গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ এর পতনের পর ১৫৩৮ হতে ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে পর্তুগিজরা চট্টগ্রামে ঘন ঘন আক্রমণ চালায় এবং প্রকৃতপক্ষে এ সময়ে চট্টগ্রাম তাদেরই শাসনাধীন ছিল। পরবর্তী ১২৮ বছর চট্টগ্রাম পতুর্গিজ ও মগ জলদস্যুদের আবাসস্থলে পরিণত হয়। মুঘলদের চট্টগ্রাম বিজয়ের ফলে সার্বিকভাবে এ জেলায় এবং বিশেষ করে নগরীতে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য পর্তুগিজদের অধিকারে থাকাকালে চট্টগ্রাম নগরী ও বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ সুখ্যাতি অর্জন করে। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রধানত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে দিনে দিনে কলকাতার উত্থান ও উন্নয়নের ফলে এতদঞ্চলে চট্টগ্রাম গুরুত্ব হ্রাস পায়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং পূর্ববাংলা ও আসাম নিয়ে প্রদেশ সৃষ্টি হলে চট্টগ্রাম পুনরায় প্রাধান্য লাভ করে। আসামবেঙ্গল রেলওয়ে নির্মাণের ফলে এর প্রাকৃতিক পশ্চাদভূমির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সংযোগ সাধিত হয় এবং সার্বিকভাবে চট্টগ্রাম ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।

১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের সময় ৩৪তম বেঙ্গল পদাতিক রেজিমেন্টের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ কোম্পানীগুলি চট্টগ্রামে মোতায়েন ছিল। ১৮ নভেম্বর রাতে উল্লিখিত তিনটি কোম্পানী বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং জেল থেকে সকল বন্দী মুক্ত করে সিপাহিরা ৩টি সরকারি হাতি, গোলাবারুদ ও ধনসম্পদ নিয়ে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। তারা পার্বত্য ত্রিপুরার সীমান্ত পথ ধরে এগিয়ে সিলেট ও কাছাড়ে পৌঁছে । দূর্ভাগ্যবশত তাদের সকলেই কুকি স্কাউটস এবং পরবর্তীকালে দশম গোর্খা রাইফেল নামে পরিচিত সিলেট লাইট ইনফ্যান্ট্রির হাতে নিহত বা বন্দী হয়।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে ৭০০ যুবক কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আর্টিলারী কোরের অস্ত্রাগার ও গোলাবারুদের ভাণ্ডার আক্রমণ করে, টেলিফোন ও টেলিফোন অফিস দখল করে এবং ধুম নামক স্থানে রেলপথের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাছাড়া মাস্টারদা নামে খ্যাত ব্রিটিশ রাজের ভীত কাঁপানো এ বিপ্লবীর তত্ত্বাবধানে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার নামে এক উচ্চ শিক্ষিতা বিপ্লবী নারীর নেতৃত্বে পাহাড়তলীতে অবস্থিত ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ করে তা ধ্বংস করে দেয়া হয়। ক্লাব ধ্বংস করে ফেরার পথে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে মহীয়ষী এ নারী পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে সূর্যসেন ইংরেজ শাসকগণ কর্তৃক গ্রেফতার হন এবং ১৯৩৩ সালের ২০ এপ্রিল তাকে ফাঁসি দেয়া হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশগণ চট্টগ্রামকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে চট্টগ্রাম জাপানি আক্রমণের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়। ১৯৪২ সালের এপ্রিলে পতেঙ্গার বিমানঘাঁটিতে পর পর দুদিন এবং ঐ বছর ২০ ও ২৪ ডিসেম্বর পুনরায় বোমাবর্ষণ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাটে অবস্থিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২০ এপ্রিল ক্যাপ্টেন অলি আহমদের নেতৃত্বে মীরসরাই সদরের দক্ষিণে ফেনাফুনি ব্রীজের পাশে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় এবং যুদ্ধে পাকবাহিনীর প্রায় ১০০ সৈন্য নিহত হয়। ১৩ এপ্রিল পাকবাহিনী রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তরপাড়ায় ৪৮ জন এবং জগৎমল্লাপাড়ার ৩৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। আনোয়ারা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর কাফকো, কালীগঞ্জ, পরৈকোড়া প্রভৃতি স্থানে সংঘটিত লড়াইয়ে প্রায় ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। পাকসেনারা আমিরাবাদ বণিক পাড়ায় ১৫ জন গ্রামবাসীকে নৃসংশভাবে হত্যা করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা জোটপুকুরিয়ায় ১৭ জন রাজাকারকে হত্যা করে। পটিয়া সদরে পাকবাহিনীর দুটি বোমারু বিমান থেকে কয়েক দফা বোমা হামলা চালালে কিছু সংখ্যক বেসামরিক লোক হতাহত হয়। ৩ মে এ উপজেলার মুজাফফরাবাদ গ্রামে পাকবাহিনী অসংখ্য ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। পাকবাহিনী ১৯ মে বাঁশখালীতে ৭৫ জন নারী-পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং অক্টোবর মাসে নাপোড়া গ্রামে ৮৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। বাড়বকুণ্ড ক্যামিক্যালস ব্রীজের কাছে পাকবাহিনীর সাথে লড়াইয়ে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৩ অক্টোবর কধুরখীল দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গণে পাকবাহিনী গণহত্যা চালায় এবং নাজিরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম শহর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দোহাজারীতে স্থানান্তর করা হয়।[3]

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
  • গণকবর: ৯টি

(পিটিআই প্রাঙ্গন, নাজিরহাট, করেরহাট, লেলাং চা বাগান, দরবার শরীফ, বাগানবাড়ি, দাঁতমারা উল্টোবিট, বাঁশখালী, জোটপুকুরিয়া)

  • বধ্যভূমি: ১৩টি
  • স্মৃতিস্তম্ভ: ৯টি

[3]

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

চট্টগ্রাম জেলা ৪১ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৫টি উপজেলা, ৩৩টি থানা (উপজেলায় ১৭টি ও ১৬টি মেট্রোপলিটন থানা), ১৫টি পৌরসভা, ১৯০টি ইউনিয়ন, ৮৯০টি মৌজা, ১২৬৭টি গ্রাম ও ১৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।[5][6]

মেট্রোপলিটন থানা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মোট ১৬টি মেট্রোপলিটন থানা রয়েছে। মেট্রোপলিটন থানাগুলো হল:

ক্রম নংমেট্রোপলিটন থানাআওতাধীন প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
০১আকবর শাহ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের পূর্বাংশ এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণাংশ (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত অংশ)
০২ইপিজেড৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের পূর্বাংশ ও ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্বাংশ
০৩কর্ণফুলিকর্ণফুলি উপজেলার সকল ইউনিয়ন, পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়ন, বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়ন এবং আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের আংশিক (কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত অংশ)
০৪কোতোয়ালী১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের দক্ষিণাংশ, ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড, ২১নং জামালখান ওয়ার্ড, ২২নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড, ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডের উত্তরাংশ, ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের উত্তরাংশ এবং ৩৫নং বকশীর হাট ওয়ার্ডের পশ্চিমাংশ
০৫খুলশী৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের পশ্চিমাংশ, ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড এবং ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ড
০৬চকবাজার৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের পূর্বাংশ, ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের উত্তরাংশ এবং ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড
০৭চান্দগাঁও৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড, ৫নং মোহরা ওয়ার্ড এবং ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড
০৮ডবলমুরিং১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের দক্ষিণাংশ, ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড, ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের পূর্বাংশ, ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড, ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ড এবং ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের উত্তরাংশ
০৯পতেঙ্গা৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের পশ্চিমাংশ, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পশ্চিমাংশ এবং ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড
১০পাহাড়তলী১০নং উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের পশ্চিমাংশ, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলি ওয়ার্ডের উত্তরাংশ এবং ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের উত্তরাংশ
১১পাঁচলাইশ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড এবং ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের মধ্যাংশ
১২বন্দর৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের দক্ষিণাংশ, ৩৭নং উত্তর মধ্য হালিশহর ওয়ার্ড এবং ৩৮নং দক্ষিণ মধ্য হালিশহর ওয়ার্ড
১৩বাকলিয়া১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড, ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড এবং ৩৫নং বকশীর হাট ওয়ার্ডের পূর্বাংশ
১৪বায়েজিদ বোস্তামী২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড এবং ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড
১৫সদরঘাট২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড, ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড, ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডের দক্ষিণাংশ, ৩৩নং ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড এবং ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের দক্ষিণাংশ
১৬হালিশহর১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের দক্ষিণাংশ, ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের পশ্চিমাংশ, ২৫নং রামপুর ওয়ার্ড এবং ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড

উপজেলাসমূহ

চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৫টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

ক্রম নং উপজেলা আয়তন
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ
০১ আনোয়ারা ১৬৪.১৩ কর্ণফুলি ইউনিয়ন (১টির আংশিক): বৈরাগ (আংশিক)
আনোয়ারা ইউনিয়ন (১০টি ও ১টির আংশিক): বৈরাগ (আংশিক), বারশত, রায়পুর, বটতলী, বরুমছড়া, বারখাইন, আনোয়ারা, চাতরী, পরৈকোড়া, হাইলধর এবং জুঁইদণ্ডী
০২ কর্ণফুলি ৮৩.৩৩ কর্ণফুলি ইউনিয়ন (৫টি): চর লক্ষ্যা, জুলধা, চর পাথরঘাটা, বড় উঠান এবং শিকলবাহা
০৩ চন্দনাইশ ২০১.৯৯ চন্দনাইশ পৌরসভা (২টি): চন্দনাইশ এবং দোহাজারী
ইউনিয়ন (৮টি): কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, বরকল, বরমা, বৈলতলী, সাতবাড়িয়া, হাশিমপুর এবং ধোপাছড়ি
০৪ পটিয়া ২৪৭.৩৮ কর্ণফুলি ইউনিয়ন (১টি): কোলাগাঁও
পটিয়া পৌরসভা (১টি): পটিয়া
ইউনিয়ন (১৬টি): হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, জিরি, কাশিয়াইশ, আশিয়া, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, ধলঘাট, কেলিশহর, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূর্ষি, ভাটিখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, খরনা এবং শোভনদণ্ডী
০৫ ফটিকছড়ি ৭৭৩.৫৫ ভূজপুর ইউনিয়ন (৬টি): বাগানবাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি এবং সুয়াবিল
ফটিকছড়ি পৌরসভা (২টি): ফটিকছড়ি এবং নাজিরহাট
ইউনিয়ন (১২টি): পাইন্দং, কাঞ্চননগর, সুন্দরপুর, লেলাং, নানুপুর, রোসাংগিরী, বখতপুর, জাফতনগর, ধর্মপুর, সমিতিরহাট, আবদুল্লাহপুর এবং খিরাম
০৬ বাঁশখালী ৩৯২ বাঁশখালী পৌরসভা (১টি): বাঁশখালী
ইউনিয়ন (১৪টি): পুকুরিয়া, সাধনপুর, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কালীপুর, বৈলছড়ি, কাথরিয়া, সরল, গণ্ডামারা, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া এবং শেখেরখীল
০৭ বোয়ালখালী ১৩৭.২৭ কর্ণফুলি ইউনিয়ন (১টি): পশ্চিম গোমদণ্ডী
বোয়ালখালী পৌরসভা (১টি): বোয়ালখালী
ইউনিয়ন (৮টি): কধুরখীল, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, শ্রীপুর খরণদ্বীপ, আমুচিয়া এবং আহলা করলডেঙ্গা
০৮ মীরসরাই ৪৮২.৮৮ জোরারগঞ্জ পৌরসভা (১টি): বারৈয়ারহাট
ইউনিয়ন (৮টি): করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, ধুম, ওসমানপুর, ইছাখালী, কাটাছড়া এবং দুর্গাপুর
মীরসরাই পৌরসভা (১টি): মীরসরাই
ইউনিয়ন (৮টি): মীরসরাই, মিঠানালা, মঘাদিয়া, খৈয়াছড়া, মায়ানী, হাইতকান্দি, ওয়াহেদপুর এবং সাহেরখালী
০৯ রাউজান ২৪৬.৫৮ রাউজান পৌরসভা (১টি): রাউজান
ইউনিয়ন (১৪টি): হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর, গহিরা, বিনাজুরী, রাউজান, কদলপুর, পাহাড়তলী, পূর্ব গুজরা, পশ্চিম গুজরা, উরকিরচর, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান এবং নওয়াজিশপুর
১০ রাঙ্গুনিয়া ৩৪৭.৭২ রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা (১টি): রাঙ্গুনিয়া
ইউনিয়ন (১১টি): রাজানগর, হোসনাবাদ, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, মরিয়মনগর, পারুয়া, পোমরা, বেতাগী, চন্দ্রঘোনা কদমতলী, ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর এবং লালানগর
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন (৪টি): সরফভাটা, শিলক, পদুয়া এবং কোদালা
১১ লোহাগাড়া ২৫৮.৮৭ লোহাগাড়া ইউনিয়ন (৯টি): বড়হাতিয়া, আমিরাবাদ, পদুয়া, চরম্বা, কলাউজান, লোহাগাড়া, পুটিবিলা, চুনতি এবং আধুনগর
১২ সন্দ্বীপ ২০৭.২০ সন্দ্বীপ পৌরসভা (১টি): সন্দ্বীপ
ইউনিয়ন (১৪টি): উড়িরচর, গাছুয়া, সন্তোষপুর, কালাপানিয়া, হরিশপুর, বাউরিয়া, মুছাপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা, হারামিয়া এবং আমানউল্যা
১৩ সাতকানিয়া ২৮২.৪০ সাতকানিয়া পৌরসভা (১টি): সাতকানিয়া
ইউনিয়ন (১৭টি): চরতী, খাগরিয়া, নলুয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইশ, এওচিয়া, মাদার্শা, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, কেঁওচিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরাণগড়, ছদাহা, সাতকানিয়া এবং সোনাকানিয়া
১৪ সীতাকুণ্ড ২৭৩.৪৭ সীতাকুণ্ড পৌরসভা (১টি): সীতাকুণ্ড
ইউনিয়ন (৮টি ও ১টির আংশিক): সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী এবং সলিমপুর (আংশিক)
আকবর শাহ ইউনিয়ন (১টির আংশিক): সলিমপুর (আংশিক)
১৫ হাটহাজারী ২৪৬.৩২ হাটহাজারী ওয়ার্ড (চসিক) (১টি): ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী
পৌরসভা (১টি): হাটহাজারী
ইউনিয়ন (১৪টি): ফরহাদাবাদ, ধলই, মির্জাপুর, গুমানমর্দন, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী, মেখল, গড়দুয়ারা, উত্তর মাদার্শা, ফতেপুর, চিকনদণ্ডী, দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর এবং বুড়িশ্চর

সংসদীয় আসন

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[7] সংসদ সদস্য[8][9][10][11][12] রাজনৈতিক দল
২৭৮ চট্টগ্রাম-১ মীরসরাই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৭৯ চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি উপজেলা সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮০ চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ উপজেলা মাহফুজুর রহমান মিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮১ চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড দিদারুল আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮২ চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী উপজেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
২৮৩ চট্টগ্রাম-৬ রাউজান উপজেলা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮৪ চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা এবং বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮৫ চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী উপজেলা (শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত) এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩নং পাঁচলাইশ, ৪নং চান্দগাঁও, ৫নং মোহরা, ৬নং পূর্ব ষোলশহর৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড মইন উদ্দীন খান বাদল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮৬ চট্টগ্রাম-৯ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং বাগমনিরাম, ১৬নং চকবাজার, ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া, ২০নং দেওয়ান বাজার, ২১নং জামালখান, ২২নং এনায়েত বাজার, ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী, ৩১নং আলকরণ, ৩২নং আন্দরকিল্লা, ৩৩নং ফিরিঙ্গি বাজার, ৩৪নং পাথরঘাটা৩৫নং বকশীর হাট ওয়ার্ড মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮৭ চট্টগ্রাম-১০ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮নং শুলকবহর, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী, ১২নং সরাইপাড়া, ১৩নং পাহাড়তলী, ১৪নং লালখান বাজার, ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ, ২৫নং রামপুরা২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড ডাঃ আফছারুল আমীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮৮ চট্টগ্রাম-১১ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮নং পাঠানটুলী, ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী, ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭নং উত্তর মধ্য হালিশহর, ৩৮নং দক্ষিণ মধ্য হালিশহর, ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড এম আবদুল লতিফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৮৯ চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া উপজেলা সামশুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৯০ চট্টগ্রাম-১৩ কর্ণফুলি উপজেলা এবং আনোয়ারা উপজেলা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৯১ চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ উপজেলা এবং সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর, পুরাণগড়খাগরিয়া ইউনিয়ন নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৯২ চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া উপজেলার চরতী, নলুয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইশ, এওচিয়া, মাদার্শা, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, ছদাহা, সাতকানিয়াসোনাকানিয়া ইউনিয়ন এবং লোহাগাড়া উপজেলা আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৯৩ চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী উপজেলা মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

