মোহাম্মদ আবদুল হক
মোহাম্মদ আবদুল হক (১৯১৮-১৯৯৬) যিনি এম. এ. হক নামেও পরিচিত। ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশের আইজিপি, লেখক ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।[1][2][3]
মোহাম্মদ আবদুল হক | |
---|---|
![]() | |
সাবেক সংসদ সদস্য ও ভূমি মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৪ – ১৯৮৫ | |
সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮৬ | |
পূর্বসূরী | এম এ লতিফ |
উত্তরসূরী | মাহমুদুর রহমান মজুমদার |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কমলপুর, জকিগঞ্জ উপজেলা, সিলেট জেলা, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১ জানুয়ারি ১৯১৮
মৃত্যু | ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ ৬৮) ঢাকা | (বয়স
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৭৯ সালের পূর্বে) জাতীয় পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেগম ফাহমিদা |
সন্তান | রেয়াজুল হক (ছেলে)
রেহানা আশিকুর রহমান (মেয়ে) ফারহানা হক রাহমান (মেয়ে) |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মোহাম্মদ আবদুল হকের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের আসামের সিলেট জেলার জকিগঞ্জের কমলপুর। তার পিতা হাজী মোহাম্মদ সবজান আলী ও মাতা সকিনা খাতুন। তিনি ১৯৪২ সালে মুরারি চাঁদ কলেজ থেকে ইংরেজিতে (বিএ) স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। [1]
শিক্ষা জীবন
কর্মজীবন
মোহাম্মদ আবদুল হক ১৯৪৩ সালে আসাম পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং উপ-সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে পুলিশে নিযুক্ত হন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে তিনি পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ঢাকা জেলা, ময়মনসিংহ জেলা, নোয়াখালী জেলা, এবং রংপুর জেলার জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ সালে তাকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক দেওয়া হয়। ১৯৬০ সালে তাকে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক করা হয়। ১৯৬৩ সালে তিনি তমঘা-ই-পাকিস্তান ভূষিত হন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকার থেকে সিতারা-ই-খিদমত পুরষ্কার পেয়েছিলেন। [1]
মোহাম্মদ আবদুল হক অবসর গ্রহণের পর একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার হাসপাতাল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বেসামরিকদের আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করেছিল। তিনি ১৯৭০-এর দশকে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তাকে না দিলে স্বতন্ত্র হিসাবে সাবেক সিলেট-১০ (বর্তমান সিলেট-৫) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[2] ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি হুসেন মোহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এম এ হক জনদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (১৯৮৫-৮৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি জনহিতকর অবদানের জন্য ভাসানী পদক এবং শেরে বাংলা পদক পেয়েছিলেন। [1]
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি চট্রগ্রামের এসপি থাকার সময় তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরীর বোন তথা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফুফু ফাহমিদা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে মোহাম্মদ রিয়াজুল হক, দুই কন্যা সংঙ্গীত শিল্পী রেহানা আশিকুর রহমান ও মিডিয়া ব্যক্তি ফারহানা হক রাহমানের জনক।
লেখক এম. এ. হক
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-[1]
- রাহুগ্রস্ত বাংলাদেশ
- দেশটা কি রসাতলে যাবে
- সৃষ্টির সেরা শত মানব
- দারিদ্র্য বিমোচন
- Yahya’s Master Plan
মৃত্যু
মোহাম্মদ আবদুল হক ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় মারা যান। বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করে হয়। তার স্মৃতিতে এম এ হক ফাউন্ডেশন গঠন করে হয়। [1]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Akhter, Shahida। "Haque, Mohammad Abdul"। en.banglapedia.org। Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯।
- "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "জকিগঞ্জ উপজেলাঃ প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৮ আগস্ট ২০১৯। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।