বগুড়া সদর উপজেলা
বগুড়া সদর বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
বগুড়া সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() বগুড়া সদর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫০′১৩″ উত্তর ৮৯°২২′৪৪″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | বগুড়া জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৭৭.৩৪ কিমি২ (৬৮.৪৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৪,৪৬,২৬৩[1] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৫.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ১০ ২০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে প্রবেশদার এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ বগুড়া। প্রাচীন পুন্ড রাজ্যের রাজধানী পুন্ডবর্ধন হচ্ছে বগুড়া। জেলা সদর হতে দূরত্ব ০৭ কিঃ মিঃ। উপজেলার আয়তন ১৭৭.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। বগুড়া সদর এর উত্তরে-শিবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে শাজাহানপুর উপজেলা, পূর্বে গাবতলী উপজেলা এবং পশ্চিমে কাহালু উপজেলা।
নামকরণ
সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১২৭৯ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে বগড়া বা বগুড়া।
প্রশাসনিক এলাকা
১৯৮৩ সালের ১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। বগুড়া সদরে ২৫ টি ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড আছে। ৩১০ টি মৌজা বা মহল্লা আছে। সর্বমোট ৩৪১টি গ্রাম আছে। সংসদীয় এলাকা ৪১-বগুড়া-৬ ( বগুড়া সদর)। ইউনিয়নের সংখ্যা ১১টি। এরুলিয়া, ফাঁপোর, সাবগ্রাম, নিশিন্দারা , রাজাপুর, শাখারিয়া, শেখেরকোলা, গোকুল, নুনগোলা, লাহিড়ীপাড়া, নামুজা। পৌরসভা ০১টি ( বগুড়া পৌরসভা ‘‘ক’’ শ্রেণিভূক্ত)। পৌরসভার কার্যক্রম শুরু ১৮৭৫ খ্রিঃ।
শিক্ষা
জেলায় শিক্ষার হার ৫৫.৫%। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০০টি। বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫০ টি। মাদ্রাসা ২৮ টি (সরকারি-কামিল-১, ফাজিল-৩, আলিম-৪ দাখিল-২০ টি),সরকারি পলেটেকনিক ইনস্টিটউট ১ টি।
জনসংখ্যা
মোট জনসংখ্যা ৪,৪৬,২৬৩ জন। পুরুষ-২,৩৩,৩৪২ জন, মহিলা ২,১২,৯২১ জন। জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার - ১.৬৬%। জনসংখ্যার ঘনত্ব - ১৫১৮ ( প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ)।
আবহাওয়া
- গড় তাপমাত্রা- সর্বোচ্চ ৩৪.৬ ডিগ্রী সেঃ, সর্বনিম্ন-১১.৯ ডিগ্রী সেঃ।
- বৃষ্টিপাত -বাৎসরিক ১৬১০ সেঃ মিঃ।
দর্শনীয় স্থান
- বেহুলা - লক্ষিনদরের বাসর ঘর,
- বগুড়া স্টল বিমান বন্দর এরুলিয়া,
- চাঁদমুহা হরিপুর-সাহার বিল এলাকায় চাঁদ সওদাগরের বসতবাড়ি,
- উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন নবাববাড়ি যা বর্তমানে প্যালেস মিউজিয়াম নামে বহুল পরিচিত।
- ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ও বগুড়ার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি।
- পর্যটন উপযোগী স্থান/স্থাপনা - গোকুল ইউনিয়নে মেধ নামক স্থানে ঐতিহাসিক বেহুলা - লক্ষিনদরের বাসর ঘর।
অর্থনীতি
কল কারখানা
বাংলাদেশে একমাত্র ফাউন্ড্রি শিল্পের পাশাপাশি বর্জ্য তুলা, ঝুট কাপড়, সাবান, বেডসীট মশারি কাপড়, জুট মিলস, পেপার মিলস, ফিড মিলস, সিমেন্ট কারখানা, পোল্ট্রিশিল্প সহ এগ্রো বেসড্ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।[1]
শিল্পায়ন
বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মৌজায় ৩৩.১৭ একর জমিতে বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত বিসিক শিল্প নগরীতে ৯৩টি শিল্প কারখানা স্থাপন করে প্রায় ৬০০০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মৌজায় ১৯৬৪ইং ও ১৯৮০ইং সালে দুই দফায় ৩৩.১৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন করা হয়েছে।
কৃষি সম্পর্কিত
মোট জমি ও আবাদি জমির পরিমাণ ১৭,৭৩৪ হেঃ তম্মধ্যে আবাদি জমি ১১.৭০০ হেঃ ( এক ফসলি-১০ হেঃ, দু ফসলি-৩৩৫৮ হেঃ ও তিন ফসলি-৪২৮২ হেঃ এবং তিন এর অধিক-৪০৫০ হেঃ)। প্রধান ফসল ধান, আলু, মরিচ, সরিষা, ভুট্রা, গম এবং বিভিন্ন শাক-সবজি।
যোগাযোগ বাবস্থা
- মোট রাস্তার দৈর্ঘ্য : ৪২২.৯০ কিঃ মিঃ,
- রেল পথ : ১৫০.০কিঃ মিঃ,
- পাকা রাস্তা : ১৬৯.৫০ কিঃ মিঃ,
- কাঁচা রাস্তা : ২৪২.৪০ কিঃ মিঃ
- হেরিং বোন/ডব্লিউবিএম রাস্তা : ১১.০০ কিঃ মিঃ,
- ব্রীজ/পুল/কালভার্ট : ৪৩২ টি
প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব
- তদানিন্তন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী চৌধূরী,
- প্রজাবন্ধু মৌলভী রজিবউদ্দীন তরফদার, এম এল এ
- বিশিষ্ট সাহিত্যিক রোমেনা আফাজ, এম.আর আকতার মুকুল,
- বি.এম ইলিয়াস, ভাষা সৈনিক গাজীউল হক,
- পল্লী কবি রোস্তম আলী কর্ণপুরী,
- কণ্ঠশিল্পী আঞ্জুমান আরা[2]
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বগুড়া সদর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪।
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪।