মেরিলিন মনরো
মেরিলিন মনরো[1][2] (জন্ম নর্মা জীন মর্টেনসন; ১ জুন, ১৯২৬ - ৫ আগস্ট, ১৯৬২)[3] ছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়ক। যিনি তার সময়ের একজন প্রধান যৌনতার প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০ দশকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[4]
মেরিলিন মনরো | |
---|---|
![]() ১৯৫৩ সালে মনরো | |
জন্ম | নর্মা জীন মর্টেনসন ১ জুন ১৯২৬ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউ.এস. |
মৃত্যু | আগস্ট ৫, ১৯৬২ ৩৬) ব্রেন্টউড, লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | বারবিটুরেড ওভারডোজ |
সমাধি | ওয়েস্টউড ভিলেজ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রি, ওয়েস্টউড, লস অ্যাঞ্জেলেস |
অন্যান্য নাম |
|
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল, সঙ্গীতশিল্পী, চলচ্চিত্র প্রযোজক |
কার্যকাল | ১৯৪৫–১৯৬২ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | নায়াগ্রা, জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস, রিভার অব নো রিটার্ন, দ্য সেভেন ইয়ার ইচ, সাম লাইক ইট হট, দ্য মিসফিট্স |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
পুরস্কার | গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - কমেডি বা সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র) এএফআইয়ের ১০০ বছরের...১০০ তারকা (১৯৯৯) |
স্বাক্ষর | |
![]() |
শৈশবের বেশিভাগ সময় শিশুপল্লীতে কাটিয়ে, মনরো মডেল হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে তাকে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ করে। তার প্রথমদিকের চলচ্চিত্রে উপস্থিতি খুবই গৌণ ছিল, কিন্তু দি আশফাল্ট জাঙ্গল এবং অল অ্যাবাউট ইভ (দুটিই ১৯৫০ সালে) চলচ্চিত্রে তার কর্মসঞ্চালন সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। ১৯৫২ সালে প্রথম তিনি ডোন্ট বদার টু নক[5] চলচ্চিত্রে এবং ১৯৫৩ সালে নায়াগ্রা শিরোনামের একটি মেলোড্রামাটিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান, যা চলচ্চিত্র তার মোহময়তা অধিষ্ঠিত করে। তার "মূক স্বর্ণকেশী" ব্যক্তিত্ব পরবর্তী বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কমিক প্রভাব বিস্তার করে, যেমন জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস (১৯৫৩), হাউ টু ম্যারি আ মিলিয়নিয়ার (১৯৫৩) এবং দ্য সেভেন ইয়ার ইচ (১৯৫৫)। টাইপকাস্টিং দ্বারা সীমাবদ্ধ, মনরো তার পরিসীমা প্রসারিত করতে অ্যাক্টরস স্টুডিওতে পড়াশোনা করেন। বাস স্টপ চলচ্চিত্রে তার নাটকীয় অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন অর্জন করে।
প্রাথমিক জীবন ও বিবাহ

মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল নর্মা জেন মর্টেনসন। তিনি গ্লাডিস পার্ল বেকারের (প্রদত্ত নাম মনরো, ১৯০২-১৯৮৪) তৃতীয় সন্তান।[6] গ্লাডিস কনসলিডেটেড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নেগেটিভ কাটার হিসেবে কাজ করতেন।[7] গ্লাডিস পনের বছর বয়সে তার চেয়ে নয় বছরের বড় জন নিউটন বেকারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রবার্ট (১৯১৭-১৯৩৩) এবং বার্নিস (জন্মঃ ১৯১৯)।[8] ১৯২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং বেকার তার সন্তানদের নিয়ে কেন্টাকি চলে যায়। মনরো তার ভাই বোনদের কথা জানতে পারে এবং তার বড় বোনের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার ১২ বছর বয়সে।[9] ১৯২৪ সালে গ্লাডিস তার দ্বিতীয় স্বামী মার্টিন এডওয়ার্ড মর্টেনসনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মনরো যখন গ্লাডিসের পেটে তখন তা অন্য কারো সন্তান জানতে পেরে মার্টিন ১৯২৮ সালে তাকে তালাক দেন।[10] মনরোর পিতার পরিচয় অজ্ঞাত এবং বেকারই তার উপনাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।[11]
১৯৪২ সালের ১৯ জুন তার ১৬তম জন্মদিনের কয়েকদিন পরে তিনি তার প্রতিবেশীর পুত্র এয়ার ক্রাফট প্লান্টের একজন চাকরিজীবি জেমস "জিম" ডগার্থিকে বিয়ে করেন।[12] মনরো স্কুল থেকে ড্রপ আউট হয়ে যান এবং গৃহিণী হয়ে যান। পরে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, "বিয়ের ফলে অখুশিও হয়নি আবার সুখীও হয় নি। আমার স্বামী এবং আমি খুব কমই একে অপরের সাথে কথা বলতাম। এটা আমরা একে অপরের উপর রাগান্বিত ছিলাম সে জন্য নয়। আমাদের কথা বলার কিছু ছিল না। ফলে আমি অস্বস্তিতে ছিলাম।"[13]
