লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন[1]। হযরত শাহনুর ও হযরত ভুটিশাহ স্মৃতি বিজড়িত এ লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে অনেক কৃতি ব্যক্তির জন্ম।[2]

লক্ষণাবন্দ
ইউনিয়ন
ইউনিয়ন পরিষদ ভবন
লক্ষণাবন্দ
লক্ষণাবন্দ
বাংলাদেশে লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৬′৩১.০০১″ উত্তর ৯১°৫৯′১২.৯৯৮″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
উপজেলাগোলাপগঞ্জ উপজেলা
আয়তন
  মোট২৭৬৮ হেক্টর (৬৮৪১ একর)
জনসংখ্যা
  মোট৩১,৩৭৬
  জনঘনত্ব১১০০/কিমি (২৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫৪.৪০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩১০৮
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯১ ৩৮ ৬৯
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস

১৯৬০ সালে ঢাকা দক্ষিণ মৌজার বিদাইটিকর গ্রামের টিলার উপর (চৌধুরী বাজারের পাশে) লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন প্রথমে কাউন্সিল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ০৭/১৯৭২ সালে ইউনিয়ন কাউন্সিল বাতিল করে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত গঠন করা হলে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ ২২/১৯৭৩ অনুযায়ী লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পঞ্চায়েত নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ।[3]

অবস্থান ও সীমানা

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব দিকে ঢাকাদক্ষিণভাদেশ্বর ইউনিয়ন , পশ্চিমে লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন, উত্তরে লক্ষ্মীপাশাঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন, দক্ষিণে ধামড়ির হাওর অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। ইউনিয়নের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র হচ্ছে পুরকায়স্থ বাজারচৌধুরী বাজার[4]

গ্রাম সমূহ

উল্লেখযোগ্য গ্রাম সমূহ- উত্তরগাঁও, পশ্চিম পাড়া, ভুটিরা পাড়া, ইসলামাবাদ, নিলামপাড়া, নোয়াই, মোল্লাটিকর, মাদারখা, বিদাই টিকর, চক্রবর্তী পাড়া, মাইজপাড়া, পুরকায়স্থ পাড়া, ভঙ্গা পাড়া, নিশ্চিন্ত, মুকিতলা, ফুলতলা, দক্ষিণভাগ, করগাও, ফুলসাইন্দ, বখতিয়ারঘাট। [1]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ- কৈলাশ শাহনুর দাখিল মাদ্রাসা; প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭৭, এলবি গ্রীণ ফাওয়ার উচ্চ বিদ্যালয়; প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯২, ফুলসাইন্দ দারুল ক্বেরাত দাখিল মাদ্রাসা; প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৪১, পূর্ব ফুলসাইন্দ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা; প্রতিষ্ঠাকাল ১৯০২, ফুলসাইন্দ দ্বি-পাকি উচ্চবিদ্যালয়; প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬২, লক্ষণাবন্দ হাফিজিয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসা, আবুল কালাম একাডেমী;প্রতিষ্ঠাকাল ২০০০।

আয়তন

মানচিত্রে [[লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন</sup>]]

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের আয়তন ২৪ স্কয়ার কি.মি।[1]

জনসংখ্যা

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ১৯৬৭২ জন এর মধ্যে পুরুষ- ১০২০৬ মহিলা- ৯৪৪৬। ১৮,৬৩৩ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯,২৬৭ জন ও মহিলা ৯,৩৬৬ জন।[2]

জনগোষ্ঠীর আয়ের উৎস

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৪.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.০৩%, শিল্প ০.৯৪%, ব্যবসা ১৪.৬৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৪.০১%, চাকরি ৬.১৬%, নির্মাণ ২.৮৮%, ধর্মীয় সেবা ০.৫৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১৮.৩৪% এবং অন্যান্য ১২.৩৭%।[2]

মোট জমি

৫৬৭৫ একর। কৃষিভূমির ভূমিমালিক ৪২.৭৬%, ভূমিহীন ৫৭.২৪%। শহরে ২৭.৯৮% এবং গ্রামে ৪৩.৯১%। প্রধান কৃষি ফসল ধান, কচু, সুপারি, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি সরিষা, তিল, তিসি।[3]

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য

স্বাস্থ্যকেন্দ্র

উনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ডায়গনস্টিক সেন্টার, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র।

এনজিও

ব্র্যাক, সীমান্তিক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

প্রকৃতির সুন্দর্যের লিলা ভূমি সিলেটের কৈলাশ টিলার মাজারের গুহা।[3]
বাংলাদেশ স্কাউটস সিলেট আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।[2]

শিল্প-কলকারখানা ও কুটিরশিল্প

এলপি গ্যাস প্লান্ট, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, বেকারি, পলিথিন ব্যাগ কারখানা উল্লেখযোগ্য।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকি

আমাদের লক্ষণাবন্দ।

দর্শনীয় স্থান

ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণের তালিকা

বর্তমান চেয়ারম্যান: মো: নছিরুল হক শাহীন

ক্রম নং চেয়ারম্যানের নাম সময়কাল
০১ মৌলভী সমছুল হক
০২ নগেন্দ্র কুমার চৌধুরী
০৩ পীর আলতাফুর রহমান
০৪ মজির উদ্দিন
০৫ আব্দুল হান্নান
০৬ হাছিবুর রহমান
০৭ এডভোকেট সুরুজ আলী
০৮ মো: নছিরুল হক শাহীন[1] ২০০৩-বর্তমান

তথ্যসূত্র

  1. লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  2. বাংলাপিডিয়া। "লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন"
  3. গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য - আনোয়ার শাহজাহান, প্রকাশকাল. প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ১৯৯৬
  4. "লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন"

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.