ঝিনাইদহ জেলা
ঝিনাইহ জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ঝিনাইদহ | ||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জেলা | ||||||||||
উপর থেকে: পায়রা চত্ত্বর, ঝিনাইদহ নুনগোলা মসজিদ, ঝিনাইদহ গলাকাটা মসজিদ, পীর পুকুর মসজিদ, পাঠাঘর ঢিবি, জোড় বাংলা মসজিদ, খড়ের ঢিবি এবং ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | ||||||||||
![]() বাংলাদেশে ঝিনাইদহ জেলার অবস্থান | ||||||||||
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′২৪″ উত্তর ৮৯°০′০″ পূর্ব ![]() | ||||||||||
দেশ | ![]() | |||||||||
বিভাগ | খুলনা বিভাগ | |||||||||
সরকার | ||||||||||
আয়তন | ||||||||||
• মোট | ১৯৬৪.৭৭ কিমি২ (৭৫৮.৬০ বর্গমাইল) | |||||||||
জনসংখ্যা (২০১১) | ||||||||||
• মোট | ১৭,৭১,৩০৪ | |||||||||
• জনঘনত্ব | ৯০০/কিমি২ (২৩০০/বর্গমাইল) | |||||||||
সাক্ষরতার হার | ||||||||||
• মোট | ৬২% | |||||||||
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) | |||||||||
পোস্ট কোড | ওয়েবসাইট &#৬১; http&#৫৮;//www.jhenaidah.gov.bd ![]() | |||||||||
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪৪ | |||||||||
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাস
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহাকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহাকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। [1]
এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। কথিত আছে যে, ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য ‘নবগঙ্গা’ নদী এবং ‘দহা’ নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। এই জেলার নাম ঝিনাইদহ “ঝিনুক” এবং “দাহ” শব্দদ্বয় থেকে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়।
ভৌগোলিক সীমানা
ভৌগোলিক বিস্তৃতি ২৩° ১৩' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩° ৪৬' উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮° ৪২' পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৯° ২৩' পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত। জেলার আয়তন ১৯৬৪.৭৭ বর্গ কিলোমিটার(৭৫৮.৬০ বর্গ মাইল)। ঝিনাইদহ জেলার পূর্ব পার্শ্বে মাগুরা জেলা, উত্তরে কুষ্টিয়া জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা, এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা ও বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা অবস্থিত। ৭টি নদ-নদী প্রবাহিত এ জেলার মধ্য দিয়ে: বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ও কুমার নদী। এ অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ প্রকৃতির ও সমভাবাপন্ন। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২২.২৪° সেলসিয়াস। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৫২.১৯০ সেন্টিমিটার।[1] [2]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
এই জেলা ৬টি উপজেলা, ৬৭ টি ইউনিয়ন, ৯৪৫ টি মউজা, ১১৪৪ টি গ্রাম, ৬টি পৌরসভা, ৫৪ টি ওয়ার্ড এবং ১৩৬ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। ঝিনাইদহ জেলার উপজেলা গুলো হল:
জনসংখ্যা
বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী, ঝিনাইদহ জেলার জনসংখ্যা হল ১৭,৭১,৩০৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব হল ৯০১.৫ জন/বর্গ কিমি। পুরুষ হল জনসংখ্যার ৫০.০৪% এবং মহিলা ৪৯.৯৬%। মুসলমানরা জনসংখ্যার ৯০.৩৯%, হিন্দু ৯.৪৮%, খ্রিস্টান ০.০৬% এবং অন্যান্যরা হল ০.০৮%। সাত বছর বা তার উপরের বয়সীদের মধ্যে ঝিনাইদহে সাক্ষরতার হার ৪৮.৪%।[3]
নদ-নদী
ঝিনাইদহ জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে কপোতাক্ষ নদী, নবগঙ্গা নদী, গড়াই নদী, কুমার নদ, ডাকুয়া নদী, বেতনা নদী, চিত্রা নদী, ভৈরব নদী ও বেগবতী নদী।[4][5]
প্রধান ফসল ও ফলমুলঃ
ধান, পান, পাট, গম, আখ, সরিষা,মরিচ, রসুন, পেয়াজ, বিভিন্ন ধরনের ডাল শাকসবজি হলো এই এলাকার প্রধান ফসল।
তাছাড়াও প্রধান ফলমুলের মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল, কলা, পেয়ারা,লিচু, নারকেল, খেজুর, তাল,ড্রাগন ইত্যাদি। পাট, ধান, রসুন পেয়াজ, পটল, খেজুর গুড়, পান পাতা প্রয়োজন মিটিয়ে রপ্তানি করা হয়। [1]
অর্থনৈতিক অবস্থা
ঝিনাইদহের অর্থনীতি স্বাধারণত কৃষির উপর নির্ভর্শীল। ৬৬.৫০% বাড়িতে নানা ধরনের ফসল ফলিয়ে থাকেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধান, পাট, আখ, গম, শাকসবজি,মসলা, ডাল। এছাড়াও ফলমুলের মধ্যে রয়েছে আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, কলা, লিচু, নারকেল, খেজুর, তাল ইত্যাদি। এছাড়াও অন্যান্য খাত যেমন প্রবাসী, সরকারী চাকুরীজীবী, গার্মেন্টস কর্মীরাও এখানকার অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখছে।[1]
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- লতিফুর রহমান - বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা;
- ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর - আলেম, গবেষক, শিক্ষক, ইসলামিক চিন্তাবিদ, লেখক;
- গোলাম মোস্তফা - কবি;
- বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ;
- লালন শাহ - বাউল সাধক, গায়ক, গীতিকার;
- মুস্তফা মনোয়ার - চিত্রশিল্পী;
- পাগলা কানাই - সাধক
- মনির খান - গায়ক;
- বাঘা যতীন - বিপ্লবী;
- জামাল নজরুল ইসলাম- দেশ বরেন্য পৃথিবীর বিখ্যাত গণিতবিদ ও পদার্থ বিজ্ঞানী
- ইলা মিত্র - তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা
- মসিউর রহমান - ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
- আল-আমিন হোসেন- বোলার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- পরিসংখ্যান ২০১১ ঝিনাইদহ জেলা
- "ঝিনাইদহ জেলা তথ্য বাতায়ন"। ৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১২।
- "Bangladesh Population and Housing Census 2011: Zila Report – Jhenaidah" (PDF)। Table P01 : Household and Population by Sex and Residence, Table P05 : Population by Religion, Age group and Residence, Table P09 : Literacy of Population 7 Years & Above by Religion, Sex and Residence। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারh। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।