কুমিল্লা জেলা
কুমিল্লা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত।
কুমিল্লা | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৭′৩০″ উত্তর ৯১°১১′০″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৬০ |
আয়তন | |
• মোট | ৩০৮৫.১৭ কিমি২ (১১৯১.১৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৫৬,০২,৬২৫ |
• জনঘনত্ব | ১৮০০/কিমি২ (৪৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬০.০২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৫০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৯ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আয়তন
কুমিল্লা জেলার মোট আয়তন ৩০৮৫.১৭ বর্গ কিলোমিটার।[2]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার মোট জনসংখ্যা ৫৬,০২,৬২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬,৭৮,২৩৫ জন এবং মহিলা ২৯,২৪,৩৯০ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৮১৬ জন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ১.৫৮%।[1] মোট জনসংখ্যার ৯৪.৬২% মুসলিম, ৫.২৬% হিন্দু এবং ০.১২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।[2]
অবস্থান ও সীমানা
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২৩°০২´ থেকে ২৪°৪৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°৩৯´ থেকে ৯১°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে কুমিল্লা জেলার অবস্থান।[2] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে ফেনী জেলা ও নোয়াখালী জেলা; পশ্চিমে চাঁদপুর জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলা, উত্তর-পশ্চিমে মেঘনা নদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এবং পূর্বে ভারতের ও ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠাকাল
কুমিল্লা একসময় বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল। ১৭৩৩ সালে বাংলার নবাব সুজাউদ্দিন খান ত্রিপুরা রাজ্য আক্রমণ করে এর সমতল অংশ সুবাহ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ত্রিপুরা দখল করে। ১৭৬৯ সালে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে। তখন ঢাকা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল কুমিল্লা। কুমিল্লাকে ১৭৭৬ সালে কালেক্টরের অধীনস্থ করা হয়। ১৭৯০ সালে কোম্পানী শাসনামলে ত্রিপুরা নামের জেলার সৃষ্টি হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখন থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ জেলা প্রশাসক করা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু'টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।[3]
নামকরণ
বর্তমান কুমিল্লা জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনস্থ একটি জেলা। শুরুর দিকে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত হলেও পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত মত রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযাগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াঙ কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকে। তার বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া নামক যে স্থানের বিবরণ রয়েছে সেটি থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে জানা যায় খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লা ২ নং সেক্টর এর অন্তর্গত ছিল। ঢাকা, ফরিদপুরের কিছু অংশ, নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২নং সেক্টর। এ সেক্টরের নেতৃত্ব দেন- মেজর খালেদ মোশাররফ (১০ এপ্রিল, ১৯৭১- ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১), মেজর এ.টি.এম. হায়দার (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১- ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২)।
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইপিআর ক্যাম্পেই ৪ জন পাকিস্তানি ইপিআরকে সাধারণ জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। জুনের শেষ দিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছকারমার পুলের নিকট পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের এক সম্মুখ লড়াইয়ে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। কসবা-ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্তের ঘুংঘুর নদীর তীরে হোলাইমুড়ি নামক স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অনারারী ক্যাপ্টেন ওহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধে ১ জন ক্যাপ্টেনসহ ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। পরবর্তীতে পাকবাহিনী পার্শ্ববর্তী চান্দলা ও ষাইটশালা গ্রামে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে এবং প্রায় শতাধিক গ্রামবাসিকে হত্যা করে গণকবর দেয়। ৩১ মার্চ দেবিদ্বার উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে পাকবাহিনীর সঙ্গে বাঙালিদের এক সংঘর্ষে প্রায় ৩৩ জন বাঙালি শহীদ হন। ৬ এপ্রিল লাকসাম উপজেলায় আজগরা বাজারে পাকবাহিনীর বোমা হামলায় প্রায় ২০০ জন নিরীহ গ্রামবাসি নিহত হয়। ২৩ মে দাউদকান্দি উপজেলায় স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী রায়পুরা গ্রামের ১১ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পার্শ্ববর্তী জিংলাতলী ও হারপুর গ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারী বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক লড়াইয়ে প্রায় ২০০ জন পাকসেনা ও স্থানীয় রাজাকার নিহত হয় এবং ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। জুলাই মাসে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মাদারীপুর গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে উভয় পক্ষের বেশসংখ্যক সেনা হতাহত হয়। এছাড়া পাকবাহিনী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫/৭ জন নিরীহ গ্রামবাসিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জুলাইয়ের শেষ দিকে হোমনা উপজেলায় পাকবাহিনী তিতাস নদী পথে লঞ্চযোগে জয়পুর গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করলে নদীর দুই তীর থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে লঞ্চটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকবাহিনী দ্রুত মাছিমপুরের দিকে চলে যায়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেকেই হতাহত হয়। জয়পুর ছাড়াও হোমনা উপজেলার চম্পক নগর, ঘাগুটিয়া, নিলখী বাজার, দুলাল বাজার, হোমনা সদর ও পঞ্চবটি প্রভৃতি জায়গায় সংঘটিত পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক লড়াইয়ে প্রায় ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং প্রায় ২৪ জন আহত হন। তাছাড়া পাকবাহিনী বর্তমান হোমনা ডিগ্রি কলেজের পাশে বহুসংখ্যক নিরীহ মানুষকে জীবন্ত কবর দেয়। ২ সেপ্টেম্বর বরুড়া উপজেলায় পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করে এবং গ্রামে প্রবেশ করে ৬ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১০ সেপ্টেম্বর বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছার বটতলীতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত লড়াইয়ে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোহরগঞ্জ উপজেলায় হাসনাবাদ বাজারের উত্তরে চৌমুহনী নামক স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াইয়ে প্রায় ৭০ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৯৭১ সালে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাজাকার ও পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি সম্মুখ লড়াই হয়। এতে কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধারা বুড়িচং থানা আক্রমণ করলে পাকবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাছাড়া বুড়িচং উপজেলায় পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘটিত একাধিক লড়াইয়ে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২৮ নভেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর জগন্নাথদীঘি-ক্যাম্প দখল করে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের খণ্ড লড়াইয়ে উপজেলার প্রায় ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। দেবিদ্বার উপজেলায় পাকবাহিনী ৭ আগস্ট চর কামতায়, ২৯ সেপ্টেম্বর জাকেরগঞ্জ এলাকায় এবং ১৪ নভেম্বর থানা সদরের নিকট গণহত্যা চালিয়ে প্রায় কয়েক হাজার নিরীহ লোককে হত্যা করে। নাঙ্গলকোট উপজেলার তেজের বাজারে পাকবাহিনী ১১ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে কবর দেয়। তাছাড়া নাঙ্গলকোট উপজেলায় স্থানীয় রাজাকাররা ১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে হত্যা করে হাসানপুর রেলস্টেশনের পাশে পুঁতে রাখে। ১১ ডিসেম্বর চান্দিনা উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধে প্রায় ১৪০০ পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে। ১২ ডিসেম্বর এ উপজেলার কটতলায় সম্মুখযুদ্ধে ৭ জন পাকসেনা মারা যায় এবং ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাছাড়া ফাউই নামক স্থানে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘটিত লড়াইয়ে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।[2]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- বধ্যভূমি - ৪টি (উত্তর চান্দলা ভূঞা বাড়ি ও দক্ষিণ চান্দলা প্রবোধ কুমার দাসের বাড়ি, পুইরা পুল-চান্দিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে, চান্দিনা হাসপাতালের উত্তর-পশ্চিম কোণে, দাউদকান্দি থানার দক্ষিণে সাহাপাড়া ব্রীজ)
- গণকবর - ১২টি (ব্রাহ্মণপাড়ার রেললাইন সংলগ্ন হরিমঙ্গল পুকুর পাড়, চান্দিনার কাশিমপুর শ্মশান ঘাট, মহিচাইল বাড়ই পাড়া ও কংগাই বড়বাড়ি, হোমনা ডিগ্রি কলেজের পাশে, বরুড়ার বটতলীর অদূরে নারায়ণপুর, দেবিদ্বার থানা সদর, পশ্চিমগাঁও, লাকসাম বিড়ি ফ্যাক্টরি ও লাকসাম রেলওয়ে জংশন, নাঙ্গলকোটের পরিকোট ও তেজের বাজার, মনোহরগঞ্জের হাসনাবাদ)
- স্মৃতিস্তম্ভ - ৪টি।[2]
- মঠ- 2 টি
ঐতিহ্য
শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে এ উপমহাদেশে সুপরিচিত। রসমালাই নামক বিখ্যাত মিষ্টি কুমিল্লায় তৈরি করা হয়। কুমিল্লার রসমলাই সারাদেশে এক নামে পরিচিত। দুধ, ছানা ও চিনি সমন্বয়ে তৈরি এ মিষ্টান্ন। যার প্রচলন কুমিল্লাতেই শুরু হয়। অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি প্রস্তুতের জন্যও কুমিল্লা বিখ্যাত। এছাড়াও কুমিল্লার বিখ্যাত খদ্দর (খাদি) শিল্পের জন্য। ১৯২১ সাল থেকে খদ্দর এ অঞ্চলে প্রচলিত। কুমিল্লার খদ্দর শিল্পগত উৎকর্ষে প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিল। এখান থেকে খদ্দর কাপড় কলকাতা ও বোম্বে পাঠানো হত। বাঁশের বাঁশির জন্য কুমিল্লা বিখ্যাত। কুমিল্লার হোমনার শ্রীমদ্দি গ্রাম উপমহাদেশের বাঁশের বাঁশির জন্য সুবিখ্যাত; শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশিপাড়ার বাঁশি বর্তমানে দেশ-বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে সগৌরবে। এছাড়াও তাঁত শিল্প, কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প ও কারু শিল্প, ময়নামতির শীতল পাটি ইত্যাদি স্ব-স্ব ঐতিহ্যে স্বকীয়তা আজও বজায় রেখেছে।[4]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কুমিল্লা জেলা ২৭ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৭টি উপজেলা, ১৮টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ১৯২টি ইউনিয়ন, ৩,৬৮৭টি গ্রাম ও ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহ
কুমিল্লা জেলায় মোট ১৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন
শিক্ষা
কুমিল্লা জেলার সাক্ষরতার হার ৬০.০২%। এ জেলায় রয়েছে:[1]
- বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারি) - ১টি
- বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারি) - ২টি
- বিশ্ববিদ্যালয় (আর্মি নিয়ন্ত্রিত) - ১টি
- মেডিকেল কলেজ (সরকারি) - ১টি
- মেডিকেল কলেজ (বেসরকারি) - ৩টি
- মেডিকেল কলেজ (আর্মি নিয়ন্ত্রিত) - ১টি
- কামিল মাদ্রাসা - ১০টি
- ক্যাডেট কলেজ - ১টি
- সরকারি পলিটেকনিক - ১টি
- কলেজ (সরকারি) - ১০টি
- বাণিজ্যিক কলেজ (সরকারি) - ২টি
- কলেজ (বেসরকারি) - ৩১টি
- ফাজিল মাদ্রাসা - ৬৩টি
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ - ১টি
- পিটিআই - ১টি
- এইচএসটিটিআই - ১টি
- মেডিকেল এসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সরকারি) - ১টি
- মেডিকেল এসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বেসরকারি) - ১টি
- স্কুল এন্ড কলেজ - ৯০টি
