ফেনী জেলা
ফেনী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ফেনী | |
---|---|
জেলা | |
![]() নদীতীরে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, সোনাগাজী | |
![]() বাংলাদেশে ফেনী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১′০″ উত্তর ৯১°২৩′৩০″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৭ নভেম্বর, ১৯৮৩ |
আয়তন | |
• মোট | ৯২৮.৩৪ কিমি২ (৩৫৮.৪৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৪,৯৬,১৩৮ |
• জনঘনত্ব | ১৬০০/কিমি২ (৪২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৯.৬০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৯০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৩০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আয়তন
ফেনী জেলার মোট আয়তন ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার।[1]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৪,৯৬,১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,২২,৬২৬ জন এবং মহিলা ৭,৭৩,৫১২ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১৪৫১ জন।[2] মোট জনসংখ্যার ৭৮.৭০% মুসলিম, ২১.২৪% হিন্দু এবং ০.০৬% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[1]
অবস্থান ও সীমানা
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°৪৪´ থেকে ২৩°১৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৫´ থেকে ৯১°৩৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে ফেনী জেলার অবস্থান।[1] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৬১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। এ জেলার পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ, দক্ষিণ-পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠাকাল

১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মানোন্নীত করে জেলায় রূপান্তর করা হয়েছিল ফেনী জেলা তার একটি। ১৯৮৪ সালের পূর্বে এটি নোয়াখালী জেলার একটি মহকুমা ছিল। এ মহকুমার গোড়াপত্তন হয় ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মীরসরাই, ছাগলনাইয়া ও আমীরগাঁও এর সমন্বয়ে। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন কবি নবীনচন্দ্র সেন। ১৮৭৬ সালে মীরসরাইকে কর্তন করে চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভক্ত করা হয়। প্রথম মহকুমা সদর দপ্তর ছিল আমীরগাঁওয়ে। ১৮৭২ থেকে ১৮৭৪ সালের মধ্যে মোগল আমলের আমীরগাঁও থানা নদী ভাঙ্গনের ফলে ফেনী নদীর ঘাটের কাছাকাছি খাইয়ারাতে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে এটি ফেনী থানা নামে পরিচিত হয়। অতঃপর ১৮৭৬ সালে নতুন মহকুমার পত্তন হলে খাইয়ারা থেকে থানা দপ্তরটি মহকুমা সদরে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন মহকুমাটি ফেনী নামে পরিচিত হয়।[3] পরবর্তীতে ১৮৮১ সালে তা ফেনী শহরে স্থানান্তরিত হয়।[4]
নামকরণ
ফেনী নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী। মধ্যযুগে কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় একটি বিশেষ নদীর স্রোতধারা ও ফেরী পারাপারের ঘাট হিসেবে ফনী শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ষোড়শ শতাব্দীর সময়ে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার। এরপর সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত বাহরিস্তান-ই-গায়েবীতে ফনী শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ফেনী-তে পরিণত হয়।[5]
আঠার শতকের শেষার্ধে কবি আলী রজা প্রকাশ কানু ফকির তার পীরের বসতি হাজীগাঁও এর অবস্থান সম্পর্কে লিখছেন, ফেনীর দক্ষিণে এক ষর উপাম, হাজীগাঁও করিছিল সেই দেশের নাম। কবি মুহম্মদ মুকিম তার পৈতৃক বসতির বর্ণনাকালে বলেছেন, ফেনীর পশ্চিমভাগে জুগিদিয়া দেশে। তারাও নদী অর্থে ফেনী ব্যবহার করেছেন। ধারণা করা হয় আদি শব্দ ফনী মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে।[4]
সাধারণ ইতিহাস
দূর অতীতে এ অঞ্চল ছিল সাগরের অংশ, তবে উত্তর পূর্ব দিক ছিল পাহাড়িয়া অঞ্চলের পাদদেশ। ফেনীর পূর্ব দিকের রঘুনন্দন পাহাড় থেকে কাজিরবাগের পোড়ামাটি অঞ্চলে হয়ত আদিকালে শিকারী মানুষের প্রথম পদচিহ্ন পড়েছিল। এখানকার ছাগলনাইয়া গ্রামে ১৯৬৩ সালে একটা পুকুর খননকালে নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের ব্যবহৃত একটা হাতিয়ার বা হাতকুড়াল পাওয়া গেছে। পণ্ডিতদের মতে ঐ হাতকুড়াল প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরাতন।[3]
