লক্ষ্মীপুর জেলা
লক্ষ্মীপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
লক্ষ্মীপুর | |
---|---|
জেলা | |
![]() লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা মহাসড়কের উত্তর তেমুহনি | |
![]() বাংলাদেশে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৭′০″ উত্তর ৯০°৪৯′৩০″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪ |
আয়তন | |
• মোট | ১৩৬৭.৫৯ কিমি২ (৫২৮.০৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১৭,২৯,১৮৮ |
• জনঘনত্ব | ১৩০০/কিমি২ (৩৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫১.৪০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৭০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৫১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আয়তন
লক্ষ্মীপুর জেলার মোট আয়তন ১৩৬৭.৫৯ বর্গ কিলোমিটার।[2]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।[1]
অবস্থান ও সীমানা
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°৩০´ থেকে ২৩°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৮´ থেকে ৯০°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান।[2] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে চাঁদপুর জেলা; পূর্বে ও দক্ষিণে নোয়াখালী জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, ভোলা জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত।
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠাকাল
লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্চানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে এই পৌরসভাটির বিস্তৃতি ঘটে। রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।[3]
নামকরণ
লক্ষ্মীপুর জেলার নামকরণ নিয়ে কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে।
লক্ষ্মী, হিন্দু ধর্মানুসারে ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দুর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্নী) এবং পুর হল শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্চানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর নামে একটি মৌজা ছিল। আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা।
আবার অন্যমতে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা আরাকান পলায়নের সময় ১৬২০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ধাপা ও শ্রীপুর হয়ে ৯ মে লক্ষ্মীদাহ পরগনা ত্যাগ করে ভুলুয়া দুর্গের ৮ মাইলের মধ্যে আসেন। ১২ মে ভুলুয়া দুর্গ জয় করতে না পেরে আরাকান চলে যান। সেই লক্ষ্মীদাহ পরগনা থেকে লক্ষ্মীপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ ধারণ করেন। লক্ষ্মীপুর শহরের পূর্ব পাশে শাহ সুজার নামানুসারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় সুজা বাদশা সড়ক। বিখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানাউল্লাহ নূরী সুজা বাদশা সড়ক নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে মগ ও ফিরিঙ্গীদের মিলিত বাহিনী ভুলুয়া, ভবানীগঞ্জ ও ইসলামাবাদ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। স্যার যদুনাথ সরকার এ সংক্রান্ত বর্ণনায় লিখেছেন, ইসলামাবাদ চাটগাঁ শহর নয়। ভুলুয়ার পশ্চিমে একটি দুর্গ সমৃদ্ধ শহর। ঐতিহাসিক ড. বোরাহ ইসলামাবাদকে লক্ষ্মীপুর বলে ধারণা করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজার অংশ মেঘনা পাড়ের দুর্গ সমৃদ্ধ কামানখোলাই ইসলামাবাদ নামের মগ ও ফিরিঙ্গীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল।
শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার রাজপুরুষ যোগীবংশ নামক গবেষণামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তার পূর্বপুরুষরা ১৬২৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তার বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।[3]
সাধারণ ইতিহাস
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল। মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লক্ষ্মীপুরে একটি সামরিক স্থাপনা ছিল। ষোড়শ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপন্ন হত এবং বাইরে রপ্তানি হত। লবণের কারণে এখানে লবণ বিপ্লব ঘটে। স্বদেশী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরবাসী স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধি এ অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তখন প্রায়ই কাফিলাতলি আখড়া ও রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ীতে অবস্থান করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৬ সালের জুন মাসে লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন।[3]