- আলিম মাদ্রাসা - ৭৫টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সরকারি) - ৯টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় (অন্যান্য) - ৫৮০টি
- দাখিল মাদ্রাসা - ২৩৩টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৫৫টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১৩৩০টি
- ইবতেদায়ী মাদ্রাসা - ৭১টি
যোগাযোগ ব্যবস্থা
- আকাশপথ
কুমিল্লা বিমানবন্দর কুমিল্লা জেলায় আকাশপথে যোগাযোগের মাধ্যম। এটি মূলত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট জোন (ইপিজেড) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- সড়কপথ
ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বিভিন্ন এসি/নন-এসি বাস যাতায়াত করে থাকে। দেশের প্রধান জাতীয় সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কুমিল্লা শহরের উপর দিয়ে গেছে। এছাড়া এ জেলার সাথে সংযুক্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক, কুমিল্লা-বিবিরবাজার স্থল বন্দর সংযোগ সড়ক, কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ সড়ক, লালমাই-লাকসাম-সোনাইমুড়ি সড়ক উল্লেখযোগ্য।
- রেলপথ
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রেলযোগেও কুমিল্লা জেলায় যাতায়াত করা যায়। কুমিল্লা রেলস্টেশন ও লাকসাম রেলস্টেশন এ জেলার প্রধান দুইটি রেলস্টেশন। অন্যান্য রেলস্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন, গুণবতী রেলস্টেশন, হাসানপুর রেলস্টেশন, নাওটি রেলস্টেশন, রাজাপুর রেলস্টেশন, শশীদল রেলস্টেশন, সালদানদী রেলস্টেশন।
- নদীপথ
কুমিল্লা জেলায় নদীপথেও যোগাযোগ করা যায়। তবে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় নদীপথে শুধুমাত্র আঞ্চলিক যোগাযোগ হয়ে থাকে। এ জেলার একমাত্র নদীবন্দর দাউদকান্দি বাউশিয়া নদীবন্দর এবং এ জেলায় মোট ৩৪টি ফেরীঘাট রয়েছে।[1]
নদ-নদী

কুমিল্লা জেলার প্রধান নদ-নদীগুলো হল: মেঘনা নদী, গোমতী নদী, তিতাস নদী, ডাকাতিয়া নদী, কাঁকড়ি নদী, ছোট ফেনী নদী, আড়চি নদী, ঘুংঘুর নদী এবং সালদা নদী।
অর্থনীতি
কুমিল্লা জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। এ অঞ্চলের দারিদ্রতার হার ৫৬.৬%। এই জেলার অর্থনীতি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে কৃষির মাধ্যমে। এ জেলার প্রায় ১১.৬% মানুষ ব্যবসার সাথে জড়িত। এখানে ২টি শিল্প নগরী রয়েছে। কুমিল্লায় রয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড এর মূল স্থাপনা এবং গ্যাস ফিল্ড।[11]
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
কুমিল্লা জেলায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার জন্য রয়েছে:[1]
- মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল - ১টি
- জেনারেল হাসপাতাল - ১টি
- পুলিশ হাসপাতাল - ১টি
- কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল - ১টি
- সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল - ১টি
- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র - ২১টি
- ডায়াবেটিক হাসপাতাল - ২টি
- চক্ষু হাসপাতাল - ২টি
- পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র - ১৩টি
- টিবি ক্লিনিক - ১টি
- স্কুল হেলথ ক্লিনিক - ১টি
- উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র - ৪৮টি
- ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র - ১২৩টি
দর্শনীয় স্থান
- অভয় আশ্রম
- অর্জুনতলা মসজিদ
- আনন্দবিহার
- ইটাখোলা মুড়া
- উজিরপুর টিলা
- উত্তর তেতাভূমি জমিদার বাড়ি
- কর্নেলের মুড়া
- কুটিলা মুড়া
- কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন
- কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দির
- কুমিল্লা বিমানবন্দর
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
- কুমিল্লা রেলস্টেশন
- কুমিল্লা সেনানিবাস
- কোটবাড়ি
- কোটবাড়ি মুড়া
- কোবা জামে মসজিদ, চর বাকর
- গুণবতী রেলস্টেশন
- চন্ডী মুড়া
- চারপত্র মুড়া
- চিতোড্ডা মসজিদ
- ছিলা মুড়া
- জগন্নাথ দীঘি, লাল মাঠ
- জাহাপুর জমিদার বাড়ি
- দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ
- ধর্মসাগর
- নজরুল ইন্সটিটিউট, কুমিল্লা
- নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি
- নূর মানিকচর জামে মসজিদ
- পাক্কা মুড়া
- বড় শরিফপুর মসজিদ
- বালাগাজীর মুড়া
- বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী
- বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন
- বৈরাগী মুড়া
- ভাউকসার জমিদার বাড়ি
- ভৈরব চন্দ্র সিংহের জমিদার বাড়ি
- ভোজ রাজার বিহার
- মজিদপুর জমিদার বাড়ি
- ময়নামতি
- ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রি
- ময়নামতি ঢিবি ১
- ময়নামতি ঢিবি ১ক
- ময়নামতি ঢিবি ১খ
- ময়নামতি ঢিবি ২ক
- ময়নামতি ঢিবি ২খ
- মহেশ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট
- রাখাল রাজার জমিদার বাড়ি
- রাজ রাজেশ্বরী কালী বাড়ী
- রাজেশপুর ইকোপার্ক
- রাণী ময়নামতি প্রাসাদ ও মন্দির
- রূপবান কন্যা (রূপবানী) মুড়া
- রূপবান মুড়া
- লতিকোট মুড়া
- লাকসাম রেলওয়ে জংশন
- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম
- শালবন বৌদ্ধ বিহার
- শাহ সুজা মসজিদ
- শ্রীকাইল সরকারি কলেজ
- সতেররত্ন মন্দির
- হাতিগাড়া মুড়া
- হোচ্ছাম হায়দার চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার –– রাজনীতিবিদ।
- আ হ ম মোস্তফা কামাল –– রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের বর্তমান অর্থমন্ত্রী।
- আখতার হামিদ খান –– প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী।
- আজিজুর রহমান সরকার –– প্রাক্তন মন্ত্রী।
- আজিজুল হাকিম –– অভিনেতা।
- আতিকুল ইসলাম –– মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
- আনওয়ারুল আজিম –– রাজনীতিবিদ।
- আনোয়ারা –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- আপেল মাহমুদ –– বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রাক্তন মহাপরিচালক, গীতিকার এবং কণ্ঠশিল্পী।
- আবদুল গণি –– সামরিক কর্মকর্তা।
- আবু সাঈদ এম আহমেদ –– স্থপতি।
- আব্দুল গণি –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা।
- আব্দুল মতিন খসরু –– রাজনীতিবিদ।
- আমিনা আহমেদ –– রাজনীতিবিদ।
- আলম আরা মিনু –– সঙ্গীতশিল্পী।
- আলী আশরাফ –– রাজনীতিবিদ।
- আহমেদ উল্লাহ্ –– কবি, কথাসাহিত্যিক এবং গীতিকার(বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন(বিটিভি)।
- আশা দাশগুপ্ত –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
- আসিফ আকবর –– সঙ্গীতশিল্পী।
- আহমদ রফিক –– কবি, প্রবন্ধকার এবং গবেষক।
- ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন –– রাজনীতিবিদ।
- ইকবাল করিম ভূঁইয়া –– প্রাক্তন সেনা প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
- এ কে এম আবু তাহের –– রাজনীতিবিদ।
- এ কে এম সামসুল হক খান –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- এনামুল হক মণি –– আইসিসি'র প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার এবং প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার।
- এম কে আনোয়ার –– রাজনীতিবিদ।
- ওমর আহাম্মদ মজুমদার –– রাজনীতিবিদ।
- কাজী জাফর আহমেদ –– রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের ৮ম প্রধানমন্ত্রী।
- কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ –– রাজনীতিবিদ।
- কামাল উদ্দিন আহাম্মদ –– উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
- খন্দকার মোশতাক আহমেদ –– রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
- খন্দকার মোশাররফ হোসেন –– রাজনীতিবিদ।
- খালেদ মুহিউদ্দীন –– আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং লেখক।
- গাজী মাজহারুল আনোয়ার –– চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার এবং সুরকার।
- গাজীউল হাসান খান –– সাংবাদিক এবং কূটনীতিক।
- জি এ মান্নান –– নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক।
- জ্যোতিঃপাল মহাথের –– বৌদ্ধ শাস্ত্রবিদ।
- তাজুল ইসলাম –– রাজনীতিবিদ।
- তাফাজ্জাল ইসলাম –– বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি।
- তারিণীপ্রসন্ন মজুমদার –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
- ত্রিপুরা সেনগুপ্ত –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব।
- নঈম নিজাম –– সাংবাদিক এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক।
- নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী –– লেখিকা, সমাজ কর্মী এবং জমিদার।
- নাঈমুল ইসলাম খান –– সাংবাদিক।
- নাছিমুল আলম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
- নাফিসা কামাল –– ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা।
- নার্গিস আসার খানম –– বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী এবং তার কয়েকটি রচনার কেন্দ্রীয় চরিত্র।
- নিঝুম রুবিনা –– মডেল এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- নিপুণ –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- নূরুল ইসলাম মিলন –– রাজনীতিবিদ।
- পিয়াস করিম –– বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষাবিদ।
- প্রতিভা ভদ্র –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিকন্যা।
- প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
- প্রাণগোপাল দত্ত –– প্রাক্তন উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
- ফজলুল হালিম চৌধুরী –– প্রাক্তন উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- ফরিদ উদ্দিন আহমেদ –– উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
- ফরিদা ইয়াসমিন –– সাংবাদিক।
- ফেরদৌস আহমেদ –– চলচ্চিত্র অভিনেতা।
- বশির হোসেন –– চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রসম্পাদক।
- বুদ্ধদেব বসু –– কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং নাট্যকার।
- মঈনুল হোসেন –– বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মনসুর আলী –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মনিরুল হক সাক্কু –– মেয়র, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন।
- মাখন দাশগুপ্ত –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
- মাহমুদুর রহমান –– প্রকৌশলী এবং ব্যবসায়ী।
- মুজিবুল হক মুজিব –– রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ আবদুল মালেক –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ আমির হোসেন –– রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া –– রাজনীতিবিদ।
- মো. মইনুল ইসলাম –– প্রাক্তন মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
- যোবায়দা হান্নান –– চিকিৎসক এবং সমাজসেবী।
- রওশন আরা মান্নান –– রাজনীতিবিদ।
- রঙ্গু মিয়া –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- রফিকুল ইসলাম –– চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
- রফিকুল ইসলাম –– ভাষা কর্মী।
- রফিকুল ইসলাম মিয়া –– রাজনীতিবিদ।
- রাজী মোহাম্মদ ফখরুল –– রাজনীতিবিদ।
- রাহুল দেব বর্মণ –– সঙ্গীত পরিচালক এবং কণ্ঠশিল্পী।
- রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় –– প্রতিষ্ঠাতা, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।
- রেদোয়ান আহমেদ –– রাজনীতিবিদ।
- লায়লা নূর –– শিক্ষাবিদ, অনুবাদক এবং ভাষাসৈনিক।
- শওকত মাহমুদ –– সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ।
- শচীন দেববর্মণ –– গীতিকার, সুরকার এবং লোকসঙ্গীত শিল্পী।
- শফিক আহমেদ –– রাজনীতিবিদ।
- শামসুর রহমান শুভ –– জাতীয় ক্রিকেটার।
- শিবনারায়ণ দাস –– বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার।
- শৈলেন্দ্রচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব।
- সমরজিৎ রায় চৌধুরী –– চিত্রশিল্পী।
- সালেহ উদদিন –– স্থপতি, লেখক এবং শিল্পী।
- সুফিয়া কামাল –– কবি এবং নারী নেত্রী।
- সেলিমা আহমাদ –– ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ।
- সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের –– রাজনীতিবিদ।
- সৈয়দ মাহমুদ হোসেন –– বাংলাদেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি।
- হযরত অলিমান দেওয়ান শাহ্ (রঃ)—কুমিল্লায় ইসলাম প্রচারকারী আউলিয়া
তথ্যসূত্র
- "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd।
- "কুমিল্লা জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd।
- "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd।
বহিসংযোগ
- বাংলাপিডিয়ায় কুমিল্লা জেলা
- কুমিল্লা জেলার সরকারি ওয়েব জেলা তথ্য বাতায়ন
![]() |
উইকিভ্রমণে কুমিল্লা জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |