কবিরহাট উপজেলা
কবিরহাট উপজেলা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। ২০০৬ সালে নোয়াখালী সদর উপজেলা ভেঙ্গে কবিরহাট উপজেলা ও সুবর্ণচর উপজেলা গঠন কর হয়।
কবিরহাট | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() কবিরহাট | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৮′ উত্তর ৯১°১৪′ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | নোয়াখালী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৬০.৪৩ কিমি২ (৬১.৯৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৯৬,৯৪৪ |
• জনঘনত্ব | ১২০০/কিমি২ (৩২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৪.৯৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৮০৭ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৭৫ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
এ উপজেলার উত্তরে সেনবাগ উপজেলা ও বেগমগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং দক্ষিণে ও পূর্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। জেলা সদর হতে ১৭ কিলোমিটর দূরে অবস্থিত কবিরহাট উপজেলার আয়তন ২৩৯.১৪ বর্গ কিলোমিটার।
ইতিহাস
কবিরহাট পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির পাটোয়ারী ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি তার বসত বাড়ীর আঙ্গিনার কাছে ১২৫ বছর পুর্বে একটি দোকান স্থাপন করেন। কালক্রমে এলাকার মানুষের চাহিদা মেটাতে তিনি তার দোকানটি আরো উত্তর দিকে স্থানান্তর করেন। কালের বিবর্তনে সেখানে গড়ে উঠে একটি হাট। সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও মঙ্গল বারে এলাকার মানুষ সেখানে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সওদাপাতির জন্য আসা শুরু করে; এভাবে যে হাট গড়ে সেটাই পরিচিতি লাভ করে কবিরহাট নামে।[2]
নোয়াখালীর সদর উপজেলা তথা সুধারাম থানা থেকে পৃথক হয়ে ২০০৬ সালে উপজেলাটি গঠিত হয়। পূর্বে এই এলাকা সদর পূর্বাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান কবিরহাট উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা পঞ্চাশের দশকে অবিভক্ত ঘোষবাগ ইউনিয়নের অন্তর্গত ছিল। ওই দশকের শেষের দিকে চাপরাশীর হাট ইউনিয়ন গঠিত হয়। সাম্প্রতিক কালে ঘোষবাগ ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে কবিরহাট পৌরসভা এবং চাপরাশীর হাট ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ধানশালিক ইউনিয়ন গঠিত হয়।
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ এই অঞ্চলে জন্ম নেন বলে ধারণা করা হয়।
প্রশাসনিক এলাকা
কবিরহাট উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কবিরহাট থানার আওতাধীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
এখানকার মোট জনসংখ্যা ৪,২৭,৯১৩ জন (প্রায়); যাদের মধ্যে পুরুষ ২,০২,৩৮৬ জন ও মহিলা ২,২৫,৫২৭ জন। জন-ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৮৪৮ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২,৪৫,৬৪৪ জন; যাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,১৭,৫৪০ জন ও মহিলা ভোটার ১,২৮,১০৪ জন। বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। মোট পরিবার সংখ্যা ৮২,৯৭০ টি।
স্বাস্থ্য
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স - ১টি,
- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র - ৫টি।
শিক্ষা
শিক্ষার হার ৬৪.৯৫%; যা পুরুষদের মধ্যে ৬৮% ও মহিলাদের মধ্যে ৬২%।
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৮৭টি (সরকারী - ৫২টি, বে-সরকারী - ৩৫টি);
- জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় - ৭টি;
- উচ্চ বিদ্যালয় - ১৮টি (সহশিক্ষা - ১৭টি, বালিকা - ১টি);
- মাদ্রাসা - ৮টি (দাখিল - ৫টি, আলিম - ২টি, ফাজিল - ১টি);
- কলেজ - ২টি (সহপাঠ)।
কৃষি
- বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা ৭৮,২৬৭ মেঃ টন।
- জমি
মোট জমির পরিমাণ - ২৩,৮৩৪ হেক্টর, নীট ফসলী জমি - ১৬,৫০০ হেক্টর, মোট ফসলী জমি - ৩৯,১০৩ হেক্টর, এক ফসলী জমি - ৩,০১৫ হেক্টর, দুই ফসলী জমি - ৪,৩৬৭ হেক্টর, তিন ফসলী জমি - ৯,১১৮ হেক্টর।
- সেচ
গভীর নলকূপ - ১২৩টি, অ-গভীর নলকূপ - ২,৪২৩টি, নলকূপের সংখ্যা - ৪,২৭৬টি, শক্তি চালিত পাম্প - ৪৮৮টি।
অর্থনীতি
যোগাযোগ ব্যবস্থা
- পাকা রাস্তা - ৭৬.১১৩ কিঃমিঃ, অর্ধ-পাকা রাস্তা - ১০৯.৩৬৭ কিঃমিঃ, কাচা রাস্তা - ২৯৮.২১৭ কিঃমিঃ।
- ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা - ৪৬৬টি।
কৃতি ব্যক্তিত্ব
- আজিম - চলচ্চিত্র অভিনেতা;
- আবদুশ শাকুর - কথাসাহিত্যিক;
- রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির - ফুটবলার।
- ফখরউদ্দীন মুবারক শাহ- বাংলার নবাব
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
জনপ্রতিনিধি
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[3] | সংসদ সদস্য[4][5][6][7][8] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৭২ নোয়াখালী-৫ | কবিরহাট উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা | ওবায়দুল কাদের | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
বিবিধ
- এতিমখানা - ৭টি (বে-সরকারী);
- মসজিদ - ৩১টি;
- ব্যাংক শাখা - ১০টি;
- পোস্ট অফিস/সাব পোঃ অফিস - ১টি;
- টেলিফোন এক্সচেঞ্জ - ১টি।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "এক নজরে কবিরহাট"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।
- http://www.dcnoakhali.gov.bd/index.php?opxion=com_content&view=article&id=206&option=com_content&Itemid=37%5B%5D
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।