শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালকদের জন্য সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসাবে ১৯৭৬ সাল থেকে দেওয়া হয়।[1] এই বিভাগে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন নারায়ণ ঘোষ মিতা লাঠিয়াল ছায়াছবি পরিচালনার জন্য।[2] সর্বাধিক চারবার এই পুরস্কার অর্জন করেন এ জে মিন্টু, তিনবার পান শেখ নিয়ামত আলী এবং দুবার করে পান আমজাদ হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, কামাল আহমেদ, চাষী নজরুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল, ও কাজী হায়াৎ।

শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
পুরষ্কারের কারণবাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালনায় অবদানের জন্য
অবস্থানঢাকা
দেশবাংলাদেশ
পুরস্কারদাতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পুরস্কৃত১৯৭৬
সর্বশেষ পুরস্কৃত২০১৮
বর্তমানে আধৃতমোস্তাফিজুর রহমান মানিক
ওয়েবসাইটঅফিসিয়াল ওয়েবসাইট

বিজয়ী পরিচালক
সুভাষ দত্ত (বামে) বসুন্ধরা (১৯৭৭) এবং আমজাদ হোসেন (ডানে) গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮) ও ভাত দে (১৯৮৪) চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন (বামে) এখনই সময় (১৯৮০) ও দুই জীবন (১৯৮৮) এবং তানভীর মোকাম্মেল (ডানে) চিত্রা নদীর পারে চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।
আবু সাইয়ীদ (বামে) কিত্তনখোলা (২০০০) এবং তৌকির আহমেদ (ডানে) জয়যাত্রা (২০০৪) চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।
সুচন্দা (বামে) হাজার বছর ধরে (২০০৫) এবং কাজী মোরশেদ (ডানে) ঘানি (২০০৬) চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।
মুরাদ পারভেজ (বামে) চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮) এবং হুমায়ূন আহমেদ (ডানে) ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২) চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।
মাসুদ পথিক ২০১৪ সালে নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ এবং মোরশেদুল ইসলাম ২০১৫ সালে অনিল বাগচীর একদিন চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৭০-এর দশক
বছর বিজয়ী পরিচালক চলচ্চিত্র সূত্র
১৯৭৫নারায়ণ ঘোষ মিতালাঠিয়াল[2]
১৯৭৬হারুনর রশিদমেঘের অনেক রং
১৯৭৭সুভাষ দত্তবসুন্ধরা
১৯৭৮আমজাদ হোসেনগোলাপী এখন ট্রেনে
১৯৭৯মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলীসূর্য দীঘল বাড়ী

১৯৮০-এর দশক
বছর বিজয়ী পরিচালক চলচ্চিত্র সূত্র
১৯৮০আবদুল্লাহ আল মামুনএখনই সময়
১৯৮১কোন পুরস্কার দেয়া হয় নি
১৯৮২মোহাম্মদ মহিউদ্দিনবড় ভালো লোক ছিল[3]
১৯৮৩কামাল আহমেদলালু ভুলু
১৯৮৪আমজাদ হোসেনভাত দে
১৯৮৫শেখ নিয়ামত আলীদহন
১৯৮৬চাষী নজরুল ইসলামশুভদা
১৯৮৭এ জে মিন্টুলালু মাস্তান
১৯৮৮আবদুল্লাহ আল মামুনদুই জীবন
১৯৮৯এ জে মিন্টুসত্য মিথ্যা

১৯৯০-এর দশক
বছর বিজয়ী পরিচালক চলচ্চিত্র সূত্র
১৯৯০কামাল আহমেদগরীবের বউ
১৯৯১এ জে মিন্টুপিতা মাতা সন্তান
১৯৯২মতিন রহমানঅন্ধ বিশ্বাস
১৯৯৩এ জে মিন্টুবাংলার বধু
১৯৯৪কাজী হায়াৎদেশপ্রেমিক
১৯৯৫শেখ নিয়ামত আলীঅন্য জীবন
১৯৯৬আখতারুজ্জামানপোকা মাকড়ের ঘর বসতি
১৯৯৭চাষী নজরুল ইসলামহাঙর নদী গ্রেনেড
১৯৯৮শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
১৯৯৯তানভীর মোকাম্মেলচিত্রা নদীর পারে

২০০০-এর দশক
বছর বিজয়ী পরিচালক চলচ্চিত্র সূত্র
২০০০আবু সাইয়ীদকিত্তনখোলা
২০০১তানভীর মোকাম্মেললালসালু
২০০২কাজী হায়াৎইতিহাস
২০০৩শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি
২০০৪তৌকির আহমেদজয়যাত্রা[4]
২০০৫কোহিনুর আক্তার সুচন্দাহাজার বছর ধরে
২০০৬কাজী মোরশেদঘানি
২০০৭এনামুল করিম নির্ঝরআহা!
২০০৮মুরাদ পারভেজচন্দ্রগ্রহণ[5]
২০০৯সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডগঙ্গাযাত্রা

২০১০-এর দশক
বছর বিজয়ী পরিচালক চলচ্চিত্র সূত্র
২০১০খালিদ মাহমুদ মিঠুগহীনে শব্দ[6]
২০১১নাসির উদ্দীন ইউসুফগেরিলা[7]
২০১২হুমায়ূন আহমেদঘেটুপুত্র কমলা
২০১৩গাজী রাকায়েতমৃত্তিকা মায়া[8]
২০১৪মাসুদ পথিকনেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ
২০১৫মোরশেদুল ইসলাম
রিয়াজুল রিজু		অনিল বাগচীর একদিন
বাপজানের বায়স্কোপ		[9]
২০১৬অমিতাভ রেজা চৌধুরীআয়নাবাজি[10]
২০১৭বদরুল আনাম সৌদগহীন বালুচর[11]
২০১৮মোস্তাফিজুর রহমান মানিকজান্নাত[11]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র
  1. রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২।
  2. "লাঠিয়াল"। দৈনিক সমকাল। ১৫ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
  3. ফজলে এলাহী (২ অক্টোবর ২০১৫)। "সাদাকালোয় সোনালি দিন"। বণিক বার্তা। ২০১৫-১১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৬।
  4. "National Film Awards for the last fours years announced" [চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা]। দ্য ডেইলি স্টার। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
  5. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৮ ঘোষণা"। প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
  6. "সেরা ছবি গহীনে শব্দ, অভিনয়ে সাকিব-পূর্ণিমা"। দৈনিক আজাদী। ২২ মার্চ ২০১২। ২০১৬-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
  7. "Guerrilla bags 10 National Film Awards"। বিডিনিউজ। ১৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
  8. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'মৃত্তিকা মায়া'র জয়জয়কার"। বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
  9. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ ঘোষণা: 'বাপজানের বায়োস্কোপ'-এর জয়জয়কার"। বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭।
  10. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬" (PDF)। তথ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সরকার। ৪ এপ্রিল ২০১৮। ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৮।
  11. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৭ ও ২০১৮"। তথ্য অধিদফতর। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।

বহিঃসংযোগ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.