জকিগঞ্জ উপজেলা

জকিগঞ্জ বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোনের সর্বশেষ উপজেলা। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে জকিগঞ্জ প্রথম দখলদার মুক্ত হয়েছিল।

জকিগঞ্জ
উপজেলা
জকিগঞ্জ
জকিগঞ্জ
বাংলাদেশে জকিগঞ্জ উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′২৬″ উত্তর ৯২°২২′৩২″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
আয়তন
  মোট২৬৭ কিমি (১০৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৪২,৫৬১
  জনঘনত্ব৯১০/কিমি (২৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯১ ৯৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

সিলেট জেলার অন্তর্গত জকিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের সর্ব উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। ২৭৫ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গঠিত জকিগঞ্জ উপজেলা ২৪°৫১′ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫°০০′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৩′ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৯২°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত। জকিগঞ্জের উত্তরে ভারতের কাছাড় জেলার কাটিগড় থানা এবং বাংলাদেশের কানাইঘাট উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের করিমগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে বাংলাদেশের বিয়ানীবাজার উপজেলা, এবং পূর্বে ভারতের কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলা অবস্থিত।[2]

প্রশাসনিক এলাকা

জকিগঞ্জ উপজেলা ৯ টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভা, ১১৫ মৌজা এবং ২৮৬ গ্রাম নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নসমুহ হচ্ছেঃ জকিগঞ্জ সদর, বারহাল, বিরশ্রী, কাজলসার, খলাছড়া, সুলতানপুর, বারঠাকুরী, কসকনকপুর ও মানিকপুর।

নামকরণ

কুশিয়ারা নদীর তীরে ৩৬০ আউলিয়ার একজন হযরত শাহ জাকি রহ. নামে একজন আউলিয়ার মাযার ছিল। তাঁর মাযারকে কেন্দ্র করে যে সাপ্তাহিক বাজার বসত, তা জাকিগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে উক্ত বাজারের নামে এই এলাকার নামকরণ করা হয় জকিগঞ্জ। [2]

জনসংখ্যার উপাত্ত

আয়তন: ২৬৭বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা: ২,৪২,৫৬১ জন, পুরুষ: ১,২২,০৬১ জন, মহিলা: ১,২০,৫০০ জন, জনসংখ্যার ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৯০ জন।

শিক্ষা

উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ: ৭ টি(১ টি সরকারি, ৬টি বেসরকারি ), মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২২টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১০৭টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৫টি, রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১৯টি, মাদ্রাসা (সকল): ৫৭টি (২১ টি দাখিল ও কামিলসহ এবং ৩৬ টি কওমী ), সাক্ষরতার হার: ৭৮%। জকিগঞ্জে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

অর্থনীতি

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৬.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ৯.০৬%, শিল্প ০.৭৪%, ব্যবসা ১২.৮৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ ১.৬৪%, চাকরি ৫.৮০%, নির্মাণ ১.৮৪%, ধর্মীয় সেবা ১.১৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৯৩% এবং অন্যান্য ১৩.৯০%।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসুচির আওতাধীন। তবে ১৭.৫৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৩৬.৮৩%, ট্যাপ ১.৬১%, পুকুর ৫৯.৮১% এবং অন্যান্য ১.৭৪%। এ উপজেলার ১৮.১৯% নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৯৮.৫০% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১.৫০% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ৪, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০ কমিউনিটি ক্লিনিক ২৬ টি ।[3]

কৃতী ব্যক্তিত্ব

দর্শনীয় স্থান

  • গায়েবী দিঘি মসজিদ;
  • তিন নদীর মোহনা, আমলশীদ
  • কাস্টমস ঘাট, জকিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন
  • আটগ্রামের পাহাড়, আটগ্রাম
  • সামাদ বাগান
  • মরিচা বাগান বাড়ি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে জকিগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. প্রসঙ্গ জকিগঞ্জ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, পৃ: ১-২
  3. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=জকিগঞ্জ_উপজেলা জকিগঞ্জ উপজেলা

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.