গুরুদাসপুর উপজেলা
গুরুদাসপুর বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
গুরুদাসপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() গুরুদাসপুর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′৫″ উত্তর ৮৯°১৪′৫১″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | নাটোর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৯.৪০ কিমি২ (৭৬.৯৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ১,৯৪,২২৮[1] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৪.৯১%[2] |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৬৯ ৪১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান

গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তরে সিংড়া উপজেলা ও তাড়াশ উপজেলা, দক্ষিণে বড়াইগ্রাম উপজেলা, পূর্বে তাড়াশ উপজেলা ও চাটমোহর উপজেলা এবং পশ্চিমে নাটোর সদর উপজেলা অবস্থিত।
ইতিহাস
গুরুদাসপুর ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে একে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়।
নামকরণ
যতদূর জানা যায়, আনুমানিক ১৭৬৭ সালের দিকে 'গুরুদাস' নামক জনৈক পাটনী গুরুদাসপুর চর হতে ঝাউপাড়া পর্যন্ত খেয়া দিত। এই পাটনীর নামানুসারেই এই জায়গার নাম গুরুদাসপুর হয়েছে।
প্রশাসনিক অবস্থা
গুরুদাসপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৬ টি ইউনিয়ন, ৬৩ টি ওয়ার্ড, ১০৬ টি মৌজা এবং ১২৮ টি গ্রাম রয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলার ইউনিয়নগুলি হল-
জনসংখ্যার উপাত্ত
মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৯৪২২৮। তন্মধ্যে, পুরুষ ৯১০৭১ ও মহিলা ১০৩১৫৭ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৪.০৭% মুসলিম, ৫.৪৯% হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ০.৪৪%।
শিক্ষা
সাক্ষরতার হার ৩৪.৯১%। পুরুষ ৩৯.৬১%, মহিলা ৩০.০১%[2]। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ডিগ্রী কলেজ-৪ টি, মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজ-৫ টি, কারিগরি কলেজ ৭ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় -২৭ টি, সিনিয়র মাদ্রাসা -২ টি, দাখিল মাদ্রাসা ১৯ টি, এবতেদায়ি মাদ্রাসা-২০ টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ৪৯টি, বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ২৯টি।
কলেজ ৫ টি, হাইস্কুল ২৪ টি, মাদ্রাসা ৫৭ টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৮ টি, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ১টি।
সংস্কৃতি
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্লাব ৪০ টি, পাবলিক লাইব্রেরি ৩ টি, সিনেমা হল ২ টি, থিয়েটার মঞ্চ ১ টি, জাদুঘর ১ টি।
প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন
চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার উদ্দ্যেশ্যে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চলনবিল জাদুঘর। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব বিভাগের আওতাধীন। অন্যান্য প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে পিপলা গ্রামে মুঘল আমলের একটি মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
অর্থনীতি
প্রধানত কৃষি। মোট আবাদযোগ্য জমি ১৮১০০ হেক্টর। পতিত জমি ৭৭১ হেক্টর। বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত ফসল রসুন, পাট এবং তিল। প্রধান ফল লিচু, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, পেঁপে, কাঠ আপেল, জাম্বুরা এবং তরমুজ।[2]
কুটির শিল্প: কুটির শিল্পের মধ্যে বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, স্বর্ণকার অন্তর্ভুক্ত।
হাট এবং বাজার: হাট ও বাজার এর মোট সংখ্যা ২২, এর মধ্যে চাঁচকৈর বাজার সবচেয়ে সুপরিচিত।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
অধ্যক্ষ এম.এ.হামিদ, এস.এম,শহিদুল ইসলাম সোহেল।এডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট। ড মহসীন আলী, ডা: মনিরজ্জামান তালুকদার ঈমান,প্রফেসর ডা: মো: আনোয়ারুল করিম, ড. জাহাঙ্গীর , ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম কনক,আলহাজ্ব আবুল কাশেম সরকার সাবেক সংসদ সদস্য, মোঃ সানোয়ার হোসাইন বিপ্লব
বিবিধ
ঐতিহ্যবাহী পরিবহন ঘোড়া ও গরুর গাড়ী।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১ টি, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪ টি, চক্ষু হাসপাতাল ১ টি।
পশু হাসপাতাল ১ টি।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।
- বাংলপিডিয়া (২০১২)। "Gurudaspur Upazila"। এশিয়াটিক সোসাইটি। ১৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।