রাণীনগর উপজেলা

রাণীনগর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

রাণীনগর
উপজেলা
রাণীনগর
বাংলাদেশে রাণীনগর উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৪′১০″ উত্তর ৮৮°৫৮′২৮″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলানওগাঁ জেলা
আয়তন
  মোট২৫৮.৩৩ কিমি (৯৯.৭৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট১,৮৪,৯০০
  জনঘনত্ব৭২০/কিমি (১৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৪৭.৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৬৪ ৮৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইউনিয়ন ০৮ টি

পৌরসভা নাই

গ্রাম ১৭৮ টি (বাহাদুরপুর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম এটিকে আদর্শ গ্রাম বলা হয়।)

মৌজা ১৯০ টি

ওয়ার্ড সংখ্যা ৭২ টি

এতিমখানা সরকারী নাই

এতিমখানা বে-সরকারী ১১ টি

মসজিদ ৩২৩ টি

মন্দির ৮৮ টি

নদ-নদী ২ টি  (ছোট যমুনা ও নাগর)

হাট-বাজার ১৬ টি

ব্যাংক শাখা ০৬ টি

পোস্ট অফিস/সাব পোঃ অফিস ০১ টি, সাব ১২ টি

টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ০১ টি

ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ৩২২ টি

অবস্থান ও আয়তন

রাণীনগর উপজেলা নওগাঁ জেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমানায় অবস্থিত। উত্তরে নওগাঁ সদর উপজেলাআদমদীঘি উপজেলা, পূর্বে আদমদীঘি উপজেলা, দক্ষিণে আত্রাই উপজেলা এবং পশ্চিমে নওগাঁ সদর উপজেলা। রাণীনগর উপজেলার আয়তন ২৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকা

রাণীনগর থানা, সদর উপজেলার একটি মৌজা নিয়ে গঠিত। সদর-এর আয়তন ০.১ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার অন্তর্গত গ্রামের সংখ্যা ১৬৯টি এবং মৌজা ১৯১টি।

ভৌগোলিক উপাত্ত

রাণীনগর উপজেলার প্রধান নদী ছোট যমুনা, এছাড়া পূর্ব সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী নাগর নদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিসর কাঁচারী বাড়ীতে থাকা অবস্থাই যে নদীকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে" কবিতাটি লিখেছিলেন।

ইতিহাস

“রানীনগর” নামকরণ সম্পর্কে প্রচলিত আছে যে, তেরোশ পুকুর আর বারোশ গারির (ছোট পুকুর) অবস্হান ছিল এই অঞ্চলে। এগার’শ - বার’শ শতাব্দীর পাল বংশের পরাক্রমশালী জমিদার খট্রেশ্বর রাজার প্রভাবশালিনী রাণীর সন্মার্থে মৌজার নাম “রানীনগর” আর রাজার নামে নামকরণ হয় “খট্রেশ্বর পরগনা”। ইংরেজ সেটেলমেন্ট রেকর্ডেও এই অঞ্চলের পরগনার নাম “খট্রেশ্বর” এবং মৌজার নাম “রানীনগর” উল্লেখ করা হয়।

আবার অন্য তথ্যমতে, ছাতিয়ানগ্রামের জমিদার কন্যা নাটোরের রাণী ভবানি শংকর যাত্রা বিরতিতে বর্তমান রানীনগর বাজারে বিশ্রাম নিয়েছিলেন, সেই থেকে এর নাম “রানীনগর”।

এটি ১৮৫৬ সালে “রানীনগর” থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, উপজেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে, এবং উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৮৩ সালের ১লা আগষ্ট।

জনসংখ্যার উপাত্ত

উপজেলার মোট জনসংখ্যা (আদমশুমারি ২০০১ অনুযায়ী)১,৮৪,৯০০ জন, পুরুষ ৯৪,১০০ জন, মহিলা ৯০,৮০০ জন তন্মধ্যে মুসলমান ৮৬.৬%, হিন্দু ১৩% এবং অন্যান্য ০.৪%।

শিক্ষা

আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়

উপজেলার শিক্ষার হার ৪৭.৭%।[1] পুরুষ ৫৩.৬% মহিলা ৪১.৪%। উপজেলায় রয়েছে ৪টি কলেজ, ১৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাদ্রাসা, বিভিন্ন এনজিও (NGO) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৫ টি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ১৮টি।

কৃতি ব্যাক্তিত্ব

উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা

কাশিমপুর রাজবাড়ী রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের রাজাপুর ও কালীগ্রাম গ্রামে প্রাচীন কিছু স্থাপনার নিদর্শন পাওয়া যায়। রাজাপুর গ্রামে একটি উঁচু ঢিবি রয়েছে, কথিত আছে উক্ত ঢিবি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ী। একডালা গ্রামেও একটি মধ্যযুগীয় মসজিদ, কিছুকাল পূর্বেও যা আলপনাখচিত ছিল, কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে তা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত।এছাড়াও কাশিমপুর গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেশ কয়েটা রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ।

বিবিধ

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে রাণী নগর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.