নারী

নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝানো হয়। এর বিপরীত পুরুষ, নর প্রভৃতি। সংস্কৃত নৃ শব্দটি থেকে নারী শব্দটির উৎপত্তি (নৃ+ঈ=নারী)। ‘নারী’ শব্দটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ‘মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় স্ত্রী-শিশু বা কিশোরীর ক্ষেত্রে। তাছাড়া বয়সের বাধা ডিঙিয়েও নারী শব্দটি সমগ্র স্ত্রী-জাতিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন: নারী অধিকার দ্বারা সমগ্র স্ত্রী জাতির প্রাপ্য অধিকারকে বোঝানো হয়।

নারী
উপর থেকে ডান থেকে বাম : সাফো   ভেনাস   জোন অফ আর্ক   ইভা পেরন   মারি ক্যুরি   ইন্দিরা গান্ধী   উইলেনডর্ফের ভেনাস   ওয়ানগ্যারি ম্যাথাই   মাদার টেরিজা   গ্রেস হপার   এক জাপানীবাইজি মামেচিনো   তিব্বতী এক কিষানী   মেরিলিন মনরো   অপরাহ উইনফ্রে   অং সান সু চি   জোসেফিন বেকার   আইসিস   সেবার রানী   প্রথম এলিজাবেথ   একজন কেচুয়া মা

নারীত্বের জীববৈজ্ঞানিক স্তরাদি

  • শৈশব ০ - ৭
  • বাল্য ৮ - ১২
  • কৈশোর ১৩ - ১৯
  • তারুণ্য ২০ - ৩৪
  • যৌবন ৩৫ - ৫৪
    • রম্যযৌবন ৩৫ - ৪৪
    • থিতুযৌবন ৪৫ - ৫৪
  • প্রৌঢ়ত্ব ৫৫ - ৭০
  • বৃদ্ধত্ব ৭১ - ১০০+

পারিভাষিক ইতিহাস

যা একটি মেয়েকে নারীত্বে পৌছে দেয় সেই রজঃস্রাবের শুরুকেই সাধারণত নারীত্ব শুরু ব'লে ধরা হয়, অর্থাৎ শারীরিকভাবে মেয়েটির জন্ম দানের সক্ষমতার প্রাকৃতিক সাক্ষ্য সদ্যকিশোরীটিকে নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। অনেক দেশেই নারীত্বে পদার্পণকে বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়, যেমন:হিন্দুদের ঋতুশুদ্ধি উদযাপন এমন এক অনুষ্ঠান, এছাড়া ইহুদি, খ্রিস্টানমুসলমান সমাজের কোনো কোনো স্থানে এরকম অনুষ্ঠানাদি দেখা যায়। এছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২ থেকে ২১ বছর মধ্যবর্তী কোনো একটি নির্দিষ্ট বয়সের জন্মদিন পালনের সময় বিশেষ অনুষ্ঠান উদযাপনের মাধ্যমেও নারীত্বে পদার্পণমূলক অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

প্রায় সকল সংষ্কৃতিতেই কুমারীত্বের সাথে পারিবারিক সম্মান জড়িত থাকায় সেখানে মেয়ে শব্দটি কখনো বিয়ে হয়নি এমন নারীকে পরিচয় করাতে ব্যবহৃত হয়। বিয়ের আগে কোনো নারী যৌনসম্পর্ক করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তা পরিবারের জন্য অসম্মাণকর হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ইংরেজি 'মেইডেন' শব্দটি অবিবাহিত নারীদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

বিজ্ঞানে নারী

পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে অসামান্য অংশগ্রহণে মেরি ক্যুরি বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পেয়েছেন।

ঐতিহাসিকভাবেই নারীকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিবার থেকেই তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ কিংবা উদ্বুদ্ধ করা হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৩ সালে সমান অধিকার আইন আকারে গৃহীত হবার পর নারীদেরকে উল্লেখযোগ্য হারে বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কিন্ত বিজ্ঞানে অংশগ্রহণের হার প্রকৌশল বিদ্যার তুলনায় নিম্নমুখী। বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ডক্টরেট গ্রহণের সংখ্যা ১৯৭০ সালে ৭% থেকে ১৯৮৫ সালে ৩৪%-এ দাড়ায়। তন্মধ্যে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রীর সংখ্যা যেখানে ছিল ১৯৭৫ সালে ছিল মাত্র ৩৮৫ জন, সেখানে ১৯৮৫ সালে ১১০০০ ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে নারীকে বিশেষায়িত করলেও এখনো এ পেশায় বেশ অসমতা বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১৯৮৯ সালে বিজ্ঞানী হিসেবে পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল ৬৫% এবং মাত্র ৪০% নারী উচ্চ পদে আসীন ছিলেন। যেখানে পূর্ণাঙ্গকালীন একজন বিজ্ঞানীর বার্ষিক আয় $৪৮,০০০; সেখানে নারীর আয় ছিল $৪২,০০০।[1]

তথ্যসূত্র

  1. Eisenhart and Finkel, Ch 1 inThe Gender and Science Reader ed. Muriel Lederman and Ingrid Bartsch. New York, Routledge, 2001. (16-17)

আরও পড়ুন

  • Chafe, William H., "The American Woman: Her Changing Social, Economic, And Political Roles, 1920–1970", Oxford University Press, 1972. আইএসবিএন ০-১৯-৫০১৭৮৫-৪
  • Routledge international encyclopedia of women, 4 vls., ed. by Cheris Kramarae and Dale Spender, Routledge 2000
  • Women in world history : a biographical encyclopedia, 17 vls., ed. by Anne Commire, Waterford, Conn. [etc.] : Yorkin Publ. [etc.], 1999–2002

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.