শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় পুরস্কার, যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসমূহকে ১৯৭৬ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে।[1][2] প্রথমবারের মত নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত লাঠিয়াল চলচ্চিত্রটি এ পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করে।[2] ২০১৪ সালের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য মনোনীত হয় বৃহন্নলা কিন্তু গল্প চুরির অভিযোগে পুরস্কার কমিটি তা বাতিল করে ও পরবর্তীতে নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ চলচ্চিত্রটিকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার প্রদান করা হয়।[3] এ পর্যন্ত সর্বাধিক ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পায় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত চলচ্চিত্র।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | |
---|---|
পুরষ্কারের কারণ | সেরা চলচ্চিত্রের জন্য |
অবস্থান | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুরস্কারদাতা | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৭৬ (১৯৭৫ সালের চলচ্চিত্রের জন্য) |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০১৮ (২০১৮ সালের চলচ্চিত্রের জন্য) |
বর্তমানে আধৃত | পুত্র |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
বিজয়ী চলচ্চিত্র
১৯৭০-এর দশক
বছর | চলচ্চিত্র | প্রযোজক | সূত্র |
---|---|---|---|
১৯৭৫ | লাঠিয়াল | নারায়ণ ঘোষ মিতা | [2] |
১৯৭৬ | মেঘের অনেক রং | আনোয়ার আশরাফ | [1] |
১৯৭৭ | বসুন্ধরা | সুভাষ দত্ত | |
১৯৭৮ | গোলাপী এখন ট্রেনে | আমজাদ হোসেন | |
১৯৭৯ | সূর্য দীঘল বাড়ী | মসিহউদ্দিন শাকের |
১৯৮০-এর দশক
বছর | চলচ্চিত্র | প্রযোজক | সূত্র |
---|---|---|---|
১৯৮০ | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী | বাদল রহমান | [1] |
১৯৮১ | কোন পুরস্কার দেয়া হয় নি | ||
১৯৮২ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি | ||
১৯৮৩ | পুরস্কার | সত্য সাহা | [4] |
১৯৮৪ | ভাত দে | আবু জাফর খান | [1] |
১৯৮৫ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি | ||
১৯৮৬ | শুভদা | একেএম জাহাঙ্গীর | |
১৯৮৭ | রাজলক্ষী শ্রীকান্ত | ত্রয়ী চিত্রম | |
১৯৮৮ | দুই জীবন | সূচনা ফিল্মস | |
১৯৮৯ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি |
১৯৯০-এর দশক
বছর | চলচ্চিত্র | প্রযোজক | সূত্র |
---|---|---|---|
১৯৯০ | গরীবের বউ | এসএস প্রডাকশন্স | [1] |
১৯৯১ | পদ্মা মেঘনা যমুনা | মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন | |
১৯৯২ | শঙ্খনীল কারাগার | মোস্তাফিজুর রহমান | |
১৯৯৩ | পদ্মা নদীর মাঝি | হাবিবুর রহমান খান | |
১৯৯৪ | আগুনের পরশমণি দেশপ্রেমিক | হুমায়ুন আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমান | [5] |
১৯৯৫ | অন্য জীবন | এস নিয়ামত আলী প্রোডাকশন্স | [1] |
১৯৯৬ | পোকা মাকড়ের ঘর বসতি | ববিতা | |
১৯৯৭ | দুখাই | মোরশেদুল ইসলাম | |
১৯৯৮ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি | ||
১৯৯৯ | চিত্রা নদীর পাড়ে | তানভীর মোকাম্মেল |
২০০০-এর দশক
বছর | চলচ্চিত্র | প্রযোজক | সূত্র |
---|---|---|---|
২০০০ | কিত্তনখোলা | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | [1] |
২০০১ | লালসালু | তানভীর মোকাম্মেল | |
২০০২ | হাসন রাজা | হেলাল খান | |
২০০৩ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি | ||
২০০৪ | জয়যাত্রা | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও তৌকির আহমেদ | [6] |
২০০৫ | হাজার বছর ধরে | কোহিনুর আক্তার সুচন্দা | |
২০০৬ | ঘানি | কাজী মোরশেদ | |
২০০৭ | দারুচিনি দ্বীপ | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | |
২০০৮ | চন্দ্রগ্রহণ | আজম ফারুক | [7] |
২০০৯ | মনপুরা | স্বপন চৌধুরী | [8] |
২০১০-এর দশক
বছর | চলচ্চিত্র | প্রযোজক | সূত্র |
---|---|---|---|
২০১০ | গহীনে শব্দ | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | [9] |
২০১১ | গেরিলা | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | [10] |
২০১২ | উত্তরের সুর | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | |
২০১৩ | মৃত্তিকা মায়া | গাজী রাকায়েত ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | [11] |
২০১৪ | নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ | ব্রাত্য চলচ্চিত্র | |
২০১৫ | অনিল বাগচীর একদিন বাপজানের বায়স্কোপ | বেঙ্গল ক্রিয়েশন্স কারুকাজ ফিল্মস | [12] |
২০১৬ | অজ্ঞাতনামা | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম | [13] |
২০১৭ | ঢাকা অ্যাটাক | কায়সার আহমেদ ও সানী সানোয়ার | [14] |
২০১৮ | পুত্র | বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর | [14] |
তথ্যসূত্র
- রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২।
- "লাঠিয়াল"। দৈনিক সমকাল। ১৫ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "বৃহন্নলা বাদ, সেরা চলচ্চিত্র নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ"। বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৬।
- ফজলে এলাহী (২ অক্টোবর ২০১৫)। "সাদাকালোয় সোনালি দিন"। বণিক বার্তা। ২০১৫-১১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৬।
- Syed Tashfin Chowdhury (২০১২-০৭-২৭)। "Humayun Ahmed: author and filmmaker"। Asia Times। ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১, ২০১৫।
- "National Film Awards for the last fours years announced" [চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা]। দ্য ডেইলি স্টার। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৮ ঘোষণা"। প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "Monpura best film for 2009"। বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২১ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "সেরা ছবি গহীনে শব্দ, অভিনয়ে সাকিব-পূর্ণিমা"। দৈনিক আজাদী। ২২ মার্চ ২০১২। ২০১৬-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "Guerrilla bags 10 National Film Awards"। বিডিনিউজ। ১৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'মৃত্তিকা মায়া'র জয়জয়কার"। বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।
- "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ ঘোষণা: 'বাপজানের বায়োস্কোপ'-এর জয়জয়কার"। বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭।
- মানজুর, মাহমুদ (৫ এপ্রিল ২০১৮)। "শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র 'অজ্ঞাতনামা', সর্বাধিক 'আয়নাবাজি'"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৮।
- "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৭ ও ২০১৮"। তথ্য অধিদফতর। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.