রৌমারী উপজেলা
রৌমারী উপজেলা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
রৌমারী | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() রৌমারী | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৩′৪৩″ উত্তর ৮৯°৫১′০″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | কুড়িগ্রাম জেলা |
২৮ | কুড়িগ্রাম ৪ |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৭ কিমি২ (৭৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,০৩,৯৪৯ |
• জনঘনত্ব | ১০০০/কিমি২ (২৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৬৪০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৪৯ ৭৯ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
এই উপজেলাটি বাংলাদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১৯৭.৮০ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে উলিপুর উপজেলা, দক্ষিণে চর রাজিবপুর উপজেলা, পূর্বে ভারতের আসাম এবং পশ্চিমে চর রাজিবপুর উপজেলা, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলা।
নামকরণ
প্রাচীনকালে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে রুই মাছ পাওয়া যেত, এ কারণে এ অঞ্চলটি 'রুইমারী' নামে পরিচিত ছিলো; যা কালক্রমে রৌমারী নামে রুপান্তরিত হয়।
প্রশাসনিক এলাকা ও অন্যান্য
- সংসদীয় এলাকা: ১টি. ২৮-কুড়িগ্রাম- ৪ (রৌমারী, রাজীবপুর)
- পৌরসভা: নেই
- ইউনিয়ন পরিষদ: ৬টি, রৌমারী ইউনিয়ন, যাদুর চর ইউনিয়ন, শৌলমারী ইউনিয়ন, রৌমারী, দাতভাঙ্গা ইউনিয়ন, বন্দবেড় ইউনিয়ন,চর শৌলমারী ইউনিয়ন
- মৌজাঃ ২৯টি
- গ্রাম: ১৯৮টি
ইতিহাস
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের প্রাক্কালে আসামের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গোয়ালপাড়া জেলা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রৌমারী সীমান্তের নিকট বড়াইবাড়ি নামক স্থানে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও মানকাচরের আবদুল কাশেম মিয়া পাকিস্তান কেল্লা প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্থানীয় যুবকদের সংঘবদ্ধ করে একটি মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেন। এই স্থানে একটি বিশাল মঞ্চ স্থাপন করে সাত দিন ধরে ঐ উঁচু মঞ্চে উঠে মওলানা ভাসানী লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সেক্টর কামান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের, উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান এবং আরও অনেকে পর্যায়ক্রমে এখান থেকে ১১নং সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধ সংগঠন ও পরিচালনা করেন। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং এখান থেকে চিলমারী, উলিপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হতো। রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল বলা হয় কারণ পাক হানাদাররা এ অঞ্চলে আসতে সাহস পায়নি।
জনসংখ্যার উপাত্ত
মোট জনসংখ্যা ২,০০,২৯৯; পুরুষ- ৫০.৬২%, মহিলা- ৪৯.৩৮%
- ভোটার সংখ্যা: মোট: ১০১৩৫৯ জন, পুরুষ-৫০১৯৫ জন, মহিলা-৫১১৬৪ জন
- ঘনত্বঃ ১০১৩ জন
শিক্ষা
- শিক্ষার হার: ৩২.১০%
- কলেজ: ৮টি
- হাইস্কুল: ২৫টি
- মাদ্রাসা: ১৬টি
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৮৯টি
অর্থনীতি
- মোট আবাদী জমি: ১৯৭৮৯ একর
- অর্থকরী ফসল: ধান, গম, আলু, পাট, সরিষা, ভুট্টা, বাদাম প্রভৃত।
- শিল্প প্রতিষ্ঠান: নাই
- প্রধান হাট-বাজারঃ রৌমারী, দাঁতভাঙ্গা, কর্ত্তিমারী, বড়াইকান্দি হাট, খেয়ার চর হাট, গোয়ালগ্রাম হাট, চুলিয়ার চর হাট, চর শৌলমারী হাট, কাঁঠালবাড়ি বাজার, ফলুয়ার চর হাট।
- ব্যাংকঃ ৪টি, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক,ইসলামি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক
যোগাযোগ ব্যবস্থা
- পাকা রাস্তা: ১২.৫৬ কি. মি.
- কাচা রাস্তা: ৩৮৫.৩৭ কি. মি.
উল্লেখযোগ্য ও দর্শনীয় স্থান
ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি (ভারত vs. বাংলাদেশ যুদ্ধের স্মৃতি, ৩ জনের "শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ"), তুরা রোড, চানমারী (স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবহ)
বিবিধ
- মসজিদ: ৪৬৬টি
- মন্দির: ৫টি
- গির্জা: নাই
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "এক নজরে রৌমারী"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।