সুনামগঞ্জ জেলা
সুনামগঞ্জ জেলা (সিলেটি:) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক তথ্যাবলি থেকে অনুমান করা হয় যে, সুনামগঞ্জ জেলার সমগ্র অঞ্চল প্রাচীন কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। জনৈক মোঘল সিপাহি সুনামুদ্দির নামে সুনামগঞ্জের নামকরন করা হয় ।১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সুনামগঞ্জকে মহকুমায় এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় উন্নীত করা হয় । [2]
সুনামগঞ্জ | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে সুনামগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
![]() ![]() সুনামগঞ্জ ![]() ![]() সুনামগঞ্জ | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°১′৫১″ উত্তর ৯১°২৪′১৪″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা পরিষদ | সুনামগঞ্জ জেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | নুরুল হুদা মুকুট (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৭৪৭.১৮ কিমি২ (১৪৪৬.৭৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৪)[1] | |
• মোট | ২৪,৬৭,৯৬৮ |
• জনঘনত্ব | ৬৬০/কিমি২ (১৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯৫.৭৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩০০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নামকরণ
‘সুনামদি’ নামক জনৈক মোগল সিপাহীর নামানুসারে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ‘সুনামদি’ (সুনাম উদ্দিনের আঞ্চলিক রূপ) নামক উক্ত মোগল সৈন্যের কোন এক যুদ্ধে বীরোচিত কৃতিত্বের জন্য সম্রাট কর্তৃক সুনামদিকে এখানে কিছু ভূমি পুরস্কার হিসাবে দান করা হয়। তার দানস্বরূপ প্রাপ্ত ভূমিতে তারই নামে সুনামগঞ্জ বাজারটি স্থাপিত হয়েছিল। এভাবে সুনামগঞ্জ নামের ও স্থানের উৎপত্তি হয়েছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে।[3]
ভৌগোলিক সীমানা
উত্তরে খাসিয়া ও জৈন্তিয়া পাহাড়, পূর্বে সিলেট জেলা, দক্ষিণে হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নেত্রকোনা জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলা।
উপজেলাসমূহ
সুনামগঞ্জ জেলার উপজেলাগুলো হচ্ছে:
ইতিহাস
প্রাচীনকাল থেকে বহু ভাষাভাষী জাতি, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে বেড়ে উঠেছে সার্বভৌম বাংলাদেশের বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ অঞ্চল । পৌরাণিক যুগে প্রাচীন কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল সুনামগঞ্জ । সুনামগঞ্জের লাউড় পর্বতে কামরূপ রাজ্যের উপরাজধানী স্থাপন করেছিলেন রাজা ভগদত্ত । রাজা ভগদত্তের শাসনামলে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ বাংলাদেশের ঢাকা এবং ময়মনসিংহ জেলার মধ্যবর্তী অঞ্চল লাউড় রাজ্যের অধীন শাসিত হত । লাউড়ের গড়ের ভগ্নাবশেষ আজও অত্র অঞ্চলে বিদ্যমান, যা রাজা ভগদত্তের বাড়ি বলে জনশ্রুতিতে ব্যক্ত ।[4] লাউড় রাজ্যের চতুসীমা ছিল পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ, পূর্বে জৈন্তিয়া, উত্তরে কামরূপ সীমান্ত ও দক্ষিণে বর্তমানে ব্রাম্মণবাড়িয়া পর্যন্ত। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই লাউড় রাজ্যের প্রাচীন নিদর্শন হাওলি প্রকৃতপক্ষে ছিল রাজবাড়ী। এ রাজ্যে স্থপতি রাজা ভগদত্তের ১৯ জন বংশধর সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য স্থাপন করে। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন লাউড় রাজ্য কামরূপ রাজ্য থেকে আলাদা হয়। দশম শতক থেকে স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন শুরু হয় । মহাভারতের যুদ্ধে অর্জুনের পক্ষে লড়তে গিয়ে নিহত হন রাজা ভগদত্ত। দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা বিজয় মাণিক্য লাউড় রাজ্য শাসন করেন। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরেও রাজ্য স্থাপন করেন। এ সময় বঙ্গের ব্রাহ্মণরা বল্লাল সেনের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজ্যে এসে আশ্রয় নেন। বিজয় মাণিক্যের পর কারা লাউড় শাসন করে তা এখনো অজানা। তেরশত শতাব্দীর পর চৌদ্দ'শ সালের প্রথমার্ধে কাত্যায়ন গোত্রিয় দিব্য সিংহ নামে নৃপতি লাউড়ে রাজত্ব করেন। তখন লাউড়ের রাজধানী নবগ্রামে স্থানান্তর হ্য়। এ সময় লাউড় এবং জগন্নাথপুর রাজ্য অনেক জ্ঞানী পুরুষের আবির্ভাবে প্রফুল্লিত হয়েছিল। রাজ্যের রাজমন্ত্রী কুবেরাচার্য ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ব্যক্তি। যার জ্ঞানের চর্চা ভারতবর্ষের অন্যতম বিদ্যাপীঠ নবদ্বীপ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল। এছাড়া উক্ত রাজ্যের নবগ্রামে মাধবেন্দ্রপুরী নামে আরেক জন জ্ঞানী সাধু পুরুষ বসবাস করতেন। এই মাদেবন্দ্রপুরির কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করে লাউড়ের যুবরাজ রমানাথ বা রামা ও মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যেচার্য সারা ভারতবর্ষে স্মরণীয় হয়ে আছেন। রমানাথ সিংহ উপযুক্ত হলে রাজা দিব্য সিংহ রাজ্যভার তার পুত্র রমানাথকে দিয়ে, শান্তি সাধনায় তিনি তার মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যের আখড়া শান্তিপুরে চলে যান। সেখানে থেকে অদ্বৈত্যের উপদেশে বৈষ্ণবীধর্ম গ্রহণ করেন এবং সাহিত্য চর্চায় মনোযুগী হয়ে বাংলা ভাষায় বিঞ্চুভক্তি শাস্ত্র গ্রন্থ সহ আরও কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ করেন। অতপর অদ্বৈত্য বাল্যলিলা গ্রন্থ রচনা করে কৃষ্ণদাস নামে আখ্যাত হন। রাজা দিব্য সিংহের পুত্র রামানাথ সিংহের তিন পুত্র ছিল। এই তিন পুত্রের মধ্যে একজন কাশীবাসি হন এবং এক পুত্রকে লাউড়ের রাজ সিংহাসনে বসিয়ে; রামানাথ সিংহ তার অন্য পুত্র কেশবের সাথে জগন্নাথপুরে আসেন। প্রাচীন ইতিহাসে লাউড় রাজ্য সব সময় স্বাধীন ছিল বলে জানা যায়। সৈয়দ মূর্তজা আলী তার রচিত 'হযরত শাহ্জালাল ও সিলেটের ইতিহাস' বইয়ে উল্লেখ করেছেন মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে লাউড়ের রাজা গোবিন্দ সিংহ তার জ্ঞাতিভাই জগন্নাথপুরের রাজা বিজয় সিংহের সঙ্গে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়েছিলেন। এর জের ধরেই বিজয় সিংহ গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন। প্রায় পনেরো'শ শতকে হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে বানিয়াচং রাজ্য স্থাপিত হয়। এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কেশব একজন বণিক ছিলেন। তিনি বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এদেশে এসেছিলেন এবং কালী নামের দেবির পূজা নির্বাহের লক্ষ্যে দৈব্ বাণীতে শুকনো ভূমির সন্ধান প্রাপ্ত হয়ে সেখানে অবতরণ করে দেবি পূজা সমাধান করে দৈব বাণী মতে সেখানেই বসতি স্থাপন করেন। এক সময় শ্রীহট্টের উত্তর সীমা হতে ভেড়ামোহনা নদী পর্যন্ত বানিয়াচং রাজ্য বিস্তৃত ছিল। প্রায় শতের'শ শতকের শেষের দিকে গোবিন্দ খাঁ কর্তৃক শ্রীহট্ট ভূমির প্রাচীন রাজ্য "লাউড়" ইহার অধিকার ভূক্ত হয়। যাহা মূলত তৎকালে জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশের অধিকারে আসার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশ তাদের অধিকার হারায় এবং ইহার জের ধরে দুই রাজ্যের মধ্যে হতা-হতীর কারণ জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশ ধংশ হয়। ঐ সময়ে বানিয়াচং রাজা গোবিন্দ খাঁ দিল্লীর সম্রাটদের দ্বারা মুসলমান হয়ে, হাবিব খাঁ নাম ধারণ করে দেশে ফিরেন। শতরে'শ শতকের পরে লাউড় রাজ্য স্বাধীনতা হারায় এবং মোঘলরা এর নিয়ন্ত্রক হন । যার ভিত্তিতে সুনাম উদ্দিন নামে জনৈক মোঘল সিপাহী এ অঞ্চলে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। পরে উপজেলা, মহকুমা ও জেলা শহরে রুপান্তরিত হয়। বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার নাম ছিল বনগাঁও। ১৮৭৭ সালে সুনামগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠত হয়। ১৯৮৪ সালে জেলায় রুপান্তরিত হয়। জেলায় মোট ৮১টি ইউনিয়ন এবং ২৭৭৩টি গ্রাম আছে। জেলার প্রথম হাইস্কুল সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৭ সাল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়, দ্বিতীয় হাইস্কুল দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৫ সালে দিরাই উপজেলায়, তৃতীয় হাইস্কুল ব্রজন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁওয়ে। ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ।
