কক্সবাজার জেলা
কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের জেলা।
কক্সবাজার | |
---|---|
জেলা | |
![]() কক্সবাজার, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত | |
![]() বাংলাদেশে কক্সবাজার জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২১°২৬′ উত্তর ৯১°৫৯′ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ মার্চ, ১৯৮৪ |
আয়তন | |
• মোট | ২৪৯১.৮৬ কিমি২ (৯৬২.১১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২২,৮৯,৯৯০ |
• জনঘনত্ব | ৯২০/কিমি২ (২৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৯.৩০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৭০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ২২ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আয়তন
কক্সবাজার জেলার মোট আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার।[1]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২২,৮৯,৯৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৯৭,০৭৮ জন এবং মহিলা ১০,৯২,৯১২ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৯২০ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৩% মুসলিম, ৫% হিন্দু এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
অবস্থান ও সীমানা
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২০°৩৫´ থেকে ২১°৫৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে কক্সবাজার জেলার অবস্থান।[1] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৪০২ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা; পূর্বে বান্দরবান জেলা, নাফ নদী ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠাকাল
১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা গঠিত হয় এবং ঐ বছরই কক্সবাজার, চকরিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফ থানার সমন্বয়ে কক্সবাজার মহকুমা গঠিত হয়। পরে টেকনাফ থেকে উখিয়া, মহেশখালী থেকে কুতুবদিয়া এবং কক্সবাজার সদর থেকে রামু থানাকে পৃথক করে এই মহকুমার অধীনে তিনটি নতুন থানা গঠিত হয়। ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলাকে টাউন কমিটিতে রূপান্তর করা হয়। ১৯৭২ সালে টাউন কমিটি বিলুপ্ত করে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ কক্সবাজার মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৩ এপ্রিল বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা থেকে পেকুয়া উপজেলাকে পৃথক করা হয়।[1]
নামকরণ
কক্সবাজারের প্রাচীন নাম পালংকী। একসময় এটি প্যানোয়া নামে পরিচিত ছিল। প্যানোয়া শব্দটির অর্থ হলুদ ফুল। অতীতে কক্সবাজারের আশপাশের এলাকাগুলো এই হলুদ ফুলে ঝকমক করত। ইংরেজ অফিসার ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে এখানে একটি বাজার স্থাপন করেন। কক্স সাহেবের বাজার থেকে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি।[2]
সাধারণ ইতিহাস
আরব ব্যবসায়ী ও ধর্ম প্রচারকগণ অষ্টম শতকে চট্টগ্রাম ও আকিব বন্দরে আগমন করেন। এই দুই বন্দরের মধ্যবর্তী হওয়ায় কক্সবাজার এলাকা আরবদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। নবম শতাব্দীতে কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম হরিকেলার রাজা কান্তিদেব দ্বারা শাসিত হত। ৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে আরাকান রাজা সুলাত ইঙ্গ চন্দ্র চট্টগ্রাম দখল করে নেবার পর থেকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ। ১৬৬৬ সালে মুঘলরা চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। মুঘল সেনাপতি বুজুর্গ ওমেদ খান কর্ণফুলির দক্ষিণের মাঘ কেল্লা দখল করে নেন এবং আরাকানবাসী রামু কেল্লাতে আশ্রয় নেয়, যা কিনা পরে মুঘলরা হঠাৎ আক্রমণ করে দখল করে নেয়। কক্সবাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চাষীদের মাঝে জমি বিতরণের এক উদারনীতি পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে চট্টগ্রাম ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এই এলাকায় আসতে থাকে। বার্মা রাজ বোধাপায়া (১৭৮২-১৮১৯) ১৭৮৪ সালে আরাকান দখল করে নেন। প্রায় ১৩ হাজার আরাকানী বার্মারাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৭৯৯ সালে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায়। এদের পুনর্বাসন করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হিরাম কক্সকে নিয়োগ দেয়। প্রতি পরিবারকে ২.৪ একর জমি এবং ছয় মাসের খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছিল। এ সময় ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। যা কক্স সাহেবের বাজার পরিচিত হয় স্থানীয়দের মাঝে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তার অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকেই কক্সবাজার জেলার নামের উৎপত্তি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হিরাম কক্স ১৭৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[1]
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী চকরিয়ায় ১৩ জন লোককে হত্যা করে এবং বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ও দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়। এসময় পাকবাহিনী টেকনাফ ডাকবাংলোতে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং রামু, উখিয়া ও টেকনাফ থেকে প্রায় ২৫০জন নিরীহ লোককে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে।[1]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- স্মৃতিস্তম্ভ ৩টি
- বধ্যভূমি ১টি
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কক্সবাজার জেলা ৮টি উপজেলা, ৮টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৭১টি ইউনিয়ন, ১৮৮টি মৌজা, ৯৯২টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।[2]
উপজেলাসমূহ
কক্সবাজার জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:[3]
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[4] | সংসদ সদস্য[5][6][7][8][9] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৯৪ কক্সবাজার-১ | চকরিয়া উপজেলা এবং পেকুয়া উপজেলা | জাফর আলম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৯৫ কক্সবাজার-২ | কুতুবদিয়া উপজেলা এবং মহেশখালী উপজেলা | আশেক উল্লাহ রফিক | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৯৬ কক্সবাজার-৩ | কক্সবাজার সদর উপজেলা এবং রামু উপজেলা | সাইমুম সরওয়ার কমল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৯৭ কক্সবাজার-৪ | উখিয়া উপজেলা এবং টেকনাফ উপজেলা | শাহিনা আক্তার চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
শিক্ষা ব্যবস্থা
কক্সবাজার জেলার সাক্ষরতার হার ৩৯.৩০।[1] এ জেলায় রয়েছে:
- বিশ্ববিদ্যালয় : ১টি
- মেডিকেল কলেজ : ১টি
- স্নাতকোত্তর কলেজ : ২টি
- কামিল মাদ্রাসা : ৪টি
- ডিগ্রী কলেজ : ১১টি
- ফাজিল মাদ্রাসা : ১২টি
- উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ : ১৯টি
- আলিম মাদ্রাসা : ১৯টি
- কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট : ১টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় :১৪০টি
- দাখিল মাদ্রাসা : ১০৪টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৫২টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৭০১টি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ভূ-প্রকৃতি
চট্টগ্রাম জেলার মত কক্সবাজার জেলাও পাহাড়, নদী, সমুদ্র, অরণ্য, উপত্যকা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্যে অন্যান্য জেলা থেকে স্বতন্ত্র। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৩,৩৭৮ মিলিমিটার।[2] উপকুলবর্তী এলাকা হওয়ায় এ জেলা প্রায়ই সামুদ্রিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, হারিকেন, সাইক্লোন ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হয়।
নদ-নদী
কক্সবাজার জেলার মূল ভূখণ্ডের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রধান প্রধান নদীগুলো হল মাতামুহুরী নদী, বাঁকখালী নদী ও রেজু খাল। মায়ানমার সীমান্তে প্রবাহিত হচ্ছে নাফ নদী। এছাড়া কুতুবদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপদ্বয়কে কক্সবাজার জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক করেছে যথাক্রমে কুতুবদিয়া চ্যানেল ও মহেশখালী চ্যানেল। আবার মহেশখালী উপজেলা থেকে মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নদ্বয়কে পৃথক করেছে কোহেলিয়া নদী।[10]
