রাইসুল ইসলাম আসাদ

আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম (যিনি রাইসুল ইসলাম আসাদ নামে পরিচিত, জন্ম ১৫ জুন, ১৯৫২) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা যিনি বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চার বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

রাইসুল ইসলাম আসাদ
আসাদ ২০১৬ সালে
জন্ম
আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম

(1952-06-15) ১৫ জুন ১৯৫২
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পেশাঅভিনেতা
কার্যকাল১৯৭২ – বর্তমান
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৪ বার)

ব্যক্তিগত জীবন

আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম ১৯৫২ সালের জুন ১৫ জন্মগ্রহণন করেন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে

অভিনয় জীবন

১৯৭২ সালে আসাদ প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, "আমি রাজা হব না" এবং "সর্পবিষয়ক" নামের দুইটি নাটকে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া আবার তোরা মানুষ হ[1] আসাদ নাটক পরিচালনাও করছেন। ২০১০ সালে তিনি ধারাবাহিক নাটক "আলো ছায়া" পরিচালনা করেন যার রচয়িতা ছিলেন আজাদ আবুল কালামতানভীর মোকাম্মেলের লালন (২০০৪) চলচ্চিত্রে তিনি লালন চরিত্রে এবং গৌতম ঘোষের মনের মানুষ (২০১০) চলচ্চিত্র লালনের গুরু সিরাজ সাঁই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মানিক বন্দ্যোপাধায়ের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষের পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩) চলচ্চিত্রে তিনি কুবের চরিত্রে অভিনয় করেন।[2]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি কিংবদন্তীখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের একজন সদস্য ছিলেন।[3] যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেনঃ ‘না, আমার কখনও আক্ষেপ হয় না। এই যে আপনি এ আক্ষেপ করার ভাবনাটা একটি স্বাধীন দেশে বসে করতে পারছেন—এটাই তো অনেক বড় পাওয়া। সবার আগে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?’[4]

চলচ্চিত্র তালিকা

২০১৩ সালে আসাদ

টেলিভশিন নাটক

  • হৃদয়ের ছবি[5]
  • ১৯৭১ (টেলিফ্লিম)[6]
  • পৌষ ফাগুনের পালা[2]
  • চিঠি আসে না[7]

সম্মাননা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

বছরবিভাগচলচ্চিত্রফলাফল
১৯৯৩শ্রেষ্ঠ অভিনেতাপদ্মা নদীর মাঝিবিজয়ী
১৯৯৫শ্রেষ্ঠ অভিনেতাঅন্য জীবনবিজয়ী
১৯৯৭শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদুখাইবিজয়ী
২০০১শ্রেষ্ঠ অভিনেতালালসালুবিজয়ী
  • রাহে ভান্ডার এনোবল এওয়ার্ড ২০১৬ (মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে)। [8][9][10]

তথ্যসূত্র

  1. "সময়ের তারকাঃ রাইসুল ইসলাম আসাদ"দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  2. "ক থো প ক থ নঃ দুটি ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা দুই রকম"দৈনিক প্রথমআলো। ২৫ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  3. "ক্র্যাক প্লাটুন : হার না মানা বীরত্বগাথা"দৈনিক ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১৮
  4. "আমার আমিতে রাইসুল ইসলাম আসাদ"দৈনিক আমার দেশ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  5. "বৈজ্ঞানিক চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ"দৈনিক ইত্তেফাক। ১২ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  6. "আসাদ-সুবর্ণা এবার শ্বশুর-বউ"দৈনিক মানব জমিন। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  7. "মুক্তিযোদ্ধা আসাদ"দৈনিক সমকাল। ৭ জানুয়ারি ২০১০। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  8. "13th Universal Sufi Fest held"দ্য ডেইলি অবজারভার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা। পৃষ্ঠা ১১।
  9. "রাহে ভান্ডারের ১৩ তম মহাত্মা সম্মেলনে বক্তারা"। দৈনিক আজাদী। ২০১৭-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৭
  10. "সম্মাননা"দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৭-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.