মেঘনা উপজেলা
মেঘনা উপজেলা বাংলাদেশের একটি উপজেলা। এটি কুমিল্লা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা ও সরকারের প্রশাসনিক অঞ্চল। সাধারণত পাকিস্তান আমলের থানা কে উপজেলায় উন্নীত করা হয়েছে। মেঘনা উপজেলা একটি নবগঠিত প্রশাসনিক অঞ্চল। অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমূহের অংশ নিয়ে এই উপজেলা গঠন করা হয় ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই উপজেলার প্রধান সরকারি কর্মকর্তা। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩মে জুন প্রথম মেঘনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার গঠিত হয়। [2]
মেঘনা | |
---|---|
উপজেলা | |
মেঘনা উপজেলা | |
ডাকনাম: মেঘনা | |
মেঘনা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৭′৩৭.২″ উত্তর ৯০°৪২′১৩.৩″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৯৮.৪৭ কিমি২ (৩৮.০২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৪৭,৭১৬ |
• জনঘনত্ব | ৪৮০/কিমি২ (১৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ২৫.৫৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৫১৫ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৯ ৭৫ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
আয়তন ও অবস্থান
মেঘনা উপজেলার আয়তন ৯৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।[3] এটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। এ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বে কাঁঠালিয়া নদী ও দাউদকান্দি উপজেলা, পূর্বে কাঁঠালিয়া নদী ও তিতাস উপজেলা, উত্তর-পূর্বে কাঁঠালিয়া নদী ও হোমনা উপজেলা, উত্তরে মেঘনা নদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মেঘনা নদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা
মেঘনা উপজেলায় সবকয়টি এলাকা গ্রাম এবং এটি সম্পূর্ণ চরাঞ্চল। এ উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মেঘনা থানার আওতাধীন।
ইতিহাস
১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ মেঘনার বাস্তবায় হয়েছিলো। হোমনার ৪ টি ইউনিয়ন এবং দাউদকান্দির ৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিতো হয়েছিলো মেঘনা। এখন মোট ৮ টি ইউনিয়ন সহ ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটার।
জনসংখ্যার উপাত্ত
শিক্ষা
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৩.৩৪%; পুরুষ ৩৮.০৪%, মহিলা ২৯.৯২%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫১, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: লুটেরচর মফিজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৯) মানিকের চর কলেজ (১৯৭০), দৌলত হোসেন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৮), মানিকের চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৬), সোনার চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯), মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭), চন্দনপুর এম এ হাইস্কুল (১৯৭১)।
অর্থনীতি
এটি একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। মানুষের প্রধান জীবিকার সূত্র কৃষি এবং মৎস। প্রবাসী বাংলাদেশী হিসাবে কাজ করছে অনেকেই।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
১।আপেল মাহমুদ (বিখ্যাত সুরকার ও গীতিকার)
২। আজিজুল হাকিম (নাটক অভিনেতা)
৩। জনাব মোঃ রুবেল শিকদার (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক) সাতঘড়িয়া কান্দি
বিবিধ
এলাকা: ৯৮.৪৭ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা: ১ লক্ষ (আনুমানিক)
জনঘনত্ব: ৯৮৫ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার
ইউনিয়ন সংখ্যা: ৮টি
মৌজা: ৪১টি
সরকারী হাসপাতাল: ১টি, চিকিৎসা ক্লিনিক: ৪টি।
হাটবাজার; ১৭টি।
ডাকঘর: ৫টি।
পোস্টকৌড:৩৫১৫। [4]
জনপ্রতিনিধি
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[5] | সংসদ সদস্য[6][7][8][9][10] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৪৯ কুমিল্লা-১ | মেঘনা উপজেলা এবং দাউদকান্দি উপজেলা | মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মেঘনা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১২-০৩-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-০২।
- https://web.archive.org/web/20151208044832/http://www.bbs.gov.bd/WebTestApplication/userfiles/Image/National%20Reports/Union%20Statistics.pdf
- মেঘনা উপজেলা
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।