১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ১০ম আয়োজন; যা ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সমূহের জন্য দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে। এই বছর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে কোন পুরস্কার দেওয়া হয় নি।[1] দহন, মা ও ছেলে ও প্রেমিক চলচ্চিত্রগুলো ৩টি এবং রামের সুমতি ও তিন কন্যা ২টি করে পুরস্কার লাভ করে।[2]
১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ||||
---|---|---|---|---|
পুরস্কার দেওয়া হয় | ১৯৮৫ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য | |||
পুরস্কার প্রদান করে | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি | |||
উপস্থাপিত | তথ্য মন্ত্রণালয় | |||
তারিখ | ১৮ ডিসেম্বর ১৯৮৬ | |||
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ | |||
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | |||
আলোকপাত | ||||
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | প্রদান করা হয়নি | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | আলমগীর মা ও ছেলে | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | ববিতা রামের সুমতি | |||
সর্বাধিক পুরস্কার | দহন, মা ও ছেলে ও প্রেমিক(৩) | |||
|
অনুষ্ঠান
১৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ সালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী আনোয়ার জাহিদ। এই বছর ১৯টি শাখার মধ্যে ১৩টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।[3]
বিজয়ী
শেখ নিয়ামত আলী দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে এই পুরস্কার অর্জন করেন। তবে আগের বার সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের জন্য তিনি মসিহউদ্দিন শাকেরের সাথে যৌথভাবে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি এই বছর শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগেও পুরস্কার লাভ করেন। প্রথম তিন বছর টানা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভের পর ববিতার এটি চতুর্থ পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথমবারের মত এই পুরস্কার লাভ করেন আলমগীর।[4] শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা ও পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে প্রথমবারের মত এই পুরস্কার লাভ করেন যথাক্রমে আবুল খায়ের ও রেহানা জলি। আলম খান দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হন।[5] সাবিনা ইয়াসমিন ষষ্ঠবারের মত শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।[6]
বিজয়ীদের তালিকা
মেধা পুরস্কার
কারিগরী পুরস্কার
পুরস্কারের নাম | বিজয়ী | চলচ্চিত্র |
---|---|---|
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার | শেখ নিয়ামত আলী | দহন |
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার | ইসমাইল মোহাম্মদ | মা ও ছেলে |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন) | বেবী ইসলাম | প্রেমিক |
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক | মুজিবুর রহমান দুলু | তিন কন্যা |
একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র
- ৩টি - দহন, মা ও ছেলে ও প্রেমিক
- ২টি - রামের সুমতি ও তিন কন্যা
তথ্যসূত্র
- রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২।
- "বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৮৫" (PDF)। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৫।
- "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। fdc.gov.bd। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
- মারিয়া, শান্তা (৩ এপ্রিল ২০১৬)। "চিরসবুজ আলমগীর"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭।
- কবির বকুল (অক্টোবর ২৯, ২০১৫)। "আলম খানের গান ও গল্প"। দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭।
- "সংগীতের অহংকার সাবিনা ইয়াসমিন"। দৈনিক আজাদী। ২৪ জানুয়ারি ২০১৩। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।