পত্নীতলা উপজেলা

পত্নীতলা উপজেলা বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

পত্নীতলা
উপজেলা
পত্নীতলা
বাংলাদেশে পত্নীতলা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°২′৫১″ উত্তর ৮৮°৪৪′১৩″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলানওগাঁ জেলা
আয়তন
  মোট৩৮২.৩৯ কিমি (১৪৭.৬৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,২৯,৮৮০
  জনঘনত্ব৬০০/কিমি (১৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৬৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৬৫৪০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৬৪ ৭৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

পত্নীতলা উপজেলার পশ্চিম-উত্তরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ , পূর্বে ধামইরহাট উপজেলা এবং বদলগাছী উপজেলা , দক্ষিণে মহাদেবপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে সাপাহার উপজেলা অবস্থিত।

ইউনিয়ন সমূহ

১। পত্নীতলা ইউনিয়ন

২। নির্মইল ইউনিয়ন

৩। দিবর ইউনিয়ন

৪। আকবরপুর ইউনিয়ন

৫। মাটিন্দর ইউনিয়ন

৬। কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন

৭। পাটিচরা ইউনিয়ন

৮। নজিপুর ইউনিয়ন

৯। ঘোষনগর ইউনিয়ন

১০। আমাইড় ইউনিয়ন

১১। শিহাড়া ইউনিয়ন

[2]

ইতিহাস

১৭৯৩ সালে পত্নীতলা অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[3]

পত্নীতলা উপজেলার ওয়েবসাইট থেকেঃ

১৮০৭ সালে এই থানা স্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে থানা উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। আবার থানার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায় যে, পত্নীতলা থানা ইতিপূর্বে পশ্চিম দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত ছিল।১৯১১-১৯১২ সালের দিকে পত্নীতলা থানার উত্তর পূর্বাঞ্চল নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ধামইরহাট থানা। ১৯৪৭ এর র‌্যাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুযায়ী দেশ বিভাগের পর পত্নীতলা থানা বগুড়া জেলার অন্তর্গত হয়। ১৯৪৯ সালে পত্নীতলা থানা রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত হয়। অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারত বর্ষে ওয়ারেন্ট হেষ্টিংস এর সময় কালে থানার নাম করন প্রবর্তন হয়। সে সময় পুলিশ ষ্টেশন কেবল মাত্র অপরাধ দমন কার্যক্রম চালাতো। পরবর্তীতে এর কলেবর বৃদ্ধি করে থানার উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের জন্য থানা উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে পৃথক ভাবে অফিস স্থাপন করে কার্যক্রম শুরু হয়। থানা উন্নয়ন সার্কেল পরবর্তীতে আপগ্রেড থানা বা মানউন্নীত থানা হিসাবে রূপান্তরিত হয় এবং সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে উপজেলা প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উপজেলা হিসাবে পরিগণিত হয়। [4]

নামকরণ

পত্তনীতোলা,পাঠানতোলা কিংবা পাটনীতোলা ক্রমশ রূপান্তরিত হয়ে বর্তমানে পত্নীতলা নামটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাম করনের পিছনে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। কথিত আছে পাঠান রাজত্বকালে বরেন্দ্র এলাকার অনেক পরগণা পাঠান জামিদারদের অধীন ছিল। পাঠান নৃপত্তি বা রাজ কর্মচারীগণ বর্তমান পত্নীতলা বাজারে অবস্থান করে জমি পত্তন দেওয়ার কাজ সমাধা করতেন। পত্তন শব্দ থেকে পত্তনী এবং ক্রমে পত্তনীতোলা বা পাঠানতোলা নামে এতদঞ্চলে অভিহিত হতে থাকে।তাছাড়া কথিত আছে যে,তাহির রাজবংশে জনৈক পূর্ব পুরুষ শ্যযুক্ত কংশ নারায়ন তাহিরপুরের এক মুসলমান জমিদারের নিকট থেকে পরগনা কেড়ে নিয়ে একটি কালি মন্দির পত্তন করে। অপরাপর হিন্দু জমিদার ও এ মন্দিরের নামে জমি পত্তন দিতেন ক্রমে জায়গাটি পত্তনীতোলা নামে পরিচিত হয়। এছাড়া জনশ্রুতি রয়েছে যে,পাঠান শাসন আমলে আত্রাই নদীতে খেয়া পারাপারের জন্য সুদুর বিহারের দার ভাংগা থেকে কিছু সংখ্যাক পাটনী সম্প্রদায়ের লোক এসে বসবাসের জন্য একটি টোল বা মহলা স্থাপন করে এবং এলাকার নাম পাটনীটোলা বলে অভিহিত হয়। উলেখ্য যে,পাটনী সম্প্রদায়ের কিছু লোক এখন ও আত্রাই নদীতে খেয়া পারাপারের কাজে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে।মোট কথা পত্নীতলা উপজেলার নামের মধ্যেই প্রকৃত ইতিহাস লুকায়ে রয়েছে।

[5]

জনসংখ্যা

জনসংখ্যা  :২,২৯,৮৮০ জন,

পুরুষ  :১,১৫,৭৬০জন,

মহিলা  :১,১৪,১২০জন ,

লোক সংখ্যার ঘনত্ব  : ৬০৭ (প্রতি বর্গ কিলোমিটার)

মোট ভোটার সংখ্যা  : ১,৫১,১১৪ জন

পুরুষ ভোটার সংখ্যা  : ৭৪,৮৬০ জন

মহিলা ভোটার সংখ্যা  : ৭৬,২৫৪জন

বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার  : ০১%

যোগাযোগ

রাজধানী ঢাক হতে আপনি খুব সহজে নওগা জেলার পত্নীতলা উপজেলায় আসতে পারেন ঢাকা থেকে বিভিন্ন কোচ সার্ভিস চালু আছে যেমন হানিফ,বরেন্দ্র,আলনাফি,নওগা ট্রাভেলস,শাহ ফতে আলী এবং বিলাস বহুল বি আর টি সি এসি কোচ চালু আছে। আপনার ১ জন যাত্রির জন্য ভাড়া হবে ৫০০ এবং এসি বি আর টি সির জন্য ভাড়া হবে ৫৫০ টাকা।আপনি যদি জেলা থেকে আসতে চান তাহলে জন প্রতি ভাড়া হবে ৬০ টাকা প্রতি ১ ঘন্টা পর পর মেইল ও প্রতি ১৫ মিনিট পর পর লোকাল বাস এর ব্যবস্থা আছে।পত্নীতলা উপজেলা নওগাঁ থেকে ৩০ কি:মি: পশ্চিমে।এ উপজেলায় আসতে হলে আপনিবাস,মোটরসাইকেল.মাইক্রোবাস বা যে কোন যানবাহনে আসতে পারেন। বাসে নওগাঁথেকে সময় লাগবে ১ঘন্টা ১৫ মিনিট প্রায়।

শিক্ষা

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  : ৮২টি

বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  : ৪১ টি

কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়  : ০৬টি

জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়  : ৬ টি

উচ্চ বিদ্যালয় (সহ শিক্ষা)  : ৩৩টি

উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা)সহ শিক্ষা)  : ৩টি

দাখিল মাদ্রাসা  : ২৮টি

আলিম মাদ্রাসা  : ২টি

ফাজিল মাদ্রাসা  : ৭টি

কামিল মাদ্রাসা  : --

কলেজ (সহ পাঠ)  : ৩টি

কলেজ (বালিকা)  : ১টি

কারিগরী কলেজ  : ৪টি

শিক্ষার হার  : ৬৭% [6]

পৌরসভা

১। নজিপুর পৌরসভা (২০১৪)

ব্যবসা ও বাণিজ্য

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে পত্নীতলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  3. ধনঞ্জয় রায়, দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, কে পি বাগচী অ্যান্ড কোম্পানি কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ২০০৬, পৃষ্ঠা ২১১
  4. http://patnitala.naogaon.gov.bd/site/page/59d91b5d-1ab0-11e7-8120-286ed488c766/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%BE%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.