ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা
ঠাকুরগাঁও সদর বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ঠাকুরগাঁও সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() ঠাকুরগাঁও সদর | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°১′১৫″ উত্তর ৮৮°২৮′৭″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | ঠাকুরগাঁও জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৩৯.১৪ কিমি২ (৯২.৩৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৪,২৭,৯১৩ |
• জনঘনত্ব | ১৮০০/কিমি২ (৪৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫১০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৯৪ ৯৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
এই উপজেলার উত্তরে আটোয়ারী উপজেলা ও বোদা উপজেলা, দক্ষিণে পীরগঞ্জ উপজেলা (ঠাকুরগাঁও) ও বীরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে বোদা উপজেলা, দেবীগঞ্জ উপজেলা ও বীরগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলা ও রানীশংকাইল উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
এই উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সেগুলো হচ্ছে- রুহিয়া, আখানগর, আকচা, বড়গাঁও, বালিয়া, আউলিয়াপুর, চিলারং, রহিমানপুর, রায়পুর, জামালপুর, মোহম্মাদপুর, সালন্দর, গড়েয়া, রাজাগাঁও, দেবীপুর, নারগুন, জগন্নাথপুর, শুখানপুকুরী ও বেগুন বাড়ি ইউনিয়ন।
ইতিহাস
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে। সেগুলো হচ্ছে ঢোলহাট মন্দির ও জামালপুর জামে মসজিদ।[2]
জনসংখ্যার উপাত্ত
শিক্ষা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিক্ষার দিক দিয়ে বেশ উন্নত। এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
১। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। এটি দেশসেরা বিদ্যালয় হিসেবে পুরষ্কৃত হয়েছে। বিদ্যালয়য়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নাম জনাব মোঃ আখতারুজ্জামান।
২। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ঃএই বিদ্যালয়টি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উপজেলার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত।
৩। ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজঃ ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঠাকুরগাঁও শহর সংলগ্ন টাঙ্গন নদীর দক্ষিণ-পূর্বে নদীর পাশেই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে ৩৩ একর জমির উপর কলেজটি অবস্থিত। ১ মার্চ ১৯৮০ সালে ঠাকুরগাঁও কলেজকে জাতীয়করণ করে নামকরণ করা হয় ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ। বর্তমান অধ্যক্ষের নাম প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া মন্ডল।
৪। ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজঃ ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজ এই উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঠাকুরগাঁও শহরে প্রায় ১ একর জমির উপর কলেজটি অবস্থিত। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। ১ জুলাই ১৯৮৫ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়।
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভেলাজান উচ্চ বিদ্যালয়, রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল, আবুল হোসেন সরকারী মহাবিদ্যালয়, ইকো পাঠশালা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও শীঘ্রই এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে।
অর্থনীতি
জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোর মতো সদর উপজেলাও বহুলাংশে কৃষি নির্ভর। প্রধান কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ধান, গম, পাট, আখ, ভূট্টা, আলু, মরিচ প্রভৃতি।
নদীসমূহ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় রয়েছে কয়েকটি নদী। সেগুলো হচ্ছে টাঙ্গন নদী, কুলিক নদী, শুক নদী, ঢেপা নদী, তালমা নদী, পুনর্ভবা নদী, তীরনই নদী, সেনুয়া নদী ও পাথরি নদী।[3][4]
কৃতি ব্যক্তিত্ব
- তৃপ্তি মিত্র, বাংলা ভাষার থিয়েটার ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী এবং শম্ভু মিত্রের স্ত্রী।
- মির্জা গোলাম হাফিজ বাংলাদেশের ৪র্থ স্পিকার ও সাবেক মন্ত্রী
- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী।
বিবিধ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ঠাকুরগাঁও সদর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "প্রত্নস্হলের তালিকা"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। http://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫,আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
গ্যালারি
- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রবাহিত শুক নদীর দৃশ্য।
- ঠাকুরগাঁওয়ের খেলার মাঠ।
- ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ভবন।