চলনবিল জাদুঘর
চলনবিল জাদুঘর নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে অবস্থিত। এখানে চলনবিলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহে রাখা হয়েছে।
প্রেক্ষাপট
১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর খুবজীপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভবনে বেসরকারি উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে যাত্রা শুরু হয় চলনবিল জাদুঘরের। ১৯৮৯ সালের ২ জুলাই জাদুঘরটি প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরের আওতায় আসে । এটি প্রতিষ্ঠার পর সংগ্রহকাজে গুরুত্ব দেয়া হয় । [1]
ইতিহাস
চলনবিলের অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে অধ্যাপক এমএ হামিদ এ জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার চেষ্টায় যাদুঘরকে সমৃদ্ধ করেছিলেন হাতে লেখা কোরআন শরীফ, মহারানী ভবানীর হাতে লেখা দলিল, চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ব্যবহৃত নানান জিনিস-পত্র দুর্লভ পূরাকীর্তি, নানান ধরনের মূর্তি আর মুদ্রা দিয়ে। [2]
বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে অযত্ন অবহেলায় জাদুঘরটি ধ্বংসের মুখে। স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষগুলোতে রক্ষিত মূল্যবান দুর্লভ প্রত্ন সম্পদগুলো ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে। এছাড়া, সংস্কার আর সংরক্ষণের নামে মূল্যবান অনেক জিনিস নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়া মহাস্থান যাদুঘরে। পরে সেগুলো আর ফিরে আসেনি।
প্রত্নসামগ্রী
- বাদশা আলমগীর ও সম্রাট নাসিরুদ্দিনের নিজ হাতে লেখা দুটি কোরান শরীসহ পুরনো তুলট কাগজে হাতে লেখা তিন-চারশ বছরের পুরনো ৮টি সম্পূর্ণ ও ৭টি আংশিক কোরান শরীফ
- ১৫টি হাদিস শরীফসহ ২শ ৫৭টি ধর্মগ্রন্থ
- কষ্টি পাথরের সূর্যদেব,
- বিষ্ণু ও মাতৃকা মূর্তি
- ৯০টি দেশের মুদ্রা
- ঘট
- বিভিন্ন শাসন আমলের টেরাকোটা
আরও দেখুন
- নাটোর জেলা
- উত্তরা গণভবন
- নাটোর রাজবাড়ী
- রাণী ভবানী
- নাটোর সদর উপজেলা
- নাটোর-১
- নাটোর-২
- নাটোর-৩
- নাটোর-৪
- সিংড়া নাটোর পরিবার
- দিঘাপতিয়া রাজ পরিবার
- দয়ারামপুর রাজ পরিবার
- নাটোরের কাঁচাগোল্লা
- চলন বিল
- নাটোর চিনি কল লিমিটেড
- শহীদ সাগর
- নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- নাটোর মহিলা কলেজ
- মাদার গান
বহিঃসংযোগ
তথ্যসূত্র
- "চলনবিল জাদুঘর"। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮।
- "নাটোর জেলার ঐতিহাসিক চলনবিল জাদুঘর"। ইউটিউব। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮।