সুজানগর উপজেলা

সুজানগর বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

সুজানগর
উপজেলা
সুজানগর
বাংলাদেশে সুজানগর উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′৮″ উত্তর ৮৯°২৬′৬″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাপাবনা জেলা
আয়তন
  মোট৩৩৪.৩৪ কিমি (১২৯.০৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট২,৫১,১৯২
  জনঘনত্ব৭৫০/কিমি (১৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৪৬.৬৮%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৭৬ ৮৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

এই উপজেলার পূর্বে বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়ন, পশ্চিমে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন, উত্তরে সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া এবং আর আতাইকুলা ইউনিয়ন, দক্ষিণে পদ্মা নদী।

প্রশাসনিক এলাকা

এই উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ হচ্ছে -

১. ভায়না ইউনিয়ন

২. সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন

৩. মানিকহাট ইউনিয়ন

৪. নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন

৫. হাটখালী ইউনিয়ন

৬. সাগরকান্দি ইউনিয়ন

৭. রানীনগর ইউনিয়ন

৮. আহম্মদপুর ইউনিয়ন

৯. দুলাই ইউনিয়ন

১০.তাঁতিবন্দ ইউনিয়ন

ইতিহাস

পদ্মা নদী বাহিত পলিদ্বারা সৃষ্ট প্লাবন সমভূমির উপর অবস্থিত এ জনপদের অনেক সমৃদ্ধ এবং রয়েছে অনেক ইতিহাস । সুজানগরের আদি নাম গোবিন্দগঞ্জ।

মুঘল সম্রাট শাহ্জাহানের রাজত্বকালের শেষভাগে তার পুত্রদের মধ্যে রাজ সিংহাসনের দখল নিয়ে যে বিরোধের সুত্রপাত হয় তার ধারাবাহিকতায় যুবরাজ শাহ সুজা আরাকানে পালিয়ে যান। তিনি আরাকান গমনকালে সুজানগরে ৩ রাত অবস্থান করেন। যুবরাজ শাহ সুজার এই অবস্থানকে চিরস্বরনীয় করে রাখার জন্য এতদঞ্চলের মানুষ এ জনপদের নামকরণ করেন সুজানগর ।

জনসংখ্যার উপাত্ত

জনসংখ্যা=২,৭৮,০৯৬ জন(২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী) পুরুষ=১,৩৮,৫৫৯জন(প্রায়) মহিলা=১,৩৯,৫৩৭ জন(প্রায়) লোক সংখ্যার ঘনত্ব=৮২১ (প্রতি বর্গকিলোমিটারে) মোট ভোটার সংখ্যা=১,৮৪,৪৯৮ জন পুরুষ ভোটার সংখ্যা=৮৫,৩৩৯ জন মহিলা ভোটার সংখ্যা=৮৬,৫৮৬জন বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিরহার= ১.৬১%(২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

এই উপজেলাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা। কলেজসমূহঃ

  1. ডাঃ জহুরুল কামাল সরকারী কলেজ,
  2. আজগর উদ্দিন কলেজ,
  3. সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ,
  4. মালিফা কলেজ
  5. সুজানগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় # বোনকোলা হাই স্কুল এন্ড কলেজ

ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য

এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে,সুজানগর উপজেলার সভ্যতা বহুপ্রাচীন। পদ্মা নদী বিধৌত এই এলাকায় রয়েছে সবুজের সমারহ চর । বর্ষা মৌসুমে সমগ্র চর অঞ্চল থৈ,থৈ পানি আবার শরৎকালে কাশবন ফুল ফুলে সাদা হয়ে উঠে দেখে বিশ্ব কবির সেই কবিতাটি মনে পড়ে চিকচিক করে বালি কোথাও নেই কাঁদা, দুই ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। । মাঝে বিলগাজনা ও গন্ডহস্তি বিল, বর্ষায় এর অপরূপ সৌন্দর্য নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না যে, কি অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসাবে রয়েছে-

১.তাঁতিবন্দ বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর জমিদার বাড়ী

২.দুলাই আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ী

৩.সাগরকান্দি হযরত শাহ মাহতাব উদ্দিন আউলিয়ার মাজার শরিফ।

৪.নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট

৫.গাজনার বিল

৬.সাতবাড়ীয়ার কাঞ্চনপার্ক

৭.খয়রান ব্রিজ

কৃতী ব্যক্তিত্ব

১। আবদুল গনি হাজারী - বাংলা একাডেমী পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন কবি ও সাংবাদিক।

২। মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন - বাংলা একাডেমী পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন লোকসঙ্গীত,লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও লোকসাহিত্যবিশারদ ।

৩। সরদার জয়েনউদ্দীন - বাংলা একাডেমী পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন লেখক,ঔপন্যাসিক,গল্পকার ও সম্পাদক ।

৪। চঞ্চল চৌধুরী - একজন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতা ।

৫। আজিজুর রহমান - বীর প্রতীক

বিবিধ

গাজনা বিল

গাজনার বিল হচ্ছে সুজানগরের একটি প্রসিদ্ধ স্থান।

তথ্যসুত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সুজানগর উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.