মনোহরদী উপজেলা
মনোহরদী উপজেলা বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
মনোহরদী | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() মনোহরদী | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′৩১″ উত্তর ৯০°৪২′১৪″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | নরসিংদী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৩.৬০ কিমি২ (৭৪.৭৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,৮৪,৫৬৩ |
• জনঘনত্ব | ১৫০০/কিমি২ (৩৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৬৫০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৬৮ ৫২ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
এই উপজেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদি উপজেলা, পূর্বে বেলাবো উপজেলা, দক্ষিণে শিবপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা।
ইতিহাস
ওয়ারী বটেশ্বর সভ্যতার পরে অযোদ্ধার রামচন্দ্রের কিছু অনুসারী রায়পুর এলাকায় বসতি স্থাপন করে। তারপর চন্ডীপাড়ায় চন্ডী রাজা বসতি স্থাপন করেন। জনশ্রুতি রয়েছে কৃষ্ণের অনুসারীগণ কৃষ্ণপুরে বসতি স্থাপন করেন। ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানের আর্যকর্তৃক বিতারিত অনার্যদের আশ্রয় স্থল হয় মনোহরদী। এখানকার সংস্কৃতি গড়ে উঠে রাম, শ্রীকৃষ্ণ ও বৈদিক সংস্কৃতির দ্বারা; এক কথায় বলা চলে ধর্মভিত্তিক। চন্ডী রাজা শাহইরান কর্তৃক পরাজিত হলে এখানে ইসলাম ধর্মের উম্মেষ ঘটে। পরবর্তীতে জৈনপুরের কেরামত আলী ও হাজী শরীয়ত উল্লাহর মাধ্যমে মুসলিম পূর্নজাগরের সংস্কৃতির চালু হয়।
মনোহরদী থানা প্রতিষ্টিত হয় ১৯০৪ সালে। ১৯০৪ সালে মনোহরদীতে পুলিশী থানা প্রতিষ্টিত হওয়ার র্পূবে এ জনপদটি ছিল রায়পুরা থানার অন্তগর্ত।
প্রশাসনিক এলাকা
জনসংখ্যার উপাত্ত
এখানকার মোট জনসংখ্যা ২,৮৪,৫৬৩ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১,৩৯,৫৫৬ জন এবং মহিলা ১,৪৫,০০৭ জন।
শিক্ষা
মনোহরদি উপজেলার শিক্ষার হার ৬৯%। এখানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬টি, জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ৬টি, উচ্চ বিদ্যালয়(সহশিক্ষা) ২৩টি, উচ্চ বিদ্যালয়(বালিকা) ১৪টি, দাখিল মাদ্রাসা ১৩টি, আলিম মাদ্রাসা ৪টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৮টি, কলেজ(সহপাঠ) ৮টি, কারিগরি কলেজ ৩টি, সরকারি কলেজ ০১টি। এছাড়াও অনেক কওমি মাদরাসা রয়েছে।
কৃষি
এই এলাকার প্রধান কৃষি ফসল হচ্ছে ধান, পাট, কলা, গম, আলু, বাদাম, আপেল কুল, মাছ, শিম, চালকুমড়া, পেঁপে ,টমেটো, বেগুন, শসা, কেলাই, পেয়ারা উল্লেখযোগ্য ফসল উৎপাদন হয় (এছাড়া বর্তমানে পোল্ট্রি খামার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে)।
অর্থনীতি
এ অঞ্চলের প্রধান ফসল ধান, কলা, পাট, ইটের বাটা, প্লাস্টিক শিল্প, কুটির শিল্প, মৎস হেচারী, গবাদী পশুর খামার, ইত্যাদি উপজেলার সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী অর্থনীতি প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে চালাকচর বাজার বিশেষ করে কাপড়ের ব্যবসার ছোট বড় চার থেকে পাচঁশত দোকান রয়েছে ফার্নিচার শিল্প ও উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া পোলট্রি খামার ও মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
যোগাযোগ
- পাকা রাস্তা - ৩১৫.০০ কিলোমিটার;
- কাচা রাস্তা - ২৫২.০০ কিলোমিটার;
- ব্রীজ/কালভার্ট - ৬০৪টি;
- নদ-নদী - ৪টি।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মনোহরদী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।