সালাউদ্দিন লাভলু

সালাউদ্দিন লাভলু (জন্ম ১৯৬০ সালের ২৪ জানুয়ারী) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং টিভি পরিচালক। তার কাজ সাধারণত টেলিভিশন চলচ্চিত্র এবং টেলিফিল্মের সমন্বয়। তার প্রযোজনার সাধারণত হাস্যরসাত্মক এবং এসন সাধারণত বাংলাদেশী শ্রোতাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে ব্যস্ত ডাক্তার (২০০৪),গরুচোর (২০০৭),ঢোলের বাদ্য (২০০৮) এবং ওয়ারেন (২০০৯) এবং উল্লেখযোগ্য টেলিফিল্মগুলোর মধ্যে, রঙের মানুষ (২০০৪),ভবের হাট (২০০৭),ঘর কুটুম (২০০৮),আলতা সুন্দরী (২০০৯) এবং সাকিন সারিসুরি (২০০৯) অন্যতম।

সালাহউদ্দিন লাভলু
রা.বি. চরুকলায় সালাউদ্দিন লাভলু (ফেব্রুয়ারী, ২০১৭)
জন্ম (1960-01-24) ২৪ জানুয়ারি ১৯৬০
পেশাঅভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং টেলিভিশন পরিচালক
কার্যকাল১৯৮৫ - বর্তমান

শৈশব

১৯৬০ সালের ২৪ শে জানুয়ারি,লাভলু জন্মগ্রহণ এবং বেড়ে উঠেন বাংলাদেশের বর্তমান খুলনা বিভাগের অন্তর্গত কুষ্টিয়া জেলার জুগিয়া গ্রামে।

কর্মজীবন

প্রাথমিক কর্মজীবন

১৯৭৯ সালে লাভলু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চলে আসেন এবং আরণ্যক নাট্যদলে থিয়েটারে যোগদান করেন। এখানে তিনি ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন যদিও তার ইচ্ছা ছিল অন্য কিছু করার।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) নিজস্ব প্রোডাকশনে কাজ শুরু হওয়ার পর, তিনি বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন কিন্তু তিনি সুখ্যাতি অর্জন করতে পারেন নি। ১৯৯০ এর প্রথম দিকে, তিনি অন্যরকম কাজ শুরু করেন এবং চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে, ছয় বছর ধরে চিত্রগ্রাহকের কাজ করার পর, তিনি পরিচালক হিসেবে নিজেকে খুজে পাওয়ার লক্ষ্য দেখতে পান।

অভিনয়, লেখা এবং পরিচালনা

১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে, লাভলু আট থেকে নয়টি টেলিভিশন চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এর মধ্যে দ্বিচক্রযান (১৯৯৭),গহরগাছি (১৯৯৭),একজন আয়নাল লস্কর (১৯৯৯),আধুলী (২০০২) এবং ঘর (২০০২) উল্লেখযোগ্য[1] । তার এই কাজগুলো সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন এবং কিছু চলচ্চিত্র বিভিন্ন পুরস্কার জয়লাভ করে। ২০০৪ সাল থেকে, লাভলু অনেক ধরনের ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটকে পরিচালনা এবং অভিনয় করেছেন। রঙের মানুষ (২০০৪) তার পরিচালিত প্রথম ধারাবাহিক। এই নাটকের সফলতার পর, তিনি আরো কিছু ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেন। তারপর থেকে তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক পরিচালনা এবং অভিনয় করে আসছেন। এর মধ্যে অন্যতম দুইটি হল, ভবের হাট (২০০৭) এবং ঘর কুটুম (২০০৮)। উভয় ধারাবাহিকেই অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী এবং মোশাররফ করিম

ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে তিনি অনেক টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং পরিচালনা করেন। যেমন, গরুচোর (২০০৭),পত্র মিতালী (২০০৭),স্বপ্নের বিলাত (২০০৭),ঢোলের বাদ্য (২০০৮),পাত্রী চাই (২০০৯) এবং ওয়ারেন (২০০৯)। তিনি এই নাটকগুলোতে সফলতা এবং পরিচিতি লাভ করেন।

চলচ্চিত্র

অভিনেতা

বছরনামধরনপরিচালক
১৯৯৭ গহরগাছি টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
দ্বিচক্রযান টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
১৯৯৯ একজন আয়নাল লস্কর টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
২০০২ ঘর টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
২০০৪ রঙের মানুষ ধারাবাহিক লাভলু; মাসুম রেজা
২০০৬ বাজিকর টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
বাহাদুর ডাক্তার টেলিভিশন চলচ্চিত্র মাসুম রেজা
ঘর টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
সিন্দুকানামা টেলিভিশন চলচ্চিত্র বিন্দাবন দাস
কাছের মানুষ ধারাবাহিক আফসানা মিমি
২০০৭ ভবের হাট ধারাবাহিক লাভলু; মাসুম রেজা
স্বপ্নের বিলাত ধারাবাহিক লাভলু
ডাকাত বাড়ি চলচ্চিত্র আজিজুল রহমান
'গরুচোর ধারাবাহিক লাভলু
২০০৮ ঘর কুটুম ধারাবাহিক লাভলু; বিন্দাবন দাস
ঢোলের বাদ্য টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু
হারকিপ্টা টেলিভিশন চলচ্চিত্র মাসুম রেজা
২০০৯ সাকিন সারিসুরি ধারাবাহিক লাভলু; বিন্দাবন দাস
আলতা সুন্দরী ধারাবাহিক লাভলু
পাত্রী চাই টেলিভিশন চলচ্চিত্র লাভলু

পরিচালক এবং লেখক

বছরনামধরন
২০০২ আধুলী টেলিভিশন চলচ্চিত্র
ঘর টেলিভিশন চলচ্চিত্র
২০০৪ রঙের মানুষ টেলিভিশন চলচ্চিত্র
ব্যস্ত ডাক্তার ধারাবাহিক
২০০৬ বাজিকর টেলিভিশন চলচ্চিত্র
ঘর টেলিভিশন চলচ্চিত্র
২০০৭ এতিমখানা টেলিভিশন চলচ্চিত্র
পত্রমিতালী টেলিভিশন চলচ্চিত্র
২০০৮ ঢোলের বাদ্য টেলিভিশন চলচ্চিত্র
২০০৯ গাধা নগর টেলিভিশন চলচ্চিত্র
ওয়ারেন টেলিভিশন চলচ্চিত্র

তথ্যসূত্র

  1. Manir, Sabira (২৮ অক্টোবর ২০০৪)। "Ranger Manush comes to the big screen"The Daily Star

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.