লালমনিরহাট জেলা

লালমনিরহাট জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

লালমনিরহাট
জেলা
বাংলাদেশে লালমনিরহাট জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬°০′ উত্তর ৮৯°১৫′ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
আয়তন
  মোট১২৪০.৯৩ কিমি (৪৭৯.১৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট১২,৫১,৯৯৪
  জনঘনত্ব১০০০/কিমি (২৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৬৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৫২
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ভৌগোলিক সীমানা

লালমনিরহাট জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রংপুর জেলা ও কুড়িগ্রাম জেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলা এবং পশ্চিমে নীলফামারী জেলা অবস্থিত।

তিস্তা নদী

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

লালমনিরহাট জেলায় ৫টি উপজেলা রয়েছে; এগুলো হলোঃ

ইতিহাস

এ জেলার নাম কেন লালমনিরহাট হলো সে সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মত চালু আছে। সেগুলো হলো-

  • মাটির নিচে লাল পাথর দেখতে পায়। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয়েছে লালমনি
  • স্বীকৃতিস্বরূপ এলাকার লোকজন নামে রাখে লালমনি
  • ১৭৮৩ সালে সাধারণ কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লালমনি নামে এক মহিলা কৃষক নেতা নুরুলদিনকে সাথে নিয়ে বৃটিশ সৈন্য ও জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয় 'লালমনি'। কালের বিবর্তনে 'হাট' শব্দটি 'লালমনি' শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে 'লালমনিরহাট' নামকরণ হয়েছে।

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা

নিদারিয়া মসজিদ, উত্তর পূর্ব কোণ থেকে

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে। সেটি হচ্ছে নিদারিয়া মসজিদ[2] এছাড়া আছে ৬৯ হিজরির হারানো মসজিদ ।

শিক্ষা

লালমনিরহাট জেলায় ৩৫টি কলেজ, ১৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৮টি মাদ্রাসা, ৭৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, এবং প্রায় ২০০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।[3] জেলার শিক্ষার হার ৬৫%। জেলার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানের মধ্যে রয়েছেঃ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ,উত্তরবাংলা কলেজ, মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ, মৌলভী আবুল হাশেমআহমেদ সিনিয়র মাদ্রাসা ,দইখাওয়া আদর্শ কলেজ,হাতীবান্ধা,সরকারি আলিমুদ্দীন কলেজ,হাতীবান্ধা,পাটগ্রাম সরকারি কলেজ,বড়খাতা ডিগ্রি কলেজ,হাতিবান্ধা মহিলা কলেজ,হাতিবান্ধা

স্বাস্থ্য

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতাল (১০০ শয্যা বিশিষ্ট), নিরাময় ক্লিনিক, দোয়েল ক্লিনিক বর্তমানে দোয়েল গেস্ট হাউজ ইত্যাদি। এছাড়া, ওছাড়া এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর আওতাধীন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সুন্দর ভাবে চালু রয়েছে।

অর্থনীতি

কৃষি প্রধান হলেও বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এই জেলা।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

বাস, ট্রেন, সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, অটো রিক্সা এছাড়াও একটি প্রাচীন বিমান বন্দর আছে।

কৃতি ব্যক্তিত্ব

‌* মহিসিনুল হক(লেখক)

  • মাধব রায়(কবি)

দর্শনীয় স্থান

তিস্তা ব্যারেজ
  • তিস্তা সেচ প্রকল্প
  • প্রাচীন লালমনিরহাট বিমান বন্দর
  • শালবন, হাতিবান্ধা
  • বুড়িমাড়ি জিরো পয়েন্ট
  • তিনবিঘা করিডর
  • সিন্দুর মতির দীঘি
  • কবি শেখ ফজলুল করিমের বসত ভিটা
  • তিস্তা ব্যারেজ
  • কাকিনা জমিদার বাড়ি
  • বোতল বা‌ড়ি (কালীগঞ্জ- নওদাবাস)
  • কালিবাড়ি মন্দির (পাশাপাশি স্থাপিত মসজিদ ও মন্দির)
  • তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি
  • ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি মন্দির
  • ৬৯ হিজরীর হারানো মসজিদ

নদ-নদী

  1. তিস্তা
  2. ধরলা
  3. সতী
  4. সানিয়াজান স্বর্নাামতি [4]

আরও দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে লালমনিরহাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "প্রত্নস্হলের তালিকা"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. "লালমনিরহাট জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ"। ২৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫
  4. বাংলাপিডিয়ায় লালমনিরহাট জেলা

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.