কুষ্টিয়া জেলা
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এ জেলাতে রয়েছে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষের ভাষা বাংলাদেশের সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষা।
কুষ্টিয়া | |
---|---|
জেলা | |
![]() শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নে অবস্থিত কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি। | |
![]() বাংলাদেশে কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′১১″ উত্তর ৮৯°১৩′১২″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
আসন | ৪টি |
সরকার | |
• যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সংসদ সদস্য | মাহাবুবুল আলম হানিফ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১৬২১.১৫ কিমি২ (৬২৫.৯৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,৪৬,৮৩৮ |
• জনঘনত্ব | ১২০০/কিমি২ (৩১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৬.৩৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭০০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৫০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাস
পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও পাবনা জেলার মহকুমা /থানা হিসেবেও রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল এ জেলাটি। কোম্পানি আমলে কুষ্টিয়া যশোর জেলার অধীনে ছিল।১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে।

অবশ্য কুষ্টিয়া কোনো প্রাচীন নগর নয়। সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এখানে একটি নদীবন্দর স্থাপিত হয়। যদিও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ বন্দর বেশি ব্যবহার করত, তবুও নীলচাষী ও নীলকরদের আগমনের পরেই নগরায়ন শুরু হয়। ১৮৬০ সালে কলকাতার (তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রাজধানী)সাথে সরাসরি রেললাইন স্থাপিত হয়। একারণে এ অঞ্চল শিল্প-কারখানার জন্য আদর্শ স্থান বলে তখন বিবেচিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে যজ্ঞেশ্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস(১৮৯৬), রেণউইক, যজ্ঞেশ্বর এণ্ড কোং (১৯০৪) এবং মোহিনী মিলস (১৯১৯) প্রতিষ্ঠিত হয়। [1]
১৯৪৭-এ ভারতবর্ষ ভাগের সময় কুষ্টিয়া পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। [2] এর সাবডিভিশন ছিল কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর। তৎকালীন এস ডি ও মৌলভি আব্দুল বারী বিশ্বাস কে প্রধান করে ১৯৫৪ সালে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু সরকারী অফিস কুষ্টিয়ায় স্থাপনের পরে শহরটিতে পুনরায় উন্নয়ন শুরু হয়।
ভৌগোলিক সীমানা
কুষ্টিয়া জেলার আয়তন ১,৬২১.১৫ বর্গকিলোমিটার । এর উত্তরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা, পূর্বে রাজবাড়ী এবং পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা অবস্থিত ।
কুষ্টিয়ার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রধান নদীগুলো হল পদ্মা, গড়াই নদী, মাথাভাঙ্গা, কালীগঙ্গা ও কুমার নদী। জেলাটির গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৮°সে এবং গড় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১১.২°সে । এখানকার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১,৪৬৭ মি.মি.।
প্রশাসন
কুষ্টিয়া জেলা ৬টি উপজেলা, ৭টি থানা,[3] ৫টি পৌরসভা, ৫৭টি ওয়ার্ড, ৭০টি মহল্লা, ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭১০টি মৌজা ও ৯৭৮টি গ্রামে বিভক্ত। উপজেলাগুলো হলো:
কুষ্টিয়া জেলায় ৫ টি পৌরশহর রয়েছে
- কুষ্টিয়া পৌরসভা -
আয়তন ৪২.৭৯ বর্গ কি.মি.
জনসংখ্যা ৪১০,১৪৯(বাংলাদেশের ১৩তম বড় শহর)।
ওয়ার্ড সংখ্যা ২১ টি।
- কুমারখালী পৌরসভা-
আয়তন- ১১ বর্গ কি.মি
জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০
ওয়ার্ড সংখ্যা- ৯টি
- ভেড়ামারা পৌরসভা-
আয়তন-১০ বর্গ কি.মি.
জনসংখ্যা প্রায় ৫০,০০০
ওয়ার্ড সংখ্যা - ৯টি
- মিরপুর পৌরসভা
আয়তন- ৯.২২ বর্গ কি.মি.
জনসংখ্যা প্রায় ৪০,০০০
ওয়ার্ড সংখ্যা- ৯টি
- খোকসা পৌরসভা
আয়তন- ১২.৩৮ বর্গ কি.মি
জনসংখ্যা প্রায় ৪৫,০০০
ওয়ার্ড সংখ্যা - ৯টি
জনসংখ্যা
কুষ্টিয়া জেলার জনসংখ্যা ১৭,১৩,২২৪ জন, যার মধ্যে ৫০.৮৬% পুরুষ ও ৪৯.১৪% মহিলা। জনসংখ্যার ৯৫.৭২% মুসলিম, ৪.২২% হিন্দু ও ০.০৬% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
শিক্ষা
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেঃ
|
|
|
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৮৭৬),কুমারখালি এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত :১৮৫৬),
মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৮৯৮), কুষ্টিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (স্থাপিত ১৯৪৭), কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ (স্থাপিত ১৯৬৮), দৌলতপুর অনার্স কলেজ (স্থাপিত ১৯৮৫), কুষ্টিয়া হাই স্কুল এবং কুষ্টিয়া জিলা স্কুল (স্থাপিত ১৯৬১)। কুওয়াতুল ইসলাম কামিল (এম.এ) মাদরাসা, রক্সিগোলি, বড়বাজার, কুষ্টিয়া (প্রতিষ্ঠিত ১৯৫৫) ঐতিহ্যেবাহী হরিনারায়ণপুর হাইস্কুল (স্থাপিত. .১৮৯১)((আমলা সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়)) (প্রতিষ্ঠিত ১৮৯৯)
বৃহত্তর কুষ্টিয়া
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে কুষ্টিয়া কয়েকটি সাবডিভিশন নিয়ে গঠিত একটি বড় জেলা, যার প্রতিটি সাবডিভিশন পরবর্তীকালে জেলা হয়েছে। কিন্তু এই তিন জেলা চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে বৃহত্তর কুষ্টিয়া শুধুই একটি অতীত নয়, আরও কিছু। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে, এই অঞ্চলের ও অবিভক্ত নদীয়া জেলার আদি বাসিন্দাদের মুখের ভাষার সাথে আধুনিক প্রমিত বাংলার ঘনিষ্ঠ মিল পাওয়া যায়। এই তিন জেলার অধিবাসীদের বৃহত্তর সমাজকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা বলা হয়। বিভিন্ন সংস্থা যেমনঃ "বৃহত্তর কুষ্টিয়া এসোসিয়েশন", "বৃহত্তর কুষ্টিয়া সমাজ" এই তিন জেলার জনগনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
কৃষি
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত কুষ্টিয়াতেও প্রধানত ধান, পাট, আখ, ডাল, তৈলবীজ ইত্যাদি চাষ করা হয়। তবে জেলাটিতে তামাক ও পানের চাষও লক্ষণীয়।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়া কেবল চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল নয়। চাষাবাদের পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। কুষ্টিয়ায় অনেক তামাকের কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে নাসির টোব্যাকো লিমিটেড, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, দি ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো, পারফেক্ট টোব্যাকো উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক তার তৈরির কারখানা বি.আর.বি. কেবলস কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। জেলার কুমারখালি উপজেলায় গড়ে উঠেছে উন্নতমানের ফ্রেব্রিকস শিল্প। এখানে উৎপাদিত ফ্রেব্রিকস সামগ্রী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় অসংখ্য চালের মিল রয়েছে। বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে ওঠায় এককভাবে কৃষিকাজের উপর নির্ভরতা কম।
কুষ্টিয়ার শিল্প
কুষ্টিয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা-
বৃহৎ শিল্প - ৩৯ টি
মাঝারী শিল্প - ৮১ টি
ক্ষুদ্র শিল্প - ৬২১২ টি
কুটির শিল্প - ২১৮৩৭ টি
উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরীতে অনেক বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কুমারখালী উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীতে রয়েছে অনেক টেক্সটাইল ও হোসিয়ারী ইন্ডাস্ট্রি। ভেড়ামারা উপজেলায় ৫০০ একর জায়গার উপর নির্মিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার ইকোনোমিক জোন, যেখানে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলায় দেশের সর্ববৃহৎ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে গড়ে উঠেছে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছে তামাক শিল্প। কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় ৪০০ অটো রাইস মিল রয়েছে যেখান থেকে বাংলাদেশের ৭০% চাল প্রক্রিয়াজাত হয়ে থাকে। কুষ্টিয়াতে এর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অনেক আটা ময়দার মিল। এছাড়াও তামাক ও আখ শিল্প এ জেলাকে কৃষির পাশাপাশি শিল্পে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
এ জেলার উল্লেখযোগ্য শিল্প গ্রুপ
বি আর বি গ্রুপ
নাসির গ্রুপ
কে এন বি গ্রুপ
রশিদ গ্রুপ
নদীসমূহ
কুষ্টিয়া জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা নদী, মাথাভাঙ্গা নদী, কুমার নদ, কালীগঙ্গা নদী, গড়াই নদী ও ডাকুয়া খাল নদী,সাগরখালী নদী।[4][5]
চিত্তাকর্ষক স্থান
কুষ্টিয়া একটি প্রাচীন জনপদ। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার একটি মহকুমা ছিল। এখানে দেখার মত অনেক স্থান রয়েছেঃ
- রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী - কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রয়েছে;
- ফকির লালন সাঁইজির মাজার - বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেউড়িয়া গ্রামে;
- টেগর লজ - কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় অবস্থিত এই দোতলা ভবনটি;
- পরিমল থিয়েটার - কুষ্টিয়া শহরের স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ;
- গোপীনাথ জিউর মন্দির - নলডাঙ্গার মহারাজা প্রমথ ভূষণ দেব রায় কর্তৃক দানকৃত জমির উপর নির্মিত;
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা - বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত;
- পাকশী রেল সেতু - কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু;
- লালন শাহ সেতু - কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর উপর নির্মিত "লালন শাহ" সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
- লালন শাহ্ - প্রখ্যাত বাউল ও মরমী গানের স্রষ্টা;
- ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম - বিশিষ্ট আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা
- প্যারীসুন্দরী দেবী - নীলকর টমাস আইভান কেনির কৃষকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন করেন;
- কাঙাল হরিনাথ - সাময়িক পত্রসেবী, সমাজ বিপ্লবী ও বাউল কবি;
- জলধর সেন - ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখক
- মোহিনী মোহন চক্রবর্তী - প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও পূর্ববাংলার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কল চক্রবর্তী এন্ড সন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা;
- গগন হরকরা - প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ;
- মীর মশাররফ হোসেন - প্রখ্যাত সাহিত্যিক;
- অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় - ইতিহাসবিদ, আইনজীবি ও সাহিত্যিক এবং বিজ্ঞান সম্মত প্রণালীতে বাংলা ভাষায় ইতিহাস রচনায় পথিকৃত;
- মাহবুবুল আলম হানিফ - বর্তমান সংসদ সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ;
- যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বাঘা যতীন) - অগ্নিযুগের প্রখ্যাত স্বদেশী নেতা ও সশস্ত্র সংগ্রামী;
- ড. রাধা বিনোদ পাল - প্রখ্যাত আইনজীবি, আইন সম্পর্কিত বহু গ্রন্থের রচয়িতা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালনকারী;
- খগেন্দ্রনাথ মিত্র - খ্যাতনামা শিশু সাহিত্যিক।
- ড. কাজী মোতাহার হোসেন - সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ ও দাবাড়ু;
- মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা - বাঙ্গালী মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম সনেট ও গদ্য ছন্দে কবিতা লিখেছেন;
- আজিজুর রহমান - কবি, গীতিকার ও কুষ্টিয়ার ইতিহাস সন্ধানী;
- রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই - খ্যাতনামা শিশু সংগঠক;
- মোঃ আফতাব উদ্দিন খান, মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক, কুষ্টিয়া জেলার সর্ববৃহত গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী গেরিলা কমান্ডার:
- কাজী আরেফ আহমেদ - মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার;
- স্যার মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় - কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও আইনশাস্ত্রবিদ
- শিবেন্দ্রমোহন রায় - ব্রিটিশ আমলের কমিউনিস্ট কর্মী এবং মানবাধিকার আন্দোলনের শহীদ;
- আবদুর রউফ চৌধুরী - মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
- শাহ আজিজুর রহমান - রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী;
- হাবিবুল বাশার সুমন - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক;
- এনামুল হক বিজয় - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার;
- মোহাম্মদ মিঠুন - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য।
- সালাউদ্দিন লাভলু - বিশিষ্ট নাট্য নির্মাতা ও অভিনেতা।
- এস আই টুটুল - বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক, সুরকার ও গায়ক।
- এ্যাডটোকেট আজিজুর রহমান আক্কাস - মুক্তিযোদ্ধা ,সংগঠক , কুষ্টিয়া ১ আসনের এম পি;
- আহসানুল হক (পচামোল্লা) - জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী;
- আল্লামা সোবহান -ইসলামীক চিন্তাবীদ।
- কোরবান আলী - সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী।
- মারফত আলী-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং রাজনীতিবিদ।
- মিজু আহমেদ -অভিনেতা ৷
- আহমেদ শরীফ- অভিনেতা।
- আব্দুল জব্বার -মুক্তিযোদ্ধা,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী।
- সালমা আক্তার- সঙ্গীত শিল্পী।
- শফি মন্ডল- জনপ্রিয় বাউল শিল্পী
- বন্যা মির্জা- মঞ্চ ও টিভি অভিনেত্রী।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "শিল্প প্রতিষ্ঠান"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া"। দৈনিক সংগ্রাম। ৯ জুলাই ২০১২। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে কুষ্টিয়া জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগ
- কুষ্টিয়া জেলা- জাতীয় তথ্য বাতায়ন।