রাজশাহী জেলা
রাজশাহী জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা। এই জেলাটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত।
রাজশাহী | |
---|---|
জেলা | |
পুঠিয়া রাজবাড়ি, রাজশাহী | |
![]() বাংলাদেশে রাজশাহী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৪′ উত্তর ৮৮°৩০′ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ২৪০৭.০১ কিমি২ (৯২৯.৩৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২৩,৭৭,৩১৪ |
• জনঘনত্ব | ৯৯০/কিমি২ (২৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার[2] | |
• মোট | ৪৭.৫৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৮১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
রাজশাহী জেলার উত্তরে নওগাঁ জেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, কুষ্টিয়া জেলা ও পদ্মা নদী, পূর্বে নাটোর জেলা, পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। [3] দেশের প্রধানতম নদী পদ্মা এই জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই জেলার মোট আয়তন ২৪০৭.০১ বর্গকিলোমিটার।
নামকরণ ইতিহাস
এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে। তবে ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র মতে রাজশাহী রাণী ভবানীর দেয়া নাম। অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো এবং এই চাকলার বন্দোবস্তের কালে রাজশাহী নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। পদ্মার উত্তরাঞ্চল বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে পাবনা পেরিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এমনকি নদীয়া, যশোর, বর্ধমান, বীরভূম নিয়ে [4] এই এলাকা রাজশাহী চাকলা নামে অভিহিত হয়। অনুমান করা হয় ‘রামপুর’ এবং ‘বোয়ালিয়া’ নামক দু’টি গ্রামের সমন্বয়ে রাজশাহী শহর গ’ড়ে উঠেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘রামপুর-বোয়ালিয়া’ নামে অভিহিত হলেও পরবর্তীকালে রাজশাহী নামটিই সর্ব সাধারণের নিকট সমধিক পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে আমরা যে রাজশাহী শহরের সঙ্গে পরিচিত, তার আরম্ভ ১৮২৫ সাল থেকে।তার আগে রাজশাহী জেলার সদরদপ্তর ছিল বর্তমান নাটোর শহর এলাকায়।নারদ নদের নাব্য সংকটের কারনে তৎকালীন রামপুর-বোয়ালিয়া পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকায় রাজশাহীর সদর ও প্রসাশনিক এলাকা ব্রিটিশরা স্থাপন করেন।[5]
রাজাশাহী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি ভিন্ন ভাষার একই অর্থবোধক দুটি শব্দের সংযোজন পরিলতি হয়। সংস্কৃত ‘রাজ’ ও ফারসি ‘শাহ’ এর বিশেষণ ‘শাহী’ শব্দযোগে ‘রাজশাহী’ শব্দের উদ্ভব, যার অর্থ একই অর্থাৎ রাজা বা রাজা-রাজকীয় বা বাদশাহ বা বাদশাহী। তবে বাংলা ভাষায় আমরা একই অর্থের অনেক শব্দ দু-বার উচ্চারণ করে থাকি। যেমন শাক-সবজি, চালাক-চতুর, ভুল-ভ্রান্তি, ভুল-ত্র“টি, চাষ-আবাদ, জমি-জিরাত, ধার-দেনা, শিক্ষা-দীক্ষা, দীন-দুঃখী, ঘষা-মাজা, মান-সম্মান, দান-খয়রাত, পাহাড়-পর্বত, পাকা-পোক্ত, বিপদ-আপদ ইত্যাদি। ঠিক তেমনি করে অদ্ভুত ধরনের এই রাজশাহী শব্দের উদ্ভবও যে এভাবে ঘটে থাকতে পারে তা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই নামকরণ নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীও রয়েছে। সাধারণভাবে বলা হয় এই জেলায় বহু রাজা-জমিদারের বসবাস, এজন্য এ জেলার নাম হয়েছে রাজশাহী। কেউ বলেন রাজা গণেশের সময় (১৪১৪-১৪১৮) রাজশাহী নামের উদ্ভব। ১৯৮৪ সালে রাজশাহীর ৪ টি মহকুমাকে নিয়ে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর এবং নবাবগঞ্জ- এই চারটি স্বতন্ত্র জেলায় উন্নীত করা হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা
রাজশাহীতে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, একাধিক ঐতিহ্যবাহী কলেজ (রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ), কারিগরী মহাবিদ্যালয়,একটি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট,একটি ক্যাডেট কলেজ,দুইটি সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সহ আরও অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
উপজেলা সমূহ
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- চারু মজুমদার
- প্রভাসচন্দ্র লাহিড়ী
- শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান রাজনীতিবিদ
- অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
- রাণী ভবানী
- মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবী
- হাসান আজিজুল হক (কথাসাহিত্যিক)
- সেলিনা হোসেন (কথাসাহিত্যিক)
- মাহিয়া মাহী (চিত্রনায়িকা)
- আনিকুল ইসলাম (ইঞ্জিনিয়ার)
- মোঃজিএম শাহ্ ( পশ্চিমবঙ্গ মুর্শিদাবাদ)
- ফজলে হোসেন বাদশাহ (সংসদ সদস্য,রাজশাহী-২)
- এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন (সিটি মেয়র)
- শাহরিয়ার আলম - রাজনীতিবিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
- আব্দুর রাজ্জাক- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
- ডা.শরিফ আহম্মেদ(হিরা)- কর্নেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
- এ্যডঃ লায়েব উদ্দীন লাভলু, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগ।
- পলান সরকার, সমাজসেবী, সাদা মনের মানুষ।
- ড. আবুল হাসান, পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ।
- আলহাজ্ব মো. নাসির উদ্দন সরকার, প্রতিষ্ঠাতা, নাসিরগন্জ ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৫) এবং নাসিরগন্জ পোস্ট অফিস (১৯৬৮)।
- সরদার আমজাদ হোসেন সাবেক মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী দায়িত্বপ্রাপ্ত
- ড.জাহিদ দেওয়ান শামীম,সিনিয়র সাইন্টিস্ট,নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন
- যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী খাজা এম,এ মজিদ
- মিজানুর রহমান চঞ্চল, সহকারী পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; ঢাকা, বাংলাদেশ।।
উল্লেখযোগ্য স্থান
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- পদ্মা নদীর বাঁধ
- পুঠিয়া রাজবাড়ি
- রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
- বরেন্দ্র জাদুঘর
- জিয়া পার্ক
- পদ্মা গার্ডেন
- বাঘা মসজিদ
- রাজা কংস নারায়ণের মন্দির
- তামলি রাজার বাড়ি
- গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি
- হাজারদুয়ারি জমিদার বাড়ি
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন, ২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - Rahman, Md. Mahbubar (৯ মার্চ ২০১৫)। "Rajshahi District"। www.en.banglapedia.org। Asiatic Society of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- "রাজশাহী জেলা"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৬।
- "Rajsahi Satelment Office » রাজশাহী জেলা"। ১৭ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৬।
- "রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা কমিটির তালিকা"। সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। ৩১ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রাজশাহী জেলা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিভ্রমণে রাজশাহী জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |