মৃত্তিকা মায়া
মৃত্তিকা মায়া বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালের সরকারি অনুদানে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ এবং পরিচালনা করেন গাজী রাকায়েত হোসেন। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে চারুনিড়ম অডিও ভিজ্যুয়াল ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।[1] চলচ্চিত্রটি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে মুক্তি পায়।
মৃত্তিকা মায়া | |
---|---|
পরিচালক | গাজী রাকায়েত হোসেন |
প্রযোজক | গাজী রাকায়েত হোসেন ও ফরিদুর রেজা সাগর |
রচয়িতা | গাজী রাকায়েত হোসেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | তিতাস জিয়া, শর্মীমালা, রাইসুল ইসলাম আসাদ |
সুরকার | একে আজাদ |
চিত্রগ্রাহক | সাইফুল ইসলাম বাদল |
সম্পাদক | মো. শরিফুল ইসলাম রাসেল |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১৫০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী
ক্ষীরমোহন পাল (রাইসুল ইসলাম আসাদ) পেশায় কুমার এবং বিপত্মীক। এতিম নাতনি পদ্মকে (শর্মীমালা) নিয়ে থাকেন। নিজের তিন সন্তানের একজন স্ত্রীসহ মারা যায় (পদ্মর মা-বাবা)। আর দুজন থাকে শহরে। একজন ব্যাংকের পিয়ন, অন্যজন ব্যবসা করে। ক্ষীরমোহন বাবুর কুমোর পেশাকে তারা গ্রহণ করে না। এমনকি তার এই পেশাকে ছোটলোকের কাজ বলে মনে করে। আর্থিক লাভের জন্য তারা বাবার কর্মকে বিক্রি করতে চায়।
ক্ষীরমোহন পালের নাতনি পদ্ম দেখতে শ্যাম বর্ণের। এ জন্য কোনো পাত্রপক্ষ তাকে পছন্দ করে না। এদিকে পদ্ম তাদের বাড়িতে আশ্রিত বৈশাখকে (তিতাস জিয়া) ভালোবাসে। ক্ষীরমোহন বাবু ছোট বেলায় বৈশাখকে তার বটতলার বৈশাখী মেলায় কুঁড়িয়ে পায়। বৈশাখী মেলায় কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে নাম রাখেন বৈশাখ।
একদিন পদ্মের বুড়ো বয়সের এক ধনী লোকের সাথে বিয়ে হয়ে যায়।
ক্ষীরমোহন মৃত্যুর কালে তার সকল জায়গা-জমি, সহায়-সম্পত্তি এবং বটবৃক্ষ বৈশাখকে দিয়ে যায়। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে বৈশাখ ক্ষীরমোহনের দান করা সম্পত্তি প্রত্যাখ্যান করে।
অভিনয়
মৃত্তিকা মায়া ছবিতে অভিনয় করেছেন শর্মীমালা, তিতাস জিয়া, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মামুনুর রশীদ, অপর্ণা, লুৎফর রহমান জর্জ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
পুরস্কার ও মনোনয়ন
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
২০১৩ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এই চলচ্চিত্রটি ১৭টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মৃত্তিকা মায়া যেসব বিভাগে পুরস্কার জিতেছে সেগুলো হচ্ছে— সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা গল্প, সেরা সংলাপ, সেরা চিত্রনাট্য, সেরা অভিনেতা (তিতাস জিয়া), সেরা অভিনেত্রী (শর্মীমালা), সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (রাইসুল ইসলাম আসাদ), সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অপর্ণা ঘোষ), খল চরিত্রে সেরা অভিনেতা (মামুনুর রশীদ), সেরা আবহ সংগীত (এ কে আজাদ), সেরা চিত্রগ্রাহক (সাইফুল ইসলাম বাদল), সেরা সম্পাদনা (শরীফুল ইসলাম রাসেল), সেরা শিল্প নির্দেশক (উত্তম গুহ), সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ওয়াহিদা মল্লিক জলি), সেরা শব্দগ্রহণ (কাজী সেলিম) এবং সেরা রূপসজ্জা (মোহাম্মদ আলী বাবুল)।[2]
তথ্যসূত্র
- "মুক্তি পাচ্ছে 'মৃত্তিকা মায়া'"। প্রথম আলো। ২২ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৫।
- "'মৃত্তিকা মায়া'র অভাবনীয় সাফল্য"। প্রথম আলো। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে মৃত্তিকা মায়া