আটোয়ারী উপজেলা
আটোয়ারী বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
আটোয়ারী | |
---|---|
উপজেলা | |
আটোয়ারী | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°১৮′২০″ উত্তর ৮৮°২৭′২৩″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | পঞ্চগড় জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৯০.০২ কিমি২ (১১১.৯৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৩২,৯৪৬[1] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫১.৮৫ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৭৭ ০৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
নামকরণ
আটোয়ারী নামকরণ নিয়ে একটি প্রবাদ আছে- “নাগর নদীর তীরে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের আটটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সংগঠিত এ আটটি যুদ্ধ (এইটওয়ার) শব্দাবলীর অনুসরণে আটোয়ারী নামে উদ্ভব হয়েছে।” প্রকৃতপক্ষে, এ প্রবাদের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।
অবস্থান
এই উপজেলার উত্তরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পূর্বে বোদা উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারত অবস্থিত। আটোয়ারী উপজেলার উত্তরে দিনাজপুর জেলারচোপডা সিডি ব্লক,ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বোদা, উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিডাঙ্গা উপজলোয়, দক্ষিণে দিনাজপুর ও ইসলামপুর সিডি ব্লক এবং পশ্চিমে ট্রেআইসিটি দিয়ে বেষ্টিত ।
প্রশাসনিক এলাকা
আটোয়ারী ৬টি ইউনিয়ন এবং ৬১ টি মহল্লা/মৌজা এবং ৬৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -
- মির্জাপুর ইউনিয়ন
- তোড়িয়া ইউনিয়ন
- আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন
- রাধানগর ইউনিয়ন
- বলরামপুর ইউনিয়ন
- ধামোর ইউনিয়ন।
ইতিহাস
আটোয়ারী নামকরণ নিয়ে একটি প্রবাদ আছে- “নাগর নদীর তীরে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের আটটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সংগঠিত এ আটটি যুদ্ধ (এইটওয়ার) শব্দাবলীর অনুসরণে আটোয়ারী নামে উদ্ভব হয়েছে।” প্রকৃতপক্ষে, এ প্রবাদের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। এক সময় আটোয়ারী উপজেলা দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমার অন্তর্ভূক্ত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলের লোকসংখ্যার ঘনত্ব ছিল অত্যন্ত কম। গরু-মহিষের গাড়ী ছিল একমাত্র যানবাহন যা দ্বারা মানুষ যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য করত। পঞ্চগড় হতে পশ্চিমে ভারত লক্ষীপুর গ্রাম হয়ে ভারতের বর্ধমার সড়ক পর্যন্ত ও পঞ্চগড় হতে অপর একটি রাস্তা পূর্ব ও উত্তর পর্যন্ত হলদীবাড়ী, সিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ছিল কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে অত্র এলাকার ব্যবসায়ীগণ পশ্চিমে ইসলামপুর ও দাসপাড়া হাট এবং পূর্বে হলদীবাড়ী, মাটিগাড়া হাট, জলপাইগুড়ি ও সিলিগুড়ি পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্য করত। বর্তমান পঞ্চগড় হতে গোয়ালপাড়া হয়ে সোজা পশ্চিমে ভারত সীমান্তে নাগর নদী পর্যন্ত একটি রাস্তা গেছে। এক সময় এ রাস্তাটির নাম রাজার সড়ক হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান আটোয়ারী থানার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ধামোর, তোড়েয়া ও মীর্জাপুর এর ব্যবসায়ীগণ রাজার সড়ক হয়ে দাসপাড়া হাট ও ইসলামপুরে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রাজার সড়কের উভয় পার্শ্বে ফতেহপুর ও গিরাগাঁও এর পশ্চিমাঞ্চল নাগর নদী পর্যন্ত বন-জঙ্গলে আচ্ছাদিত রাজার সড়কে ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকেরা চোর-ডাকাতের দ্বারা বারংবার আক্রান্ত হতে থাকে এবং কয়েকটি ডাকাত দল বনাঞ্চলে স্থায়ীভাবে আস্তানা গড়ে তোলে। ব্রিটিশ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের গোচরে এ অবস্থার কথা আনা হলে দিনাজপুর জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাগর নদীর তীরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯০৩ সালে এ পুলিশ ফাঁড়িটি ফতেহপুর গ্রামে স্থাপিত হয়। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার এ পুলিশ ফাঁড়িটিকে আটোয়ারী থানা নামকরণ করে নাগর নদীর তীরে আটোয়ারী নামক স্থানে স্থাপন করে। আটোয়ারী থানাটি থানা এলাকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত হওয়ায় থানা অন্য এলাকাগুলি যেমন-বলরামপুর, রাধানগরের দূরত্ব অনেক বেশী হয়। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দারুন অসুবিধা দেখা দেয়। এ সমস্যার প্রেক্ষিত ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ সরকার আটোয়ারী থানাকে স্থানান্তরিত করে সমগ্র থানার মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত রাধানগর ইউনিয়নে স্থানান্তর করে। কালক্রমে আটোয়ারী থানাই আটোয়ারী উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত হয়।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
তথ্যসুত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে আটোয়ারী উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগ
এই অঞ্চলের সাথে কোন সংযোগ স্থল নেই কোনটিরও সাথে। তবে দক্ষিণ এর দিকে এর সাথে ঠাকুরগাও অঞ্চলের সঙ্গযোগ রয়েছে।