কাহালু উপজেলা
কাহালু বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। কাহালু উপজেলা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ও ব্যবসায়িক জনপদ ।
কাহালু | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() কাহালু | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৮′৪৩″ উত্তর ৮৯°১৫′৪৩″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | বগুড়া জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৩৮.৭৯ কিমি২ (৯২.২০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,১৯,০০০[1] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৮৭০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ১০ ৫৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
বগুড়া জেলা সদর হতে ১২ কি:মি পশ্চিমে এই উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে নন্দীগ্রাম উপজেলা, পূর্বে বগুড়া সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
কাহালু উপজেলার ইউনিয়নের সংখ্যা ০৯টি। ইউনিয়নসমূহ হচ্ছেঃ ০১ নং বীরকেদার ইউনিয়ন পরিষদ ০২ নং কালাই ইউনিয়ন পরিষদ ০৩ নং পাইকড় ইউনিয়ন পরিষদ ০৪ নং মুরইল ইউনিয়ন পরিষদ ০৫ নং কাহালু ইউনিয়ন পরিষদ ০৬ নং নারহট্ট ইউনিয়ন পরিষদ ০৭ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ০৮ নং জামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ০৯ নং মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদ
ইতিহাস
ইতিহাস থেকে জানা যায় তৎকালীন দরবেশ গাজী জিয়া উদ্দীন সাহেবের কনিষ্ঠ ভ্রাতা হযরত শাহ সুফী সৈয়দ কালু নামের এক দরবেশ এসে বর্তমান কাহালু থানার পার্শ্বে আস্তানা স্থাপন করেন। এখান থেকে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে থাকেন। কাহালু থানার অভ্যন্তরে এই দরবেশের মাজার রয়েছে যা কালু বাবার মাজার নামে পরিচিত। জনশ্রুতিতে থেকে জানা যায় এ সাধু পীরের নামানুসারে উপজেলার নামকরণ হয়েছে ‘‘কাহালু’’।[2] কাহালু ১৯২৮ সালে প্রশাসনিক থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নীত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কাহালু উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,১৯,০০০জন (প্রায়) জন। যার ১,১০,০০০জন (প্রায়) জন পুরুষ ও ১,০৯,০০০জন (প্রায়) জন নারী। প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯১৭জন। কাহালু উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১,৪৬,৭৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১,৫০১ জন ও মহিলা ভোটার ৭৫,২৮৫ জন।[1]
শিক্ষা
- উচ্চ বিদ্যালয়
- কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।
- কাহালু তাইরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
- অঘোর মালঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়।
- কাহালু সরকারি কলেজ।
- কাহালু আদর্শ মহিলা কলেজ।
- কাহালু ফাজিল মাদ্রাসা।
- তিনদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়।
- কল্যাপাড়া আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা ।
- ভালশুন দাখিল মাদরাসা
- খুরাষট্টী দাখিল মাদরাসা
- উত্তর দেবখন্ড দাখিল মাদরাসা
- দ্বারাই দাখিল মাদরাসা
- শান্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
- মাগুড়া আলিম মাদরাসা
- ভালশুন উচ্চ বিদ্যালয়
- জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়
- কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- বান্দাইখারা দাখিল মাদরাসা
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পিলকুঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- জামগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভালশুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- শান্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কল্যাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- খুরাষট্টী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- খাজলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ইন্দুখুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
অর্থনীতি
এই উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, আলু, সরিষা ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন হয়। উপজেলা সদর এলাকা সহ পুরো উপজেলার ছোট বড় পুকুর গুলোতে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করা হয়। এই উপজেলাতে কয়েকটি বড় বড় হাট ও বাজার আছে।বাজার গুলোতে ছোট বড় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। উপজেলার অনেক গ্রামে পারিবারিক ও বাণিজ্যিক ভাবে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হাঁস মুরগী, কবুতর, নানা জাতের পাখি লালন পালন করা হয়। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত।
দর্শনীয় স্থান
- যোগীর ভবন
- পাঁচপীর মাজার
চিত্রশালা
- শিব মন্দির
- শালিবাহন রাজার বাড়ি
- যোগীর ভবন
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে কাহালু উপজেলা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কাহালু"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪।
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "কাহালু উপজেলার পটভূমি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪।