১২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

১২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ১২তম আয়োজন; যা ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সমূহের জন্য দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে। ১৯৮৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওসমানী মিলনায়তনে বেগম রওশন এরশাদ পুরস্কার বিতরণ করেন। এই বছর ১৯টি শাখার মধ্যে ১৬টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।[1] শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ অপর ২টি শাখায় কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি। ২টি শাখায় যৌথভাবে পুরস্কার দেয়া হয়।[2]

১২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
পুরস্কার দেওয়া হয়১৯৮৭ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য
পুরস্কার প্রদান করেবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
উপস্থাপিততথ্য মন্ত্রণালয়
তারিখ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯
স্থানঢাকা, বাংলাদেশ
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
আলোকপাত
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্ররাজলক্ষী শ্রীকান্ত
শ্রেষ্ঠ অভিনেতাআলমগীর এবং এটিএম শামসুজ্জামান (যৌথভাবে)
অপেক্ষাদায়ী কে?
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীশাবানা
অপেক্ষা
সর্বাধিক পুরস্কাররাজলক্ষী শ্রীকান্ত, ও অপেক্ষা (৪)
 < ১১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৩তম > 

বিজয়ীদের তালিকা

শাবানার এটি পঞ্চমবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়। আলমগীর এই বছর দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে এবং আনোয়ার হোসেনআবুল খায়েরও দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। এ. জে. মিন্টুদিতি প্রথমবারের মত যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ পরিচালকশ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।

মেধা পুরস্কার

পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ পরিচালকএ জে মিন্টুলালু মাস্তান
শ্রেষ্ঠ অভিনেতাআলমগীর
এটিএম শামসুজ্জামান
অপেক্ষা
দায়ী কে?
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীশাবানাঅপেক্ষা
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতাআনোয়ার হোসেন
আবুল খায়ের
দায়ী কে?
রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতীপারভীন সুলতানা দিতিস্বামী স্ত্রী
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীমাস্টার রাসেল
সুবর্ণা শিরিন
রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকআলম খানসারেন্ডার
শ্রেষ্ঠ পুরুষ সঙ্গীতশিল্পীএন্ড্রু কিশোরসারেন্ডার ("সবাইতো ভালোবাসা চায়")[3]
শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পীসাবিনা ইয়াসমিনরাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত ("শত জনমের স্বপ্ন")[4]

কারিগরী পুরস্কার

পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারকাজী হায়াৎদায়ী কে?
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারদিলীপ বিশ্বাসঅপেক্ষা
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো)মাহফুজুর রহমান খানসহযাত্রী
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন)আবুল খায়েরসেতু বন্ধন
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশকশরীফউদ্দিন ভুইয়াহারানো সুর
শ্রেষ্ঠ সম্পাদকআমিনুল ইসলাম মিন্টুঅপেক্ষা
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহকমফিজুল হকসন্ধি

একাধিক বিজয়ী চলচ্চিত্র

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"fdc.gov.bdবাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  2. রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২
  3. "এন্ড্রু কিশোরের জাতীয় পুরস্কার জয়ী ৫ গান"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৬-১১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭
  4. "সংগীতের অহংকার সাবিনা ইয়াসমিন"দৈনিক আজাদী। জানুয়ারি ২৪, ২০১৩। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৫
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.