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
১৯৭১ সালের ৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুর শহরের রহমতখালি সেতুর কাছে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৭২ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। ২৫ অক্টোবর সদরের মীরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের এক সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর মেজরসহ ৭০ জন সৈন্য ও ৪১ জন রেঞ্জার নিহত হয়। রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর দীঘির পাড়ে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াই সংঘটিত হয়। এ লড়াইয়ে বহুসংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। পরবর্তীতে পাকসেনারা ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে রামগঞ্জ ক্যাম্পে এনে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রামগতি উপজেলার জমিদার হাটের বাঁকে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে কয়েকজন রাজাকারসহ ১৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।[2]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- গণকবর: ৪টি
- বধ্যভূমি: ২টি
- স্মৃতিস্তম্ভ ৩টি[2]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
লক্ষ্মীপুর জেলা ৫টি উপজেলা, ৬টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৪টি ইউনিয়ন, ৪৪৫টি মৌজা, ৫৩৬টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহ
লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:[4]
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[5] | সংসদ সদস্য[6][7][8][9][10] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৭৪ লক্ষ্মীপুর-১ | রামগঞ্জ উপজেলা | আনোয়ার হোসেন খান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ | রায়পুর উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, চর রুহিতা, পার্বতীনগর, বশিকপুর, শাকচর, চর রমণীমোহন ও টুমচর ইউনিয়ন | মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম | স্বতন্ত্র |
২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ | লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, বাঙ্গাখাঁ, দত্তপাড়া, উত্তর জয়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, হাজিরপাড়া, চর শাহী, দিঘলী, মান্দারী, লাহারকান্দি, ভবানীগঞ্জ, কুশাখালী ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন | এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৭৭ লক্ষ্মীপুর-৪ | কমলনগর উপজেলা এবং রামগতি উপজেলা | আবদুল মান্নান | বিকল্পধারা বাংলাদেশ |
শিক্ষা ব্যবস্থা
লক্ষ্মীপুর জেলার সাক্ষরতার হার ৪২.৯০%।[2] এ জেলায় রয়েছে:[1]
- কামিল মাদ্রাসা : ৮টি
- আইন কলেজ : ১টি
- হোমিও কলেজ : ১টি
- ফাজিল মাদ্রাসা : ১৯টি
- কলেজ : ২৮টি (৫টি সরকারি)
- আলিম মাদ্রাসা : ২২টি
- স্কুল এন্ড কলেজ : ৪টি
- দাখিল মাদ্রাসা : ৮৫টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১৫৭টি (৩টি সরকারি)
- কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ৪টি
- ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট : ১টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১৪টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৯৪৯টি
- এবতেদায়ী মাদ্রাসা : ৬১টি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
অর্থনীতি
- কৃষি
লক্ষ্মীপুর জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। এ জেলার প্রধান উৎপাদিত ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে ধান, গম, সরিষা, পাট, মরিচ, আলু, ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন, আখ, চীনাবাদাম। প্রধান ফলগুলো হল আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, তাল, লেবু, নারিকেল, সুপারি, আমড়া, জাম। এছাড়া এ জেলায় ৫৮টি মৎস্যখামার, ১৬টি নার্সারি, ১০২টি দুগ্ধ খামার, ২২২টি মুরগীর খামার ও ৩টি হ্যাচারি রয়েছে।
- নৌ-বন্দর
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাটে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ লক্ষ্মীপুর নৌ-বন্দর।
- শিল্প-কারখানা
লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান প্রধান শিল্প-কারখানার মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল মিল, ধানের কল, ময়দার কল, বরফের কল, অ্যালুমিনিয়াম কারখানা, বিড়ি কারখানা, মোম কারখানা, সাবানের কারখানা, নারিকেলের তন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ছাপাখানা, তেলের মিল, ব্যাটারি কারখানা, বেকারি।
- কুটির শিল্প
বাঁশ ও বেতের কাজ, কাঠের কাজ, সেলাই, কামার, কুমার, মুচি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মেকানিক ইত্যাদি।
- প্রধান রপ্তানি পণ্য
যোগাযোগ ব্যবস্থা
লক্ষ্মীপুর জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়।
নদ-নদী
লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান নদীগুলো হল মেঘনা নদী, ডাকাতিয়া নদী, কাটাখালী নদী, রহমতখালি নদী চন্দনা ও ভুলুয়া নদী।
পত্র-পত্রিকা
- দৈনিক : লক্ষ্মীপুর কণ্ঠ (১৯৯৫), আল-চিশত (১৯৯৫), উপকূল প্রতিদিন, Lakshmipur24,
- সাপ্তাহিক : নতুন সমাজ, নতুন দেশ (১৯৭৩), সমবায় বার্তা (বাংলাদেশ বার্তা, ১৯৭৩), মুক্তিবাণী (১৯২৮, অবলুপ্ত), গণমুখ (১৯৭৩, অবলুপ্ত), এলান (১৯৮২), নতুন পথ (১৯৮৭), দামামা (১৯৯২), আনন্দ আকাশ (১৯৯৫, অবলুপ্ত), রামগঞ্জ বার্তা (১৯৯১), রোজনামচা (অবলুপ্ত)।
- পাক্ষিক : অবসর।
- মাসিক : রেনেসাঁ, জাগরণ (২০০০), বাংলা আওয়াজ, ডাকাতিয়া।
- ত্রৈমাসিক : রায়পুর দর্পণ (১৯৯৮)।
- সাময়িকী : চেতনা (১৯৬৯), প্রচ্ছদ (১৯৮৪), ছায়াপথ, কবিতা বার্তা, রামগতি দর্পণ, লক্ষ্মীপুর বার্তা (১৯৮৯), রামগতি বার্তা (১৯৯৮), অগ্রজ (১৯৯৯), বিচিত্রিতা (১৯৯৪), দূরদিগন্ত (২০০২), অশরীরী (২০০০), উল্কা (২০০৩), চন্দ্রাবতী (২০০৪), প্রয়াস নিউজ (২০১০),
- প্রগতি (শিল্প-সাহিত্য সংকলন), নোঙ্গর (কলেজ বার্ষিকী, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ)।
দর্শনীয় স্থান
- আইউব আলী চৌধুরী বাড়ি (বৃটিশ কর্তৃক চৌধুরী খেতাবে ভূষিত)
- আনসারি মাজার
- আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ
- ইসলাম বক্স ভূঁঞা বাড়ি, ধর্মপুর
- ইসহাক জমিদার বাড়ি, হাসন্দী, উত্তর হামছাদী
- কমরেড তোয়াহা স্মৃতিসৌধ
- কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্স
- কমলা সুন্দরী দীঘি
- কামানখোলা জমিদার বাড়ি, লক্ষ্মীপুর
- কালু মিঞা চৌধুরী জমিদার বাড়ী, কাঞ্চনপুর, রামগঞ্জ
- কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, লক্ষ্মীপুর
- খোয়া সাগর দীঘি[11]
- চক বাজার জামে মসজিদ
- জোসেফ চার্চ, সাহাপুর, লক্ষ্মীপুর
- জ্বীনের মসজিদ
- টাউন হল নাট্যশালা, লক্ষ্মীপুর
- তিতা খাঁ জামে মসজিদ
- দত্তপাড়া কালীমাতা দেবোত্তর ও মোহনগঞ্জ আশ্রম
- দত্তপাড়া চৌধুরী বাড়ি
- দালাল বাজার হিমসাগর দীঘি
- দালাল বাজার জমিদার বাড়ী (ক্ষয়িষ্ণু
- দালাল বাজার মঠ
- নন্দনপুর ঈদগাহ ময়দান
- পৌর শিশু পার্ক, লক্ষ্মীপুর
- বাঞ্চানগর মিঞা বাড়ি (জমিদার)
- মজু চৌধুরীর হাট নদীবন্দর
- মজুপুর মটকা মসজিদ (অধুনা লুপ্ত)
- মতির হাট লঞ্চঘাট
- মান্দারী বড় জামে মসজিদ মান্দারী বাজার
- বড় আউলিয়া সাহেবের মাজার বার আউলিয়া গ্রাম
- রাধাপুর হাই স্কুল দিঘি
- মেঘনা নদী
- রাজেন্দ্র চৌধুরী জমিদার বাড়ী (করপাড়া চৌধুরী বাড়ি), রামগঞ্জ
- রামগতি বুড়াকর্তা মন্দির ও মেলা
- রায়পুর চৌধুরীবাড়ি (প্রতিষ্ঠাতা মুন্সী মনোহর মিঞা)
- রায়পুর বড় মসজিদ
- রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এশিয়ার বৃহত্তম)
- রেহানউদ্দিন ভূঁঞা বাড়ি
- লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ (লক্ষ্মীপুর জেলার প্রথম শহীদ মিনার)
- লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়াম
- লাহারকান্দি টুকা মিঞা চৌধুরী বাড়ি
- শাখারীপাড়ায় শ্রী শ্রী রামঠাকুর আশ্রম
- শায়েস্তা নগর জমিদার বাড়ি
- শাহ জকি মাজার
- শ্রী শ্রী গোবিন্দ মহাপ্রভু জিউ আখড়া, দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর
- শ্রীরামপুর রাজবাড়ী
- সাহাপুর সাহেব বাড়ি (জনফিনি কুঠিবাড়ি)
- সৈয়দপুর জামে মসজিদ (১৭৯৪), লাহারকান্দি
- হযরত শাহ মিরান বোগদাদী (র:) মাজার, কাঞ্চনপুর, রামগঞ্জ
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- অনন্ত মানিক্য –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঞাদের অন্যতম)।
- অরণ্য আনোয়ার –– লেখক, নাট্যকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক।
- আ স ম আবদুর রব –– রাজনীতিবিদ।
- আজিম শাহ্ –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠাতা, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসা (১৮৫৭)।
- আনোয়ার হোসেন খান –– রাজনীতিবিদ।
- আবদুল মান্নান –– রাজনীতিবিদ।
- আবু হেনা আবদুল আউয়াল –– নজরুল গবেষক, কবি এবং সাহিত্যিক।
- আবুল আহসান –– কূটনীতিক এবং সার্ক মহাসচিব।
- আব্দুল মতিন চৌধুরী –– পদার্থবিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
- আব্দুল হাকিম এডভোকেট –– গণপরিষদ সদস্য ১৯৪৭।
- এ কে এম শাহজাহান কামাল –– রাজনীতিবিদ।
- এম এ আউয়াল –– রাজনীতিবিদ।
- এম এম রুহুল আমিন –– বাংলাদেশের ১৬ তম প্রধান বিচারপতি।
- খালেদ মোহাম্মদ আলী –– অল পাকিস্তান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ১৯৬৯, গণপরিষদ সদস্য ১৯৭০, এমএলএ।
- গোরকিশোর রায় –– জমিদার রাজা।
- জিয়াউল হক জিয়া –– রাজনীতিবিদ।
- ঝর্ণা ধারা চৌধুরী –– সমাজকর্মী।
- তারিন জাহান –– অভিনেত্রী।
- ত্রপা মজুমদার –– অভিনেত্রী।
- নাছির আহম্মদ ভূঁইয়া –– প্রতিষ্ঠাতা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা।
- নাজমুন নাহার –– পৃথিবীর সর্বাধিক দেশ ভ্রমণকারী বাংলাদেশী নারী।
- নাজিম উদ্দিন মাহমুদ –– লেখক, শিক্ষাবিদ ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।
- নিশাত মজুমদার –– প্রথম বাংলাদেশী নারী এভারেষ্ট বিজয়ী।
- পূর্ণশশী চৌধুরাণী –– দালাল বাজার জমিদার পত্নী এবং লক্ষ্মীপুর টাউন লাইব্রেরী ও টাউন হল এর প্রতিষ্ঠাতা।
- বলরাম মানিক্য –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঞাদের অন্যতম)।
- বিশ্বম্ভর শূর –– আদিশূরের ৯ম পুত্র, ভুলুয়া রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
- মফিজুল্লাহ্ কবীর –– ইতিহাসবিদ।
- মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী –– ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।
- মাহফুজ আহমেদ –– অভিনেতা।
- মুজতবা আল মামুন –– কবি এবং সাহিত্যিক।
- মুজাফফর আহমদ চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য।
- মোহাম্মদ উল্লাহ –– বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং গণপরিষদের প্রথম স্পিকার।
- মোহাম্মদ আবদুল্লাহ –– রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ তোয়াহা –– ভাষা সৈনিক এবং রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ নোমান –– রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন পাঠান –– শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, লেখক এবং গবেষক।
- মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম –– রাজনীতিবিদ।
- মোঃ বদিউজ্জামান –– দুদক চেয়ারম্যান।
- রামেন্দু মজুমদার –– অভিনেতা।
- রুহুল আমিন –– বাংলাদেশের ১৫ তম প্রধান বিচারপতি।
- রোজী আফসারী –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- লক্ষণ মানিক্য –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঞাদের অন্যতম)।
- শাহ্ মিরাণ বোগদাদী –– বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাতি, কাঞ্চনপুর দরগাহ বাড়ী।
- সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরি আল মাদানী –– আওলাদে রাসূল (দ.)।
- সানাউল্লাহ নূরী –– সাংবাদিক।
- সেলিনা হোসেন –– কথা সাহিত্যিক।
- হাফেজ্জী হুজুর –– রাজনীতিবিদ এবং ইসলামী ব্যক্তিত্ব।
- হুমাইরা হিমু –– অভিনেত্রী।
- হোসনে আরা শাহেদ –– শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
চিত্রশালা
- লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- সাবেক লক্ষ্মীপুর
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "এক নজরে লক্ষ্মীপুর জেলা"। www.lakshmipur.gov.bd।
- "লক্ষ্মীপুর জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- "লক্ষ্মীপুর জেলার পটভূমি"। www.lakshmipur.gov.bd।
- "উপজেলা পরিষদের তালিকা"। www.lakshmipur.gov.bd। ১৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- আমাদেরসময়ডটকম ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
গ্রন্থপঞ্জি
- নাজিম উদ্দীন মাহমুদ। লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আইএসবিএন 9844613437।