গাইবান্ধা সদর উপজেলা

গাইবান্ধা সদরের উত্তরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা,পূর্বে চর রাজিবপুর উপজেলা ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে সাঘাটা উপজেলা ও ফুলছড়ি উপজেলা এবং পশ্চিমে পলাশবাড়ী উপজেলাও সাদুল্লাপুর উপজেলা।[1]

গাইবান্ধা সদর উপজেলা ১৮৫৭ সালে গাইবান্ধা থানা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[2] বর্তমানে একটি পৌরসভা, ৯ টি ওয়ার্ড, ১৩৮ টি মৌজা এবং ১২৭ টি গ্রাম নিয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা।[2]

গাইবান্ধা জ়েলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে[2]। প্রথমে তা মহকুমা ছিল। গাইবান্ধা জেলা রাজশাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ২০১০ সালে রংপুর বিভাগ হওয়ায় তা রংপুর বিভাগের অধীনে পড়ে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৪,৩৭,২৬৮ জন। এর মাঝে পুরুষ ২,১৩,৪৮৬ জন এবং মহিলা ২,২৩,৪৫৭জন।[1] জনসংখ্যার ঘনত্ব ১২২৫ জন প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ।

গাইবান্ধা সদর উপজ়েলার সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৭.৫ ভাগ। কলেজের সংখ্যা ১০টি, স্কুল ও কলেজ ৪টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫৫টি, নিম্ন মার্ধমিক বিদ্যালয় ০৮টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৪টি, দাখিল মাদ্রাসা ১৬টি, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ১৬টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, রেজিষ্টারী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬১টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১টি।[3]

* সাখোয়াত হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়

গাইবান্ধা সদরে কোন বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। তবে বিসিক শিল্প নগরীতে সামান্য কিছু ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে।

• শাহ্‌ আব্দুল হামিদ (স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার। জন্ম স্থান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। স্থায়ী আবাস গাইবান্ধার ডেভিড কোঃ পাড়ায়।)
• আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (সাহিত্যিক)
• আবু হোসেন সরকার (পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশীক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন)
• বাবু শচীন চাকী ( খেলাধুলা সংগঠক)
• মাহাবুব এলাহী রন্জু, বীর প্রতীক - (১৯৭১ সাল এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে গাইবান্ধা এলাকার গৌরব রন্জু কম্পানীর কমান্ডার) জন্ম স্থান : গাইবান্ধা শহরের মুন্শীপাড়ায়।
• আলহাজ্জ্ব এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ( মাননীয় ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ)

রসমঞ্জুরী এর আবিষ্কারক রমেশ ঘোষ

• বাংলাপিডিয়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা