শাল্লা উপজেলা

শাল্লা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

শাল্লা
উপজেলা
শাল্লা
শাল্লা
বাংলাদেশে শাল্লা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৭′৩৫″ উত্তর ৯১°১৫′০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসুনামগঞ্জ জেলা
আয়তন
  মোট২৬০.৮৫ কিমি (১০০.৭১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট১,১৩,৭৪৩
  জনঘনত্ব৪৪০/কিমি (১১০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩০০০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯০ ৮৬
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

এই উপজেলার সীমানা উত্তরে দিরাই উপজেলা, পূর্বে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা, দক্ষিণে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা আর পশ্চিমে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

শাল্লা উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ:-

  1. আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ
  2. হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  3. বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  4. শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদ

জনসংখ্যার উপাত্ত

জনসংখ্যা ১১৮৯০৪ জন।

পুরুষ ৫৯১৫১ জন।

মহিলা ৫৯৭৫৩ জন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫%।

জন সংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৫৬ জন।

মোট ভোটার সংখ্যা। ৬৩১৯৬ জন।

পুরুষ ভোটার ৩১৩৯৭ জন।

মহিলা ভোটার ৩১৭৯৯ জন।

শিক্ষা

শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৮ টি।

বেসরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয় ৫০ টি।

কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৪ টি।

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০৩ টি।

উচ্চ বিদ্যালয় (সহ পাঠ) ০৭ টি।

উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) ০১ টি।

দাখিল মাদ্রাসা ০২ টি।

কলেজ (সহ পাঠ) ০২ টি।

শিক্ষার হার ৪৪%।

অর্থনীতি

শাল্লা উপজেলার অর্থনীতি মূলতঃ কৃষি নির্ভর।প্রতি বছর এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়।হাওড় এলাকা হওয়ায় এখানে সারা বছরই প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।এইসব ধান ও মাছ এই অঞ্চল সহ সারাদেশে বিক্রি করা হয়।যা শাল্লার অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

ইতিহাস

শাল্লা উপজেলার সঠিক বয়স নির্ধারন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দেশের হাওর বেষ্টিত এ উপজেলাটি ১৯১৯ সালে কালনী নদীর তীরবর্তী শাল্লা গ্রাম নামক স্থানে নৌ-পুলিশ থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।পরে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে প্রশাসনিক থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে কালের বিবর্তনে ও কালনী নদীর প্রবল স্রোতে ভাঙ্গনের ফলে থানা ভবনের অবকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ায় উপজেলার মধ্যবর্তী ঘুঙ্গিয়ারগাঁও নামক স্থানটি ( বর্তমান উপজেলা সদর ) তৎকালীন জ্ঞানী -গুণীজনেরা নির্বাচন করেন এবং এখানেই থানাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। পরে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে এ থানাটি উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। শাল্লার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য উপাত্ত পাওয়া না গেলেও কথিত আছে যে শাল্লা অতীতে একটি ছোট বাজারের মত ছিল।সেখানে শাহনূর নামে একজন আউলিয়া বাস করতেন।তার নামানুসারে প্রথমে বাজারটির নাম দেওয়া হয়েছিল শাহাগন্জ বাজার।ঐ আউলিয়া সবসময় আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করতেন।তার নামের প্রথম অক্ষর "শা" এবং আল্লাহ শব্দের "ল্লা" একত্রে মিলিত হয়ে পরবর্তীতে শাল্লা নামে জায়গাটি সারাদেশে পরিচিতি লাভ করে।

শাল্লা উপজেলার মানুষের বসবাসের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও এ অঞ্চলের কিছু প্রাচীন নিদর্শন যেমন- চব্বিশা গ্রামের খালিশা হাটি,বড় হাটি, কাকুড়া হাটি ও গোদীর বাঁক ইত্যাদি থেকে বুঝা যায় এখানে পূর্বে উপজাতী খাসিয়াদের বসবাস ছিল। এর কিছুটা প্রমাণ হিসেবে উপজেলার খল্লি গ্রামের পূর্ব দিকে দুটি মাটির টেক/ঢিবি সহ আরো কিছু সংখ্যক ঢিবিই উপজাতীদের বসবাস সম্পর্কে সত্যতা বহন করে। আর সেই হিসেবে এ অঞ্চলে মানুষের বসবাসের বয়স আনুমানিক এক হাজার বৎসর।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শাল্লা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.