রোজিনা
রোজিনা একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি ঢাকায় মঞ্চ নাটক করতেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করে চলচ্চিত্র জগতে আসেন।[1] ১৯৮০ সালে রোজিনা ‘কসাই’ ছবির জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর হিসেবে ‘জীবন ধারা’ ছবির জন্য। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরষ্কারও লাভ করেন।[1]
রোজিনা | |
---|---|
জন্ম | রওশন আরা রেণু ১৯৫৫ সালে |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল |
প্রারম্ভিক জীবন
রোজিনা রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম রওশন আরা রেণু।[2]
চলচ্চিত্রে আগমন
রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বড়পর্দায় ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান। পরে তিনি এফ. কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমার মাধ্যমে একক নায়িকা হিসেবে কাজের সুযোগ পান। এই ছবিটি সফল হয় এবং তিনি হাতে বেশ কিছু ছবি পান। রোজিনার বেশির ভাগ ছবিই পোষাকী। সুঅভিনয় ও গ্ল্যামার দিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।[1]
সন্মাননা
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - কসাই (১৯৮০)
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - জীবন ধারা (১৯৮৮)
উল্লেখযোগ্য ছবি
- জানোয়ার
- মাটির মানুষ
- অভিযান
- শীর্ষনাগ
- চম্পা চামেলী
- মোকাবেলা
- সংঘর্ষ
- আনারকলি
- রাজনন্দিনী
- রাজকন্যা
- শাহী দরবার
- আলীবাবা সিন্দবাদ
- সুলতানা ডাকু
- যুবরাজ
- রাজসিংসন
- শাহীচোর
- দ্বীপকন্যা
- জিপ্সী সরদার
- কসাই
- জীবনধারা
- অন্যায় অবিচার
- রঙিন রূপবান
তথ্যসূত্র
- রহমান, মোমিন; হোসেন, নবীন (১৯৯৮)। "বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তারকা নায়িকাঃ পপি থেকে পপি"। অন্যদিন, ঈদ সংখ্যা। মাজহারুল ইসলাম। ২ (২৫): ৩৫১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); - "নায়িকা রোজিনার অজানা কথা"। একুশে টেলিভিশন (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে রোজিনা
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রোজিনা (ইংরেজি)