শর্মীমালা

শর্মীমালা একজন বাংলাদেশী মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।[1] গৌতম ঘোষ পরিচালিত মনের মানুষ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে।[2] গাজী রাকায়েত এর পরিচালনায় মৃত্তিকা মায়া চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।[3]

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন

তিনি ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়াশোনা করেছেন।

অভিনয় জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় ক্যাম্পাসের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রোকেয়া প্রাচীর পরিচালনায় ‘গাঁওগেরামের কিস্সা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চ নাটকে অভিষেক ঘটে তার।

২০০৬ সালে তিনি পালাকারের ছয় মাসব্যাপী কর্মশালায় যোগ দেন। অভিনয় করেন হাসান আজিজুল হক রচিত ‘চন্দর কোথায়’ নাটকে। পালাবারে শর্মীমালার অভিনীত নাটকগুলি মধ্যে রয়েছে ‘ডাকঘর’, ‘মানগুলা’, ‘মৃত্তিকাকুমারী’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এছাড়াও অভিনয় করেছেন দশরূপক নাট্যদলের নায়লা আজাদ নূপুরের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’ নাটকে। গ্যেটে ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ‘থিয়েটার ফর চিলড্রেন’-এ কাজ করেছেন। মুকুল আহমেদের নির্দেশনায় শেঙ্পিয়ারের ‘জুলিয়াস সিজার’, ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ এবং ‘সোনাটা’ নাটকে অভিনয় করেছেন।

মান্নান হীরার রচনা ও আমিনুর রহমান মুকুলের পরিচালনায় ‘বকুল ফুল’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনে প্রথম কাজ করেন। পরে গোলাম সোহরাব দোদুলের ধারাবাহিক ‘সাতকাহন’, নাহিদ আহমেদ পিয়ালের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যোগাযোগ’, অসিম গোমেজের পরিচালনায় ‘রেডলাইন’, কৌশিক শঙ্কর ধরের ‘মার্বেল’, লুসি তৃপ্তি গোমেজের ‘মুক্তির যুদ্ধ’সহ আরো অনেক নাটকে কাজ করেন।

২০১০ সালে গৌতম ঘোষ পরিচালিত মনের মানুষ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে। পরে একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

অভিনিত চলচ্চিত্র

তথ্যসূত্র

  1. "শর্মীমালা সমাচার"বণিক বার্তা। দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। মার্চ ১৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৮
  2. "শর্মীমালা"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৮
  3. "শর্মীমালার ব্যস্ততা"bmdb.co। মে ১৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৬, ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.