গাজীপুর জেলা

গাজীপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংশ্লেষে কালোত্তীর্ণ মহিমায় আর বর্ণিল দীপ্তিতে ভাস্বর অপার সম্ভাবনায় ভরপুর গাজীপুর জেলা । মোগল - বৃটিশ - পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে গাজীপুরের রয়েছে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বে গাজীপুরেই সংঘটিত হয় প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ। গাজীপুরে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তরসহ ১৯টি কেপি আই, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের একমাত্র হাইটেক পার্কসহ বহু সংখ্যক সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র/মাঝারী ও ভারী শিল্প কারখানাসহ দেশের তৈরী পোষাক শিল্পের বিরাট অংশ। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টংগীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়।[2]

গাজীপুর
জেলা
বাংলাদেশে গাজীপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°০′০″ উত্তর ৯০°২৫′৪৮″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
আয়তন
  মোট১৭৭০.৫৮ কিমি (৬৮৩.৬২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট২১,৪৩,৪১৩
  জনঘনত্ব১২০০/কিমি (৩১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫৬.৪০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৩৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ভৌগোলিক সীমানা

গাজীপুর জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ জেলাকিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা জেলানারায়ণগঞ্জ জেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলানরসিংদী জেলা এবং পশ্চিমে ঢাকা জেলাটাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত।[3]

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

গাজীপুর জেলায় ৫টি উপজেলা রয়েছে; এগুলি হলোঃ

এছাড়াও গাজীপুর শহরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আছে।

ইতিহাস

ইতিহাস খ্যাত ভাওয়াল পরগণার গহীনবনাঞ্চল আর গৈরিক মৃত্তিকাকোষের টেকটিলায় দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক এ জনপদ ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। [2]

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়

প্রত্নসম্পদ

  • ভাওয়াল রাজবাড়ী, জয়দেবপুর
  • ইন্দ্রাকপুর (প্রাচীন রাজধানী), শ্রীপুর
  • উধুর জগন্নাথদেবের বিগ্রহ মন্দির, পূবাইল
  • বলধার জমিদার বাড়ী, বাড়ীয়া
  • টোক বাদশাহী মসজিদ, কাপাসিয়া
  • পূবাইল জমিদার বাড়ী, পূবাইল
  • সেন্ট নিকোলাস চার্চ, কালীগঞ্জ
  • শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী, কালিয়াকৈর.
  • বলিয়াদী জমিদার বাড়ী, বলিয়াদি, কালিয়াকৈর.
  • ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী, জয়দেবপুর
  • শৈলাট, শ্রীপুর
  • কাশিমপুর জমিদার বাড়ী, গাজীপুর সদর
  • দত্তপাড়া জমিদার বাড়ী, টঙ্গী
  • কপালেশ্বর (ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাকীর্তি), রাজা শিশু পালের রাজধানী
  • একডালা দুর্গ, কাপাসিয়া
  • মীর জুলমার সেতু, টঙ্গী
  • সাকাশ্বর স্তম্ভ, কালিয়াকৈর [4]

দর্শনীয় স্থান

এছাড়াও কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী নামক গ্রামে সাম্প্রতিককালে ৩০০ বছরের পুরানো একটি সাদা পাকুড় গাছ আবিস্কৃত হয়েছে যা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আর কোথাও দেখা যায় নি। গাছটিকে ঘিরে পর্যটনশিল্প গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।[5]

বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "জেলার পটভূমি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. ৩০০ বছর পর নামকরণ - দৈনিক কালের কন্ঠ (২৩ মে ২০১৫)
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.