মেয়ে

মেয়ে শব্দটা দিয়ে মানুষের লিঙ্গগত প্রধান দুই প্রকারের একটি কে বুঝানো হয়। একটা মেয়ে শিশু শৈশব কৈশোর আর সাবালিকত্তের মাধ্যমে পরিপূর্ণ নারীতে পরিনত হয়। সাধারনত যুবতি বয়স পর্যন্ত কোন নারীকে মেয়ে বলা হয়ে থাকে। মেয়ে কে কন্যা বলেও পরিচয় দেওয়া হয়ে থাকে। অবিবাহিত নারীকে মেয়ে বলা শুরু হয় ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ এর কাছাকাছি সময় হতে।

মেয়ে

প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মেয়ে শব্দটা প্রায়শই প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে/ কন্যাকে বোঝানো হয়ে থাকে, এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত যুবতীদের ক্ষেত্রে এর ব্যাবহার বেশি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য মেয়ে শব্দটার ব্যাবহার অনেকাংশেই মর্যাদার হানিকর হিসেবে বলা যেতে পারে, যেমন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ এর ক্ষেত্রে ছেলে শব্দটার ব্যাবহার বেমানান ঠিক তেমন ভাবেই নারীকে মেয়ে বলা। অথচ এর ব্যাবহার অহরহই সমাজ সিদ্ধভাবেই হয়ে আসছে। অপরদিকে এই শব্দের যথার্থতা দিয়ে মেয়ে শব্দটা ব্যাবহার করে অনেক অনেক জনপ্রিয় গান, কবিতা, উপন্যাস রচিত হয়েছে।

শিক্ষা প্রাচীন মিশরে নারী শিক্ষার প্রমাণ পাওয়া যায়। রাজকুমারী Neferure এর মর্যাদা আর পতিপত্তি ছিল ফারাও এর কন্যা হিসেবে আর তাকে দেওয়া শিক্ষা দীক্ষার জন্য।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এর ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে আছে, কেননা ছেলেদের কে লিখতে পড়তে স্কুল এর মত প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় বা ছেলেদের সুযোগ থাকে। যা মেয়েদের ক্ষেত্রে থাকেনা। তাদের কে মায়ের সাথে বাড়িতে থেকে গৃহস্থালি কাজ শিখতে হয়। তবুও কিছু নারী শিক্ষিত হয়। ১৮০০ শতাব্দীতে ইউরোপে শিক্ষার মূল্য অনুধাবন করে স্কুল গুলো জনসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হয় এবং মানুষকে উৎসাহিত করা হয়। ফরাশি বিপ্লবের সময়কাল থেকে ফ্রান্সে নারী শিক্ষার প্রচার ও প্রসার ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বাধ্যতামুলক শিক্ষা আইন ইউরোপে নারী শিক্ষা অ সাধারন শিক্ষায় মানুষকে উৎসাহিত করে।

বিয়ের জন্য প্রস্তুতি অনেক প্রাচীন সমাজেই মেয়েদের শুধু মাত্র ভালো স্ত্রী হউয়ার লালনপালন করা হতো। অনেক সমাজ ব্যবস্থাতেই নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.