বৃহত্তর নোয়াখালীর মধ্যে পূর্ব দিকের ফেনী অঞ্চলকে ভূ-খণ্ড হিসেবে অধিকতর প্রাচীন বলে পণ্ডিতগণ মত প্রকাশ করেছেন। ফেনীর পূর্বভাগের ছাগলনাইয়া উপজেলার শিলুয়া গ্রামে রয়েছে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ। প্রকাশ শিলামূর্তির অবস্থানের কারণে স্থানটি শিলুয়া বা শিল্লা নামে পরিচিত হয়েছে। প্রাচীন কালে হয়ত এখানে বৌদ্ধ ধর্ম ও কৃষ্টির বিকাশ ঘটেছিল।[6]
ড. আহমদ শরীফ চট্টগ্রামের ইতিকথায় বলেছেন, প্রাচীনকালে আধুনিক ফেনী অঞ্চল ছাড়া নোয়াখালীর বেশির ভাগ ছিল নিম্ন জলাভূমি। তখন ভুলুয়া (নোয়াখালীর আদি নাম) ও জুগিদিয়া (ফেনী নদীর সাগর সঙ্গমে অবস্থিত) ছিল দ্বীপের মতো।[7] ছাগলনাইয়া নামকরণ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে, ইংরেজ আমলের শুরুতে সাগর (Sagor) শব্দটি ভুল ক্রমে সাগল (Sagol) নামে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। তাই ছাগল নাইয়া শব্দটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য ইংরেজ আমলের পূর্বে কোন পুঁথি পত্রে ছাগল নাইয়া নামের কোন স্থানের নাম পাওয়া যায় না।[6]
ফেনী নদীর তীরে রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বীর বাঙ্গালী শমসের গাজীর রাজধানী ছিল। তিনি এখান থেকে যুদ্ধাভিযানে গিয়ে রৌশনাবাদ ও ত্রিপুরা রাজ্য জয় করেন। তিনি চম্পক নগরের একাংশের নামকরণ করেছিলেন জগন্নাথ সোনাপুর।[6]
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে তিন দিক থেকে ফেনীর রয়েছে সীমান্ত। ফলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ফেনীতে ব্যাপক অত্যাচার নিপীড়ন চালায়। ফেনী সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এর মধ্যে শুভপুর ও বিলোনিয়া যুদ্ধ অন্যতম। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ফেনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল মালেক (যুদ্ধকালীন সময়ে বি এল এফ এর প্রেসিডেন্ট) ও খাজা আহমদের নেতৃত্বে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা দেরাদুন ও চোত্তাখোলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার জাফর ইমামের নেতৃত্বে বিলোনিয়া যুদ্ধ একটি অনন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীকে মুক্ত করেন। প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর দিনটিকে ফেনী জেলাবাসী ফেনী মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে।[8] মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া হয়। খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীর বিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।[9]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
ফেনী জেলা ৬টি উপজেলা, ৬টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৪৩টি ইউনিয়ন, ৫৪০টি মৌজা, ৫৬৪টি গ্রাম ও ৩টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।[2]
উপজেলাসমূহ
ফেনী জেলায় মোট ৬টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:[10]
ক্রম নং | উপজেলা | আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে) |
প্রশাসনিক থানা | আওতাধীন এলাকাসমূহ |
---|---|---|---|---|
০১ | ছাগলনাইয়া | ১৩৩.৪৯ | ছাগলনাইয়া | পৌরসভা (১টি): ছাগলনাইয়া |
ইউনিয়ন (৫টি): মহামায়া, পাঠাননগর, রাধানগর, শুভপুর এবং ঘোপাল | ||||
০২ | দাগনভূঁইয়া | ১৬৫.৮৪ | দাগনভূঁইয়া | পৌরসভা (১টি): দাগনভূঁইয়া |
ইউনিয়ন (৮টি): সিন্দুরপুর, রাজাপুর, পূর্ব চন্দ্রপুর, রামনগর, ইয়াকুবপুর, দাগনভূঁইয়া, মাতুভূঁইয়া এবং জায়লস্কর | ||||
০৩ | পরশুরাম | ৯৭.৫৭ | পরশুরাম | পৌরসভা (১টি): পরশুরাম |
ইউনিয়ন (৩টি): মির্জানগর, চিথলিয়া এবং বক্স মাহমুদ | ||||
০৪ | ফুলগাজী | ৯৯.০৩ | ফুলগাজী | ইউনিয়ন (৬টি): ফুলগাজী, মুন্সিরহাট, দরবারপুর, আনন্দপুর, আমজাদহাট এবং জিএমহাট |
০৫ | ফেনী সদর | ১৯৭.৩৩ | ফেনী সদর | পৌরসভা (১টি): ফেনী |
ইউনিয়ন (১২টি): শর্শদি, পাঁচগাছিয়া, ধর্মপুর, কাজিরবাগ, কালিদহ, বালিগাঁও, ধলিয়া, লেমুয়া, ছনুয়া, মোটবী, ফাজিলপুর এবং ফরহাদনগর | ||||
০৬ | সোনাগাজী | ২০৫.০৭ | সোনাগাজী | পৌরসভা (১টি): সোনাগাজী |
ইউনিয়ন (৯টি): চর মজলিশপুর, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি, মতিগঞ্জ, চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সোনাগাজী, আমিরাবাদ এবং নবাবপুর |
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[11] | সংসদ সদস্য[12][13][14][15][16] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬৫ ফেনী-১ | পরশুরাম উপজেলা, ফুলগাজী উপজেলা এবং ছাগলনাইয়া উপজেলা | শিরীন আখতার | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল |
২৬৬ ফেনী-২ | ফেনী সদর উপজেলা | নিজাম উদ্দিন হাজারী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৬৭ ফেনী-৩ | দাগনভূঁইয়া উপজেলা এবং সোনাগাজী উপজেলা | মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) |
শিক্ষা ব্যবস্থা
ফেনী জেলার সাক্ষরতার হার ৫৯.৬০%। এ জেলায় রয়েছে:[2]
- বিশ্ববিদ্যালয় : ১টি
- ডিগ্রী কলেজ : ১১টি
- উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ : ১০টি
- ক্যাডেট কলেজ : ১টি (বালিকা)
- কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ১টি
- কম্পিউটার ইনস্টিটিউট : ১টি
- মাদ্রাসা : ৯৭টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১৫৫টি
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র : ১টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১৯টি
- পিটিআই : ১টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৫২৮টি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
অর্থনীতি
ফেনী জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। জেলার মধ্য দিয়ে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হওয়ার ফলে এর কৃষি জমি সমূহ বেশ উর্বর। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক লোক বিদেশ থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক আয় এ জেলার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বর্তমানে অনেক কলকারখানা এখানকার অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে সমৃদ্ধ ও সমুন্নত করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত আর্থিক অন্তর্ভূক্ত সূচীতে ফেনী দ্বিতীয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ফেনী জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া এ জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে।
স্বাস্থ্য
ফেনী জেলায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ১টি আধুনিক হাসপাতাল, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স, ১টি হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ১টি ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ১টি বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিক, ১টি ট্রমা সেন্টার, ১টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ১টি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ১৯টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩৩টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১১৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।[2]
নদ-নদী
ফেনী জেলার প্রধান প্রধান নদীগুলো হল ফেনী নদী, মুহুরী নদী, ছোট ফেনী নদী, কহুয়া নদী, সিলোনিয়া নদী এবং কালিদাস পাহালিয়া নদী।[2]
দর্শনীয় স্থান
- কাজিরবাগ ইকো পার্ক
- কৈয়ারা দীঘি
- চাঁদ গাজী ভুঞার মসজিদ
- চৌধুরী বাগান বাড়ী
- জগন্নাথ কালী মন্দির[17]
- তৃপ্তি এগ্রো পার্ক
- দাগনভূঁইয়া জমিদার বাড়ি
- প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি
- ফেনী নদী
- ফেনী বিমানবন্দর
- বিজয় সিংহ দীঘি
- ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
- মুহুরী প্রজেক্ট
- মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ
- রাজাঝির দীঘি
- শমসের গাজীর কেল্লা
- শর্শাদী শাহী মসজিদ
- শিলুয়া মন্দির
- সাত মঠ
- কালীদহ বরদা বাবু জমিদার বাড়ি
- সেনেরখিল জমিদার বাড়ি
- বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- আওরঙ্গজেব চৌধুরী –– বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান।
- আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী –– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন উপাচার্য।
- আবদুল আউয়াল মিন্টু –– এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি।
- আবদুস সালাম –– ভাষা শহীদ।
- আবদুস সালাম –– বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম মহাপরিচালক।
- আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী –– বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
- আমিন আহমদ –– প্রাক্তন বিচারপতি।
- আমীন আহম্মেদ চৌধুরী –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
- আহমেদ ফজলুর রহমান –– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি উপাচার্য।
- ইকবাল সোবহান চৌধুরী –– সাংবাদিক নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা।
- ইনামুল হক –– অভিনেতা, লেখক এবং নাট্যকার।
- এ বি এম মূসা –– সাংবাদিক।
- ওয়াসফিয়া নাজরীন –– পর্বতারোহী, এভারেস্ট বিজয়ী দ্বিতীয় বাঙালি নারী।
- কাইয়ুম চৌধুরী –– চিত্রশিল্পী।
- কাজী এবাদুল হক –– ভাষা সৈনিক এবং প্রাক্তন বিচারপতি।
- খান বাহাদুর আবদুল আজিজ –– শিক্ষাবিদ, লেখক এবং সমাজকর্মী।
- খালেদা জিয়া –– রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
- গাজীউল হক –– সাহিত্যিক, গীতিকার এবং ভাষাসৈনিক।
- গিয়াস উদ্দিন সেলিম –– নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা এবং চলচ্চিত্রকার।
- গিয়াস কামাল চৌধুরী –– সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং সংবাদ বিশ্লেষক।
- জহির রায়হান –– ভাষা সৈনিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার।
- জহুর হোসেন চৌধুরী –– সাংবাদিক।
- জয়নাল হাজারী –– বাংলাদেশী প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
- জাফর ইমাম –– বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক মন্ত্রী।
- জাহান আরা বেগম সুরমা –– রাজনীতিবিদ।
- নজির আহমেদ –– ছাত্রনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার তিনি প্রথম শিকার।
- নিজাম উদ্দিন হাজারী –– রাজনীতিবিদ।
- পান্না কায়সার –– রাজনীতিবিদ।
- ফয়জুল মহিউদ্দিন –– শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- বেলাল চৌধুরী –– সাংবাদিক এবং প্রাবন্ধিক।
- মকবুল আহমদ –– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির।
- মহম্মদ আবুল কাসেম –– বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি।
- মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা।
- মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন –– ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন –– ক্রিকেটার।
- রবিউল হক –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
- রহিম উল্লাহ –– রাজনীতিবিদ।
- রোকেয়া প্রাচী –– অভিনেত্রী এবং নাট্যকার।
- শমসের গাজী –– ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
- শমী কায়সার –– অভিনেত্রী এবং প্রযোজক।
- শরিফা খাতুন –– শিক্ষাবিদ এবং ভাষা সৈনিক।
- শহীদুল্লা কায়সার –– লেখক এবং বুদ্ধিজীবী।
- শামসুন নাহার মাহমুদ –– নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী।
- শাহরিয়ার কবির –– লেখক এবং সাংবাদিক।
- শিরীন আখতার –– রাজনীতিবিদ।
- শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন –– সেনা কর্মকর্তা।
- সাঈদ এস্কান্দার –– বাংলাদেশের প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
- সালাহউদ্দিন মমতাজ –– বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- সিরাজুল হক খান –– শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- সুমাইয়া কাজী –– নারী উদ্যোক্তা।
- সুলতান মাহমুদ –– বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- সেলিনা পারভীন –– শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- সেলিম আল দীন –– নাট্যকার এবং গবেষক।
- হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং ফুটবলার।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80_%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
- http://www.feni.gov.bd/site/page/462f85df-2144-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%8F%E0%A6%95%20%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80%20%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
- জমির আহমেদ। ফেনীর ইতিহাস। চট্টগ্রাম: সমতট প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১২।
- http://www.feni.gov.bd/site/page/d856f212-2144-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80%20%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF
- জমির আহমেদ। ফেনীর ইতিহাস। চট্টগ্রাম: সমতট প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১১।
- জমির আহমেদ। ফেনীর ইতিহাস। চট্টগ্রাম: সমতট প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৩।
- ফেনীর ইতিহাস-জমির আহমেদ(সমতট প্রকাশনী, ৩২, কাতাল গঞ্জ ,চট্টগ্রাম) পৃষ্ঠা-১৩, লাইন-১৬
- "ফেনী মুক্ত দিবস আজ"। দৈনিক প্রথম আলো। ৬ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৫।
- "ফেনীর খেতাবপ্রাপ্ত ৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধা"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৫।
- http://www.feni.gov.bd/site/page/462f4aa2-2144-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "দর্শনীয় স্থান"। zpfeni.gov.bd। ২৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৮, ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ফেনী জেলা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিভ্রমণে ফেনী জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |