দেবীগঞ্জ উপজেলা

দেবীগঞ্জ বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

দেবীগঞ্জ
উপজেলা
দেবীগঞ্জ
বাংলাদেশে দেবীগঞ্জ উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬°৭′২১″ উত্তর ৮৮°৪৫′৪৫″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাপঞ্চগড় জেলা
আয়তন
  মোট৩০৯.০৪ কিমি (১১৯.৩২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট১,৮৫,৯৬০
  জনঘনত্ব৬০০/কিমি (১৬০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৭৭ ৩৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় অবস্থিত দেবীগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার পূর্বে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা, পশ্চিমে বোদা উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, উত্তরে পঞ্চগড় সদর ও ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলা এবং নীলফামারী জেলা অবিস্থত।

প্রশাসনিক এলাকা

দেবীগঞ্জ উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত-

ইতিহাস

দেবীগঞ্জ এর নামকরণ নিয়ে দুইটি মত প্রচলিত আছে। একটি মত হলো, এ জনপদটি পূর্বে হিন্দু অধ্যুসিত ছিল। এখানে অনেক দেব-দেবীর মূর্তি পাওয়া যেত। এ সব দেব-দেবীর নাম থেকে দেবীগঞ্জ নামটি হতে পারে। অপর মতটি হলো, সন্যাসী বিদ্রোহের অন্যতম রূপকার ও খ্যাতিমান নেত্রী- দেবী চৌধুরানীর অবাধ বিচরণ স্থল ছিল এ এলাকাটি। এখানকার ঘন বনাঞ্চলে প্রবাহিত করতোয়া, তিস্তা, আত্রাই ও কুড়ুম নদীর বাঁকে বাঁকে বৃটিশদের সাথে কয়েক দফা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বিজয়ী হন এবং এখানকার অধিবাসীদের আশা- ভরসা ও শৌর্য বীর্যের প্রতীক হয়ে উঠেন। দেবী চৌধুরানীর স্মৃতি থেকে এর নামকরণ হয় দেবীগঞ্জ। দেবী চৌধুরানীর প্রধান সহযোগী ভবানী পাঠক এর নামে নিকটস্থ আরেকটি এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ভবানীগঞ্জ।

দেবীগঞ্জ সহ পঞ্চগড় জনপদ ছিল কোচবিহার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। ১৭১১ সালে মোঘল ও কোচবিহার রাজার মধ্যে সন্ধি হয়। রাজা রূপ- নারায়ন কোচবিহার রাজ্য সন্ধিসূত্রে লাভ করেন। ১৭৭৬ সালে মোঘলদের ফকিরকুন্তি নামক ফৌজদারী অঞ্চল প্রাচীন রংপুর জেলায় রূপান্তরিত হয়। ১৮৫৭ সালে প্রশাসনিক সুবিধার্থে তিনটি মহকুমা সৃষ্টি করা হয় এবং এর সর্ব উত্তরের মহকুমার নাম হয় তেঁতুলিয়া। এই তেঁতুলিয়া মহকুমার মধ্যে ছিল বোদা চাকলা এবং দেবীগঞ্জ জনপদ ছিল বোদা চাকলার অধীন। ১৯৮০ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমার আটোয়ারী থানাসহ ৫টি থানা নিয়ে পঞ্চগড় মহকুমা গঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলা গঠিত হয় ও দেবীগঞ্জ উপজেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

যোগাযোগ

সড়ক পথে-ঢাকা থেকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু জাতীয় মহাসড়ক পথে রংপুর পর্যন্ত এবং রংপুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার আসলে সৈয়দপুর এবং সৈয়দপুর থেকে উত্তর মুখো হয়ে নীলফামারী জেলা এবং নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা থেকে ০৬ কিঃমি পশ্চিম উত্তর দিকে আসলে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।

পঞ্চগড়- দেবীগঞ্জঃ পঞ্চগড় থেকে জাতীয় মহাসড়ক পথে ২০কিঃমিঃ আসলে বোদা উপজেলা এবং বোদা থেকে পূর্ব দিকে ২০কিঃমিঃ আসলে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।

দিনাজপুর- দেবীগঞ্জঃ দিনাজপুর থেকে মহাসড়ক পথে ২০ কিঃমিঃ পথ আসলে বীরগঞ্জ উপজেলা, বীরগঞ্জ থেকে ১০ কিঃমি উত্তরে খানসামা, ১০ কিঃমিঃ উত্তরে ঝাড়বাড়ী নামক বাজার এবং ঝাড়বাড়ী থেকে পর্যায়ক্রমে ০৬ কিঃমি লক্ষ্মীনারায়নী,০২ কিঃমি ফুলবাড়ীবাজার, ০৪ কিঃমি কালীগঞ বাজার হয়ে সর্বমোট ৬৫কিঃমি (দিনাজপুর-দেবীগঞ্জ) পথ আসলে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।

দর্শনীয় স্থান

ময়নামতির চর, চায়ের বাগান এবং জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ী,৪র্থ চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, ডিসি পার্ক।

নদীসমূহ

দেবীগঞ্জের কাছে তোলা করতোয়া নদীর দৃশ্য।

দেবীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে করতোয়া নদী, এবং পাথরাজ নদী।[2][3]

কৃতি ব্যক্তি:

তথ্যসুত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে দেবীগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০১৫
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.