অভিনয় জীবন
মনেরোর অভিনয় জীবন শুরু হয় মডেলিং দিয়ে ১৯৪৬ সালে। এখানেই মনরো বাদামি বা ব্রাউনিস কালার চুল কে প্লাটিনাম হোয়াইটের এক আভা আনেন যা তার ট্রেডমার্ক বলা চলে। আর তার নামের পরিবর্তে নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো। ১৯৪৭ সালে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স স্টুডিওর সাথে চুক্তি বদ্ধ হন মনরো এবং দুটি মুভিতে তাকে প্রথমবারের মত দেখা যায়। ১৯৪৯ সালে মনেরো আবার মডেলিংয়ে ফিরে আসেন।
১৯৫০ সালে অল অ্যাবাউট ইভ নামে চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় বিখ্যাত ছবি দ্য সেভেন ইয়ার ইচ। এছাড়াও হাউ টু মেরি আ মিলিয়নিয়ার, দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে তিনি বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। সাম লাইক ইট হট ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা কমেডি অভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু


১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন মনরো। ধারণা করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত ট্যাবলেট খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
চলচ্চিত্রের তালিকা
- ডেঞ্জারাস ইয়ার্স (১৯৪৭)
- স্কুডা হো! স্কুডা হে! (১৯৪৮)
- লেডিস অব দ্য কোরাস (১৯৪৮)
- লাভ হ্যাপি (১৯৪৯)
- আ টিকেট টু টমাহক (১৯৫০)
- দি আশফাল্ট জাঙ্গল (১৯৫০)
- অল অ্যাবাউট ইভ (১৯৫০)
- দ্য ফায়ারবল (১৯৫০)
- রাইট ক্রস (১৯৫১)
- হোম টাউন স্টোরি (১৯৫১)
- অ্যাজ ইয়ং অ্যাজ ইউ ফিল (১৯৫১)
- লাভ নেস্ট (১৯৫১)
- লেটস্ মেক ইট লিগাল (১৯৫১)
- ক্ল্যাস বাই নাইট (১৯৫২)
- উই আর নট ম্যারিড! (১৯৫২)
- ডোন্ট বদার টু নক (১৯৫২)
- মাঙ্কি বিজনেস (১৯৫২)
- ও হেনরিস ফুল হাউজ (১৯৫২)
- নায়াগ্রা (১৯৫৩)
- জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস (১৯৫৩)
- হাউ টু মেরি আ মিলিয়নিয়ার (১৯৫৩)
- রিভার অব নো রিটার্ন (১৯৫৪)
- দেয়ার্স নো বিজনেস লাইক শো বিজনেস (১৯৫৪)
- দ্য সেভেন ইয়ার ইচ (১৯৫৫)
- বাস স্টপ (১৯৫৬)
- দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল (১৯৫৭)
- সাম লাইক ইট হট (১৯৫৯)
- দ্য মিসফিট্স (১৯৬০)
- সামথিংস গট টু গিভ (১৯৬২)
তথ্যসূত্র
- She obtained an order from the City Court of the State of New York and legally changed her name to Marilyn Monroe on February 23, 1956.
- Tricia Strayer। "Marilyn Monroe's Official Web site .::. Fast Facts"। Cmgww.com। ১৭ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১২।
- "Marilyn Monroe Biography"। Biography.com। ৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২১, ২০১৩।
- Obituary Variety, August 8, 1962, page 63.
- "February 20, 2003: IN THE NEWS"। North Coast Journal। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১২।
- Spoto 2001, pp. 3, 13–14; Banner 2012, p. 13.
- Spoto 2001, pp. 9–10; Rollyson 2014, pp. 26–29.
- Spoto 2001, pp. 7–9; Banner 2012, p. 19.
- Spoto 2001, p. 88, for first meeting in 1944; Banner 2012, p. 72, for mother telling Monroe of sister in 1938.
- Churchwell 2004, p. 150, citing Spoto and Summers; Banner 2012, pp. 24–25.
- Spoto 2001, pp. 17, 57.
- Spoto 2001, pp. 70–75.
- Spoto 2001, p. 70–78.
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে মেরিলিন মনরো সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে:: মেরিলিন মনরো |
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মেরিলিন মনরো (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে মেরিলিন মনরো (ইংরেজি)
- অলমুভিতে মেরিলিন মনরো (ইংরেজি)
- গ্রন্থাগারে মেরিলিন মনরো সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)
- Marilyn Monroe
- Galleries: Marilyn Monroe: Life and Times & Early Photos, 1950 —Life magazine
- "What Really Killed Marilyn", article by Clare Boothe Luce for Life, 7 August 1964.
- "Marilyn!", essay by Dan Callahan for Alt Screen on the occasion of a retrospective at BAMcinématek