শিক্ষা ব্যবস্থা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার সাক্ষরতার হার ৫৮.৯%।[13] এ জেলায় রয়েছে:

  • বিশ্ববিদ্যালয় : ১৩টি
    • সরকারি : ৫টি
    • বেসরকারি : ৮টি
    • পাবলিক : ৩টি
  • মেডিকেল কলেজ : ৩টি
  • আইন কলেজ : ৩টি
  • কলেজ : ১১৯টি
    • সরকারি (মাস্টার্স) : ৫টি
    • সরকারি (ডিগ্রী/অনার্স) : ২০টি
    • বেসরকারি (ডিগ্রী/অনার্স) : ৮২টি
    • সরকারি (উচ্চ মাধ্যমিক) : ১টি
    • বেসরকারি (উচ্চ মাধ্যমিক) : ২৬টি
  • মাদ্রাসা : ২৯৯টি
  • কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ১০টি
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৭১৯টি
    • সরকারি : ৫৮টি
    • বেসরকারি : ৬৩২টি
    • স্কুল এন্ড কলেজ : ২৯টি
  • নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৩২টি
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় : ২৯৯৭টি
    • সরকারি : ১৬৩৪টি
    • বেসরকারি : ৮৪৭টি
    • রেজিস্টার্ড : ৫১৯টি
    • পরীক্ষণ : ২টি
    • অন্যান্য (কিন্ডারগার্টেন সহ) : ৮৪২টি
  • শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র : ২টি
  • মেরিন একাডেমী : ১টি
  • মিলিটারী একাডেমী : ১টি
  • নেভাল একাডেমী : ১টি
  • মেরিন ফিসারীজ একাডেমী : ১টি
  • পাবলিক লাইব্রেরী : ৮টি

[2]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ভূ-প্রকৃতি

পাহাড়, নদী, সমুদ্র, অরণ্য, উপত্যকা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্যে এ জেলা অন্যান্য জেলা থেকে স্বতন্ত্র। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৩,১৯৪ মিলিমিটার।

নদ-নদী

চট্টগ্রাম জেলার প্রধান নদীর মধ্যে কর্ণফুলি নদী, হালদা নদী, সাঙ্গু নদী এবং মুহুরী নদী উল্লেখযোগ্য।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

আকাশপথ

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ জেলায় আকাশপথে যোগাযোগের মাধ্যম। ঢাকাসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন শহর থেকে বাংলাদেশ বিমান, জি এম জি, ইউনাইটেড এয়ার, ওমান এয়ার সহ আরও অনেক অপারেটর ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

সড়কপথ

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, হানিফ এন্টারপ্রাইজসহ অনেক এসি/নন-এসি বাস যাতায়াত করে থাকে।

রেলপথ

ঢাকা হতে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম হতে ঢাকার মাঝে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। তার মধ্যে তূর্ণা নিশিতা, পাহাড়িকা, মহানগর গোধূলী, মহানগর প্রভাতী, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইল অন্যতম। এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা শহরের সাথেও চট্টগ্রামের রেল যোগযোগ রয়েছে।[14]

ভাষা ও সংস্কৃতি

বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত চট্টগ্রাম জেলার জাতীয় ভাষা 'বাংলা' হলেও এ জেলার একটি নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে, যেটি 'চাঁটগাঁইয়া ভাষা' নামে পরিচিত। এ ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার অধিকাংশ লোক এ ভাষায় কথা বলে।

চট্টগ্রাম জেলা নানান লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। মুসলমান সম্প্রদায়ের মেজবান এ জেলার একটি ঐতিহ্য। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো যথাযোগ্য মর্যাদা আর আনুষ্ঠানিকতায় পালন করে থাকে। এছাড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী উৎসব, বিয়ে, চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ, হালখাতা, পূণ্যাহ, নবান্ন, পৌষ পার্বন, অন্ন প্রাশন উপলক্ষে এ জেলার জনগোষ্ঠী লোকজ অনুষ্ঠান পালন করে।

অর্থনীতি

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সর্বমোট রপ্তানী বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয়। অন্যদিকে আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ হার ৮০ ভাগ। রাজস্ব আয়েও চট্টগ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগ আসে চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে।[15] বাংলাদেশের প্রথম রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল হিসাবে ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রামের হালিশহরে ৪৫৩ একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয় চট্টগ্রাম ইপিজেড। এটা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩.১০ কিলোমিটার এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মাত্র ১.৩০ কিলোমিটার দুরত্বে হওয়ায় শিল্প পার্ক হিসাবে দ্রুত প্রসার লাভ করেছ। চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর।

শিল্প প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প (সীতাকুণ্ড)
  • ইস্টার্ন রিফাইনারি
  • কাফকো
  • সিইউএফএল
  • টিএইচপি কমপ্লেক্স
  • পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপ
  • যমুনা অয়েল
  • এস আলম গ্রুপ
  • টি কে গ্রুপ
  • কেডিএস গ্রুপ
  • প্যাসিফিক গ্রুপ
  • এয়ারবেল
  • শাহ আমিন গ্রুপ
  • পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস
  • ইউনিলিভার
  • গ্ল্যাক্সো
  • বি এস আর এম
  • এ কে খান গ্রুপ
  • ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড

[15]

প্রাকৃতিক সম্পদ

খনিজ সম্পদ

জেলার একমাত্র গ্যাস ফিল্ড সাঙ্গু ১৯৯৪ সালে আবিস্কৃত হয়। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কেয়ার্ন এনার্জির এই গ্যাস ফিল্ড নিয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।[16]

কৃষি সম্পদ

তামাক

১৯৬০ এর দশকে শংখ ও মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় তামাক চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি (এখন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানী) রাঙ্গুনিয়াতে তামাক চাষের ব্যবস্থা করে এবং পরে লাভজনক হওয়ায় চাষীরা তা অব্যাহত রাখে।[16]

লবণ

সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় লবণ চাষ লাভজনক। ইতিহাসে দেখা যায়, ১৭৯৫ সালে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে গড়ে বার্ষিক ১৫ লাখ টন লবণ উৎপন্ন হত।[16]

প্রাণীজ সম্পদ

চট্টগ্রাম জেলায় মাছ চাষের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। সমুদ্র এবং নদী-নালার প্রাচূর্য এর মূল কারণ। শহরের অদূরের হালদা নদীর উৎসমুখ থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত মিঠা পানির প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হিসাবে বেশ উর্বর। বৃহত্তর চট্টগ্রামে দীঘি, বিল ও হাওড়ের সংখ্যা ৫৬৮, পুকুর ও ডোবার সংখ্যা ৯৫,৯৪১। মোট আয়তন ৮৫,৭০০ একর (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ১৯৮১), কর্ণফুলি নদীর মোহনায় প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার একর বিস্তৃত মাছ ধরার জায়গা হিসাবে চিহ্নিত। মৎস্য চাষ ও আহরণ রপ্তানির ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ হাঙ্গর, স্কেট, রে, হেরিং, শার্কফিন এবং চিংড়ি উল্লেখ্য। চট্টগ্রামের মাছ চাষ ও আহরণের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল শুটকি (মাছ শুকিয়ে সংরক্ষণ করা)। সোনাদিয়া, সন্দ্বীপ প্রভৃতি দ্বীপাঞ্চল থেকে শুটকি মাছ চট্টগ্রামের বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়। ব্রিটিশ আমলে শুটকি রেঙ্গুনে রপ্তানি করা হত।[16]

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান

সাহিত্য

চট্টগ্রামে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ শুরু হয় ষোড়শ শতকে। সে সময়কার চট্টগ্রামের শাসক পরাগল খাঁ এবং তার পুত্র ছুটি খাঁর সভাকবি ছিলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বরশ্রীকর নন্দী[17] কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারতের অশ্বমেধ পর্বের একটি সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ করেন। আর শ্রীকর নন্দী জৈমিনি সংহিতা অবলম্বনে অশ্বমেধ পর্বের বিস্তারিত অনুবাদ করেন।

মধ্যযুগ

কবি শাহ মোহাম্মদ ছগির, রহিমুন্নিসা, আলী রজা, মুহম্মদ মুকিম, কবি মুজাম্মিল, কবি আফজাল আলী, সাবিরিদ খান, কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, দৌলত উজির বাহরাম খান, হাজী মুহম্মদ কবির, কবি শ্রীধর, সৈয়দ সুলতান, শেখ পরান, মোহাম্মদ নসরুল্লা খাঁ, মুহাম্মদ খাঁ, নওয়াজিশ খান, করম আলী, কবি কাজি হাসমত আলী

আরাকানের রাজসভা

দৌলত কাজী, মহাকবি আলাওল, কোরেশী মাগন ঠাকুর, কবি মরদন এবং আব্দুল করিম খোন্দকার[18]

অষ্টম শতক থেকে পরবর্তীকাল

কবি আবদুল হাকিম, রামজীবন বিদ্যাভূষণ, ভবানী শঙ্কর দাস, নিধিরাম আচার্য, মুক্তারাম সেন, কবি চুহর, হামিদুল্লা খান, আস্কর আলী পণ্ডিত, রঞ্জিত রাম দাস, রামতনু আচার্য, ভৈরব আইচ, নবীন চন্দ্রদাস, নবীনচন্দ্র সেন, শশাঙ্ক মোহন সেনগুপ্ত, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, বেন্দ্রকুমার দত্ত, হেমেন্দ্র বালা দত্ত, পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী, আশুতোষ চৌধুরী, সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ।

আধুনিক যুগ

মাহাবুব উল আলম, আবুল ফজল, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, ওহীদুল আলম, ডক্টর আবদুল করিম, আহমদ শরীফ, আবদুল হক চৌধুরী, আহমদ ছফা, সুকুমার বড়ুয়া, মোহাম্মদ আমিন

কৃতী ব্যক্তিত্ব

আরও দেখুন

চট্টগ্রাম প্রবেশদ্বার

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে চট্টগ্রাম"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪
  2. "এক নজরে চট্টগ্রাম - চট্টগ্রাম জেলা - চট্টগ্রাম জেলা"www.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  3. "চট্টগ্রাম জেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  4. "জেলার ঐতিহ্য - চট্টগ্রাম জেলা - চট্টগ্রাম জেলা"www.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  5. "চট্টগ্রাম জেলা তথ্য বাতায়ন"। ২৭ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  6. "সিটিজি টাইমস"। ৩০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  7. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd
  8. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  9. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  10. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  11. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  12. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  13. "National Reports Union Statistics" (PDF)web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৯
  14. "যোগাযোগ ব্যবস্থা - চট্টগ্রাম জেলা - চট্টগ্রাম জেলা"www.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  15. "ব্যবসা বানিজ্য - চট্টগ্রাম জেলা - চট্টগ্রাম জেলা"www.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  16. "প্রাকৃতিক সম্পদ - চট্টগ্রাম জেলা - চট্টগ্রাম জেলা"www.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  17. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, সম্পাদনাঃ অঞ্জলি বসু, ৪র্থ সংস্করণ, ১ম খণ্ড, ২০০২, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, পৃ. ৭৬
  18. "দৈনিক প্রথম আলো"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭

বহিসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.