বাহুবল উপজেলা
বাহুবল উপজেলা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
বাহুবল | |
---|---|
উপজেলা | |
বাহুবল বাহুবল | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২১′২২″ উত্তর ৯১°৩২′১৪″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | হবিগঞ্জ জেলা |
জাতীয় সংসদ আসন | ২৩৯ হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২৫০.৬৬ কিমি২ (৯৬.৭৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৯৭,৯৯৭ |
• জনঘনত্ব | ৭৯০/কিমি২ (২০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৯.৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ ০৫ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
বাহুবল উপজেলার উত্তরে নবীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে চুনারুঘাট উপজেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা এবং পশ্চিমে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা।
ইতিহাস
প্রশাসন বাহুবল থানা গঠিত হয় ১৯২১ সালে। বর্তমানে এটি উপজেলা।
নামকরণ
জনশ্রুতি এবং প্রাচীন লোকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা হতে জানা যায় প্রাচীনকালে কুদরত মাল নামক জনৈক পালোয়ান বাহুবল এলাকায় বাস করতেন। মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ বাগ থেকে পলোয়ান এসে ছিলেন কুদরত মালের সংগে মল্ল যুদ্ধ করতে। দুই পালোয়ানের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ মলল যুদ্ধের পর কুদরত মাল বিজয়ী হয়ে বীর দর্পে বলেছিলেন ‘‘বাহুকা বল দেখ বেটা’’ এ ঘটনাটি একটি প্রবাদ প্রবচনে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘‘দক্ষিণ বাগ থেকে আইলো মাল মিরমিরাইয়া চায়, কুদরত মালের ঘুষি খাইয়া গড়াগড়ি বায়’’। কিংবদন্তীর মল্ল যুদ্ধে ‘‘দেখ বাহুকাবল’’ থেকে বাহুবল নাম হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
আবার শত বর্ষের প্রাচীন লোকদের মুখ থেকে শুনা যায় এক কালে অত্র এলাকার লোকজন ছিল খুবই শক্তিশালী ও বীরযোদ্ধা। তখনকার কেউ কোনরূপ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করত না বা ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার ছিল না। মারামারিতে ৩/৪ হাত লম্বা বড় একটি বাঁশের টুকরাই লাঠি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। সে বাঁশের লাঠি যার হাত থেকে পরে যেত বা ভেঙে যেত সে হত পরাজিত। তার উপর আর কেউ আঘাত করত না। এছাড়া পাহাড়ের হিংস্র বাঘের সঙ্গে অনেক সময় মানুষের হাতাহাতি যুদ্ধ হত। বাঘের হাত থেকে হরিণ ছিনিয়ে আনতেও লোকজন মোটেও ভয় পেত না। তাই এলাকার নির্ভীক মানুষের সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় হিসাবে ‘‘বাহুবল’’ নামের উদ্ভব হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বাহুবল
ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ঢাকা সিলেট রোডের পাশে প্রায় ৪০ ফুট পাহাড়ের উপরে ফয়েজাবাদ হিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ অবস্থিত।
ভৌগোলিক উপাত্ত
ভূপ্রকৃতি
মৃত্তিকা
নদ-নদী
জলাশয় কোরাংগী, খোয়াই ও বরাক নদী উল্লেখযোগ্য।
সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য
ভাষা
উৎসব
খেলাধুলা
ফুটবল, ক্রিকেট,ব্যাডমিন্টন,হা-ডু-ডু,গাপলা, লুডু,কেরাম।
প্রশাসনিক এলাকা
এই উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ:-
- স্নানঘাট ইউনিয়ন
- পুটিজুরী ইউনিয়ন
- সাতকাপন ইউনিয়ন
- বাহুবল সদর ইউনিয়ন
- লামাতাশী ইউনিয়ন
- মিরপুর ইউনিয়ন এবং
- ভাদেস্বর ইউনিয়ন
জনসংখ্যা
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১,৯৭,৯৯৭ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৯৮,১০১ জন এবং মহিলা ৯৯,৮৯৬ জন। এ উপজেলায় খাসিয়া, টিপরা, মণিপুরি প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান | সংখ্যা |
---|---|
কলেজ | ২টি (উচ্চমাধ্যমিক), ১টি (ডিগ্রি) |
উচ্চবিদ্যালয় | ১০টি |
মাদ্রাসা | ৪টি (দাখিল) |
চা বাগান
বাংদেশের ১৫৩টি চা বাগানের মধ্যে বাহুবল উপজেলায় ৫ টি চা বাগান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে রশিদপুর চা-বাগান, কেদারপুর চা বাগান, বৃন্দাবন চা বাগান, ফয়জাবাদ চা বাগান ও আমতলী চা বাগান।[2]
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী - রাজনীতিবিদ;
- আমাতুন কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী - রাজনীতিবিদ।
বিবিধ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বাহুবল"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
বহিঃসংযোগ
- বাংলাপিডিয়ায় বাহুবল উপজেলা
- বাহুবল উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন।