চঞ্চল চৌধুরী

১৯৯৬ সালে মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু হয়। তার অভিনীত প্রথম নাটক আরণ্যক নাট্যদলের কালো দৈত্য'। পরবর্তীতে এই নাট্যদলের সাথে সংক্রান্তি, রাঢ়াঙ, শত্রুগণ সহ আরও অনেক নাটকে কাজ করেন।[9]

ফরিদুর রহমানের "গ্রাস" নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার পর্দাপন। মিডিয়াতে অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষ অভিনেতা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর তাল পাতার সেপাই নাটক দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন এই মঞ্চ অভিনেতা। তারপর থেকেই তিনি মঞ্চের পাশাপাশি বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন টিভি নাটকে।[10]

চঞ্চলের বড়পর্দায় অভিষেক হয় ২০০৬ সালে তৌকির আহমেদ পরিচালিত রূপকথার গল্প দিয়ে। তিনি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা ছবিতে সোনাই চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ফেরদৌসের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১১তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সেরা অভিনেতা হিসেবে দর্শক জরিপ পুরস্কার লাভ করেন।[3] পরের বছর গৌতম ঘোষ পরিচালিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার মনের মানুষ ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস মনের মানুষ অবলম্বনে লালন শাহের জীবনী নিয়ে নির্মিত।

২০১১ সালে চঞ্চল চৌধুরী

২০১২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক পিতা চলচ্চিত্রে ইমন সাহার সঙ্গীতায়োজনে শাওনের সাথে "তোর ভিতরে আমি থাকি" গানে কণ্ঠ দেন।[11] ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করেন। একই বছর ঈদুল আযহায় প্রচারিত হয় তার অভিনীত টিভি নাটক ঈদের নাটক। রুম্মান রশীদ খান রচিত ও রিপন মিয়ার পরিচালিত নাটকটিতে তাকে একজন নাট্য পরিচালক হিসেবে দেখা যায়, যিনি রওনক হাসান অভিনীত চরিত্রের অনুরোধে ঈদের জন্য একটি নাটক পরিচালনা করেন।[12] ২০১৫ সালে তিনি বৃন্দাবন দাস রচিত এবং সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ছয় পর্বের মিনি ধারাবাহিক ওয়াইফ মানে স্ত্রী-এ অভিনয় করেন। নাটকটি ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়।[13]

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাভিশনে প্রচারিত টিভি ধারাবাহিক সব পাখি ঘরে ফিরে-এ তিনি শাহনাজ খুশীর বিপরীতে অভিনয় করেন।[14] এই বছর ঈদুল ফিতরে ছয়টি ছয় পর্বের মিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন, সেগুলো হল বৃন্দাবন দাসের রচনা ও সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় ইতি মির্জাফর ও লাভ মানে ভালোবাসা, মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় ইজম আনলিমিটেড, অনিমেষ আইচের পরিচালনায় অশ্বডিম্ব, মাসুদ সেজানের পরিচালনায় ওয়াও ফ্যান্টাসি ও চন্দন চৌধুরীর পরিচালনায় চাল্লু মামার চাল্লু ভাগ্নে।[15] এছাড়া তিনি ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে খণ্ড নাটক সবজান্তা ভালোবাসা-এ অভিনয় করেন।[16] মানি ইজ প্রবলেম[17] একই বছর ঈদুল আযহায় চ্যানেল আইয়ের একজন জাদুকর নাটকে অভিনয় করেন। এতে তিনি চার বছর পর সারিকা সাবরিনের বিপরীতে কাজ করেন।[18] এছাড়া এই ঈদে তাকে আরটিভির ছয় পর্বের ধারাবাহিক মানি ইজ প্রবলেম-এ নুসরাত ইমরোজ তিশার বিপরীতে দেখা যায়।[17]

২০১৬ সালের অক্টোবরে চঞ্চলকে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত আয়নাবাজি ছবিতে দেখা যায়। এই ছবিতে তিনি নাম চরিত্র আয়নাসহ ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেন।[19] চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, এছাড়া সমালোচকদের জরিপে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস দেবী অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেন।[20] সরকারি অনুদান ও জয়া আহসান প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি অক্টোবর মাসে মুক্তি পাবে। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা দুই বছরের জন্য মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শুভেচ্ছাদূত হন এবং আটটি বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[21]

• রূপকথার গল্প (২০০৬)
• মনপুরা (২০০৯)
• আয়নাবাজি (২০১৬)
• দেবী (২০১৮)

• মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার - ২০১০,[3] ২০১২,[22] ২০১৩