অর্থনীতি

মাথাপিছু আয় ৩৫৯০ ডলার।কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল।ধান উৎপাদনে এ জেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশ খাদ্যে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। মূলতঃ পাথর শিল্প, মৎস্য, ধান, সিমেন্ট শিল্প।
শিক্ষাব্যবস্থা
সুনামগঞ্জ জেলার সাক্ষরতার হার ৪৯.৭৫%। সুনামগঞ্জ জেলায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ:-
- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (প্রস্তাবিত)" দেশের ৪১তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
- সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ
- সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ
- সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ,সুনামগঞ্জ
★ সুনামগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট সুনামগঞ্জ
- সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট
- দিগেন্দ্র বর্মন সরকারি কলেজ
- জামালগঞ্জ সরকারি কলেজ
- ছাতক সরকারি কলেজ
- দিরাই সরকারি কলেজ
- ধর্মপাশা সরকারি কলেজ
- দোয়ারাবাজার সরকারি কলেজ
- জগন্নাথপুর সরকারি কলেজ
- শাল্লা সরকারি কলেজ
- বাদাঘাট সরকারি কলেজ
- সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
- সরকারি এস.সি. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
- এইচ.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
- সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
- নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
- সুনামগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, সুনামগঞ্জ
- তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
- বিশ্বম্ভপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- শক্তিয়ারখলা উচ্চ বিদ্যালয়
সড়ক, রেল ও নৌপথ
- সড়ক যোগাযোগ সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কটিই জেলার সড়ক যোগাযোগের প্রধানতম পথ। এ পথেই রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা হয়। সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা হয়ে নেত্রকোনা জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের নিমিত্তে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প নির্মাণাধীন।
এছাড়া সুনামগঞ্জ-ছাতক আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক সড়কের মাধ্যমে জেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে উপজেলাগুলো।
- রেল যোগাযোগ
জেলার ছাতক উপজেলার সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে সিলেট-ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ পরিকল্পনাধীন।
- নৌ যোগাযোগ
প্রাচীন কাল থেকে সুনামগঞ্জের সাথে ঢাকা শহরের নৌ যোগাযোগ ছিল। সুরমা নদী হয়ে এ যোগাযোগ এখনো অব্যাহত আছে।
দর্শনীয় স্থান
- শাহ আরেফিন (রঃ) মাজার
- টাঙ্গুয়ার হাওর
- নীলাদ্রি লেক
- সিরাজ উদ্দীন লেক
- হাসন রাজার বাড়ি
- নারায়ণতলা
- সৈয়দপুর গ্রাম
- নারায়ণতলা মিশন
- পণতীর্থ স্মৃতি ধাম
- বাঁশতলা শহীদ স্মৃতিসৌধ
- লাউড়েরগর
- ডলুরা স্মৃতি সৌধ
- টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প
- সুখাইড় জমিদার বাড়ী
- শাহ কালাম কোহাফাহ্ (রহ.)-এর রওজা
- পাইলগাঁওয়ের জমিদার বাড়ি
- গৌরারং জমিদার বাড়ি
- হাওলি জমিদার বাড়ি
- পানাইল জমিদার বাড়ি
নদনদী
সুনামগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন নদী প্রবাহিত হয়েছে। যেমনঃ সুরমা নদী, জাদুকাটা নদী, পিয়াইন নদী, সারী-গোয়াইন, সোনালী চেলা, ঘানুয়ারা নদী, বোকা নদী। এসব নদীকে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন জীবন ব্যাবস্থা গড়ে উঠেছে। নদীপথে যাতায়াতে উল্লেখ্য নদী গুলোর ভূমিকা রয়েছে। জেলেদের জীবিকা নির্বাহে নদীগুলো অন্যতম মাধ্যম।
প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

- বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম (একুশে পদক পাপ্ত)
- সৈয়দ শাহনুর, (১৭৩০- ১৮৫৪) একজন বাংলাদেশী মরমী কবি ও সাহিত্যিক। তিনি সাধক কবি ও পীর হিসেবে সমধিক পরিচিত।
- রাধারমণ দত্ত, বা রাধারমণ দত্ত পুরকায়স্থ (১৮৩৩ - ১৯১৫) হলেন একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক বৈঞ্চব কবি, ধামালি গান ও নৃত্যের প্রবর্তক।
- হাসন রাজা, (২১ ডিসেম্বর, ১৮৫৪ - ৬ ডিসেম্বর, ১৯২২) বাংলাদেশের একজন মরমী কবি এবং জমিদার ।
- দুর্বিন শাহ, মরমী কবি।
- কামাল উদ্দিন মরমী সাধক, গীতিকার।
- সৈয়দা শাহার বানু, (১৯১৪-১৯৮৩) ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং সিলেটে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
- শাহ আবদুল করিম, (জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৬ - মৃত্যু: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯) বাংলা বাউল গানের কিংবদন্তী।
- শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়া একজন মরমী সাধক ও গীতিকার । যিনি লিখেছেন দুই হাজারেরও উর্ধে গান ।
- মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী (সেপ্টেম্বর ১, ১৯১৮ - ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৮৪), বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
- আব্দুস সামাদ আজাদ, (১৫.০১.১৯২৬ - ২৭.০৪.২০০৫), রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রদূত, সাবেক এমপি, বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ৫ম সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা।
- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাজনীতিবিদ, সাবেক এমপি ও রেলমন্ত্রী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
- কাকন বিবি ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্দা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর।
- সুহাসিনী দাস (জন্ম ১লা ভাদ্র ১৩২২ (বঙ্গাব্ধ) - মৃত্যু মে ২৫, ২০০৯) বাংলাদেশী নারী সংগঠক যিনি বৃটিশ বিরোধী এবং ভারতের স্বাধীনতা অন্দোলনের পূর্ব বাংলায় বিপ্লবী ভূমিকা পালন করেন।
- আছিম শাহ সুফী সাধক, মরমী গীতিকার।
- দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, দার্শনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক।
- শাহেদ আলী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবী, একুশে পদকপ্রাপ্ত।
- আনোয়ার চৌধুরী (জন্ম ১৫ জুন ১৯৫৯), একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ। তিনিই প্রথম কোন বাঙালি যিনি ব্রিটিশ হাই কমিশনার হিসাবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করেন।
- রামকানাই দাশ, একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় ও লোকসংগীতশিল্পী ও সংগ্রাহক।[5]
- সুষমা দাস, একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসংগীতশিল্পী।[6]
- ধ্রুব এষ, চারুকলা শিল্পী ও প্রচ্ছদ শিল্পী।
চিত্রশালা
- অপূর্ব সুনামগঞ্জ
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে সুনামগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত: মোহাম্মদ মমিনুল হক, গ্রন্থ প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১।
- জেলা তথ্য বাতায়ন
- শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, গ্রন্থকার - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।
- Ram Kanai Das' rendition of folk songs
- "একুশে পদক পাচ্ছেন সুনামগঞ্জের সুষমা দাস"। sunamkantha.com। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিভ্রমণে সুনামগঞ্জ জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |
- বাংলাপিডিয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা
- সুনামগঞ্জ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট জেলা তথ্য বাতায়ন।