কাউনিয়া উপজেলা

কাউনিয়া বাংলাদেশের রংপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে রেলওয়ে জংশন রয়েছে।

কাউনিয়া
উপজেলা
কাউনিয়া
কাউনিয়া
বাংলাদেশে কাউনিয়া উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৫′৫৮″ উত্তর ৮৯°২৫′৭″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলারংপুর জেলা
আয়তন
  মোট১৪৭.৬০ কিমি (৫৬.৯৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৪৩,৪০৫
  জনঘনত্ব১৬০০/কিমি (৪৩০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৪০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৪৪০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৮৫ ৪২
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

কাউনিয়া ২৫.৭৭০৮ ডিগ্রি উত্তর এবং ৮৯.৪১৬৭ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত। এটি তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। বর্তমানে কাউনিয়া উপজেলার বেশ কিছু অংশ তিস্তা নদীতে মিশে গেছে।

প্রশাসনিক এলাকা

রংপুর জেলায় অবস্থিত কাউনিয়া উপজেলার আয়তন ১৪৭.৬ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে লালমনিরহাট সদর উপজেলাগঙ্গাছড়া উপজেলা, দক্ষিণে পীরগাছা উপজেলা, পুর্বে রাজারহাট উপজেলা এবং পশ্চিমে রংপুর সদর উপজেলা

ইতিহাস

কাউনিয়ার মূল নদী তিস্তা ও বুরাইল। কাউনিয়ায় ছয়টি ইউনিয়ন আছে। এগুলো হচ্ছে- হারাগাছ, সারাই, কুর্ষা, শহীদবাগ, বালাপাড়া এবং মধুপুর। কাউনিয়ায় ৮৯ টি মৌজা এবং ৭৮ টি গ্রাম আছে।

উপজেলার পটভুমিঃ রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, অতিতে এখানে কাউনিয়া নামে একটি ঐতিয্যবাহি বর্ধিষ্ণু গ্রাম ছিল। যা তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে। উক্ত গ্রামের নাম অনুসারে এ এলাকার নাম হয়েছে কাউনিয়া। অন্য এক জনশ্রুতিমতে, এ এলাকায় কাউনি নামক এক প্রকার দানাদার খাদ্য শস্য প্রচুরভাবে চাষ হত এবং চাহিদাও ছিল প্রচুর। চাষাবাদ নিয়ে এলাকায় নানান রকম বিবাদ এবং মারামারী সংঘটিত হওয়ার কারনে এ এলাকার ব্যাপক পরিচিত ঘটে। কাউনি শব্দের সাথে ইয়া প্রত্যয় হিসাবে কাউনিয়া নামের প্রচলন হয় বলে জানা যায়। এছাড়াও ১৭৬৯ খ্রিঃ রংপুরে ছিয়াত্তরের মম্বন্তর বা দুর্ভিক্ষ হয়। এ সময় রংপুরে ইংরেজ তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন মিঃ গ্রুস। তিনি কাউনিয়া এলাকা থেকে রংপুরে খাদ্য শষ্য আমদানি করার জন্য কাউনিয়ায় আড়ত গড়ে তুলেছিলেন। যেখানে ইংরেজ, ফরাসী ও আরমানিয়াম বণিকেরাও ব্যবসা করতেন। খাদ্য শস্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হত গরুর গাড়ী। গরুর গাড়ীকে বলা হত কাউকার্ট। এই কাউকার্ট শব্দ থেকেও অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে কাউনিয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত

কাউনিয়ায় ২৫৫০০ জন লোক বাস করে। (১৯৯১ সালে ছিল ১১১২৫ জন)এরমধ্যে ৫২.৫% পুরুষ এবং ৪৭.৫% মহীলা। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৭১৪ প্রতি বর্গ কিমি।

শিক্ষা

কাউনিয়া উপজেলা শিক্ষায় অনেক এগিয়ে। অত্র উপজেলার প্রায় ৮০% মানুষ শিক্ষিত। উপজেলার * কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন উচ্চবিদ্যালয়,*ধর্মেশ্বর মহেশা উচ্চ বিদ্যালয়, * ভায়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়,* হারাগাছ দরদী উচ্চ বিদ্যালয় , *হারাগাছ উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাউনিয়া কলেজ ও * হারাগাছ ডিগ্রী কলেজ প্রভৃতি, প্রথম সারির স্কুল ও কলেজ।[1]

অর্থনীতি

কাউনিয়া উপজেলার সমগ্র জায়গায় উর্বর জমি। বিস্তীর্ন সম ভূমি। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজে লিপ্ত থাকে। পাশাপাশি পেশাজীবি চাকরিজীবি বিভিন্ন মানুষের বসবাস। কাউনিয়া উপজেলার পাশ দিয়ে তিস্তা নদী বয়েগেছে। যার ফলে এখানকার মাটি উর্বর। ধান চাষ প্রধান কৃষি কাজ হিসাবে বিবেচিত। এখানে প্রচুর ধান উৎপাদিত হয়। বছরে দুবার ধান চাষ করা হয়। অমন চাষ পদ্ধতি এবং ইরি চাষ পদ্ধতি। এখানে কলা প্রচু জন্মে। এখনকার কলা সারা বাংলাদেশে চালান হয়। কলা চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করে। সবজি চাষ এখানকার মানুষের অর্থনীতির অন্যতম ক্ষেত্র।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • মরহুম আব্দুল আওয়াল (এমপি),
  • মরহুম আব্দুল সাত্তার( দরদী),
  • মরহুম আব্দুল হক( হক সাহেব) ,
  • শহীদ আব্দুর রহমান ,
  • মরহুম মকদুম এমপি,
  • শহীদ মোফাজ্জল হোসেন,
  • রহিম উদ্দীন ভরসা ,
  • করিম উদ্দীন ভরসা,
  • ফরিদা খাতুন (শিক্ষাবিদ),
  • জনাব আবুল মনসুর সরকার(সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান)।

বিবিধ

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক কাউনিয়া উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.