দ্বীপ ও বনাঞ্চল
- প্রধান দ্বীপ
- মহেশখালী
- কুতুবদিয়া
- সোনাদিয়া
- সেন্টমার্টিন (নারিকেল জিঞ্জিরা)
- শাহপরীর দ্বীপ
- মাতারবাড়ী
- ছেঁড়া দ্বীপ
- প্রধান বন
- ফুলছড়ি রেঞ্জ
- ভুমারিয়াঘোনা রেঞ্জ
- মেহেরঘোনা রেঞ্জ
- বাঁকখালী রেঞ্জ
যোগাযোগ ব্যবস্থা
- আকাশপথ
কক্সবাজার বিমানবন্দর এ জেলায় আকাশপথে যোগাযোগের মাধ্যম। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে বাংলাদেশ বিমান সহ আরও বিভিন্ন ফ্লাইটে যোগাযোগ করা যায়।
- সড়কপথ
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, হানিফ এন্টারপ্রাইজসহ অনেক এসি/নন-এসি বাস যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে মার্সা নামের একটি গাড়ী বেশ আলোচিত, চট্টগ্রাম যাতায়াত করার জন্য।
ভাষা ও সংস্কৃতি
কক্সবাজার জেলার মানুষ সাধারণত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে, তবে কথ্য ভাষায় অনেক ক্ষেত্রে কক্সবাজার কেন্দ্রিক শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিকভাবে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে বর্তমান মায়ানমার (পূর্বে যাকে আরাকান নামে অভিহিত করা হত) এর সাথে ব্যাপক যোগাযোগের সম্পর্ক ছিল যা এখনও সীমিত আকারে হলেও অটুট রয়েছে। এ কারণে আরকানের ভাষার কিছু কিছু উপাদান কক্সবাজারের কথ্য ভাষায় মিশ্রিত হয়ে গেছে। এ উপজেলায় নৃতাত্বিক রাখাইন জনগোষ্ঠী বসবাস করে। এদের ভাষার প্রভাবও স্থানীয় ভাষায় লক্ষ্য করা যায়।[11]
সমুদ্র তীরবর্তী শহর হিসেবে কক্সবাজার জেলার সংস্কৃতি মিশ্র প্রকৃতির। পূর্ব হতেই বার্মার সাথে এ অঞ্চলের মানুষের সম্পর্ক থাকায় এবং রাখাইন নামক নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করায় কক্সবাজারে বাঙালী এবং বার্মিজ সংস্কৃতির এক অভূতপুর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে রাখাইন সঙ্গীত এবং নৃত্যকলা এ অঞ্চলতো বটেই বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এছাড়া চাকমাও কক্সবাজার জেলায় বহু শতাব্দী ধরে বসবাস করে আসছে তারা মূলত উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলাতে বসবাস করে।কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী চাকমারকূল ও রাজারকূল চাকমাদের স্মৃতি বহন করে। সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ প্রাচীনকাল হতেই নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং উত্তাল সাগরের সাথে সংগ্রাম করে টিকে রয়েছে বিধায় স্থানীয় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যম ও উপস্থাপনায় সংগ্রামের সেই চিত্র ফুটে ওঠে, বিশেষ করে জেলে সম্প্রদায়ের প্রাত্যাহিক জীবন।[11]
পর্যটন

পৃথিবীর দীর্ঘতম (১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একটি বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ২ শতাধিক বড় হোটেল, ৫ শতাধিক অন্যান্য হোটেল রয়েছে। এখানে একটি ঝিনুক মার্কেট ও একটি বার্মিজ মার্কেট রয়েছে, যেখানে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।
অর্থনীতি
প্রধান পেশা: কৃষি, মৎস্যজীবি, কৃষি শ্রমিক, মজুর, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য।
প্রধান শস্য: ধান, আলু, ডাল, পিঁয়াজ, হলুদ, আঁদা, গম, আঁখ, তামাক, রাবার, সবজী, পান, সুপারি।
প্রধান ফল: আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, নারিকেল, লিচু, পেয়ারা, তাল।
কারখানা ও প্রতিষ্ঠান: চালের কল ৪৭৩টি, লবণের কল ৩৮টি, বরফের কল ৬৪টি, ময়দার কল ১৪৫টি, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (শুঁটকি) শিল্প ৩১টি, মৎস্য-খাদ্য কল ১টি, স'মিল, ছাপাখানা ১৮টি।
খনিজ পদার্থ: প্রাকৃতিক গ্যাস, জিরকন, লিমেনাইট, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, মোনাজাইট, কোরালিন, লাইমস্টোন।
রপ্তানি পণ্য: পান, সুপারি, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, চীনাবাদাম, কাঠ, চিংড়ি, শুঁটকি, লবণ, তামাক, মাছ, নারিকেল, রাবার।
দর্শনীয় স্থান
- অগ্গমেধা বৌদ্ধ বিহার
- আদিনাথ মন্দির
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- ইলিশিয়া জমিদার বাড়ি
- কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- কক্সবাজার বিমানবন্দর
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- কক্সবাজার সরকারি কলেজ
- ছেঁড়া দ্বীপ
- টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
- নাফ নদী
- ফাসিয়াখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম
- মগনামা ঘাট
- মাথিন কূপ, টেকনাফ
- মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান
- মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার
- রাখাইন পাড়া
- রামু সেনানিবাস
- রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার
- শাহ ওমরের সমাধি, চকরিয়া
- শাহপরীর দ্বীপ
- শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
- সাতগম্বুজ মসজিদ, মানিকপুর
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক[
- সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- হিমছড়ি
- হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- অজিত কুমার রায় বাহাদুর –– জমিদার।[15]
- আবুল কালাম আজাদ –– প্রথম জিপি, কক্সবাজার আইনজীবী সমিতি।[16]
- আলাউদ্দিন শাহ –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব।[17]
- আশেক উল্লাহ রফিক –– রাজনীতিবিদ।
- আহমেদুল হক সিদ্দিকী –– গীতিকার ও লোকশিল্পী।
- এস এম নুরুল হক –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।[17]
- ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।[17]
- খোরশেদ আরা হক –– রাজনীতিবিদ।
- জাফর আলম –– রাজনীতিবিদ।
- তৌহিদুল আলম সবুজ –– ফুটবলার।
- নুরুল হক শাহ (ডুলা ফকির) –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব।[17]
- নুরুল হুদা –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মমিনুল হক –– ক্রিকেটার।
- মুহাম্মদ আবদুর রশিদ সিদ্দিকী –– বাঙালি সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।
- মুহম্মদ নূরুল হুদা –– কবি, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সমালোচক।
- মোহাম্মদ ইলিয়াছ –– রাজনীতিবিদ।
- শফিউল আলম –– মন্ত্রীপরিষদ সচিব।
- শাহীন আক্তার –– রাজনীতিবিদ।
- শিরিন আক্তার –– শিক্ষাবিদ।
- সত্যপ্রিয় মহাথের –– বৌদ্ধ পণ্ডিত।
- সমরজিৎ রায় –– সঙ্গীতশিল্পী।[17]
- সাইমুম সরওয়ার কমল –– রাজনীতিবিদ।
- সালাহউদ্দিন আহমেদ –– রাজনীতিবিদ।
- হেলালুদ্দীন আহমদ –– স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব।
চিত্রশালা
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- সূর্যাস্ত
- মহেশখালী উপজেলায় লবণ চাষের মাঠ
- সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন
- কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- সূর্যাস্ত
- কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ
- কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ
- হিমছড়ি
- হিমছড়ি
তথ্যসূত্র
- "কক্সবাজার জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- "এক নজরে কক্সবাজার - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। www.coxsbazar.gov.bd।
- "উপজেলা - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। www.coxsbazar.gov.bd।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "নদ নদী - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। www.coxsbazar.gov.bd।
- "ভাষা ও সংস্কৃতি - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। coxsbazar.gov.bd। ১০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৮।
- "Longest Unbroken Sea beach Cox's Bazar - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। coxsbazar.gov.bd।
- "পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। coxsbazar.gov.bd।
- "দর্শনীয়স্থান - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। coxsbazar.gov.bd।
- "মহেশখালী হাইস্কুল জাতীয়করণের দাবি - সারাদেশ - The Daily Ittefaq"।
- http://www.coxsbazarnews.com/archives/144632.html
- "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব - কক্সবাজার জেলা - কক্সবাজার জেলা"। coxsbazar.gov.bd।