কালুখালী উপজেলা
কালুখালী উপজেলা বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে এটি রাজবাড়ী জেলার বৃহত্তম উপজেলা।
কালুখালী | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() কালুখালী | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪০′৪৫″ উত্তর ৮৯°৪২′১৩″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | রাজবাড়ী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৬৯.৫৮ কিমি২ (৬৫.৪৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৫৫,০৪৪ |
• জনঘনত্ব | ৯১০/কিমি২ (২৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫১.০২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮২ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
কালুখালী উপজেলার আয়তন ১৬৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলা ২৩°৩৩‘ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৩‘ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তরে পদ্মা নদী ও পাবনার সুজানগর উপজেলা, দক্ষিণে বালিয়াকান্দি উপজেলা এবং মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা, পূর্বে রাজবাড়ীর খাঁনগঞ্জ, চন্দনা ও রামকান্তপুর ইউপি, পশ্চিমে পাংশা পৌরসভা, মৌরাট, পাট্টা ও হাবাসপুর ইউনিয়ন এলাকা।
ইতিহাস
চন্দনা নদীর তীরে অবস্থিত কালুখালী উপজেলা ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে; ঐ বছরের জুন মাসে এর আনুষ্ঠানিক কাযক্রম শুরু হয়।[2]
মুক্তিযুদ্ধে কালুখালী
১৯৭১ সলের রক্তে ঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে হানাদার মুক্ত হয়েছিল রাজবাড়ীর বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় কালুখালী এলাকা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওইদিন হানাদারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করে। ৩ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী ‘রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া’ মহাসড়কের রেল সেতুটি মাইন বিষ্ফোরনে উড়িয়ে দেয়।
তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধান সেনা ছাউনি রাজবাড়ী শহরের সন্নিকটে থাকায় এঅঞ্চলের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই অর্থাৎ ৩১মার্চ রাজধানী সহ বিভাগীয় শহরের বাইরে শত্রু সেনাদের সাথে সন্মূখ যুদ্ধে প্রাণ বাজি রেখে বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরবময় অধ্যায় প্রথম থেকেই কালুখালীতে দানা বাঁধতে শুরু করে।
এছাড়াও মুক্তি যুদ্ধে কালুখালীর বাসীর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। যদিও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্সেনা ছাউনি রাজবাড়ীর শহরের খুব কাছে থাকার কারনে এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যেমন বেশি ছিল, তেমনি রাজাকারদের সহযোগীতায় এ অঞ্চলে নারকীয় হত্যাজজ্ঞ, লুন্ঠন, নারী নির্যাতন, অগ্নীসংযোগসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে এ এলাকাবাসীকে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে দু’টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ওখান থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে চলে যায় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তারাই কালুখালীর চূড়ান্ত বিজয় এনে দেয়।
প্রশাসনিক এলাকা
৭টি ইউনিয়ন নিয়ে কালুখালী উপজেলা গঠিত। ইউনিয়নগুলো হচ্ছেঃ * রতনদিয়া ইউনিয়ন, * কালিকাপুর ইউনিয়ন, * বোয়ালিয়া ইউনিয়ন, * মাঝবাড়ী ইউনিয়ন, * মদাপুর ইউনিয়ন, * মৃগী ইউনিয়ন ও * সাওরাইল ইউনিয়ন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
স্বাস্থ্য
শিক্ষা
কৃষি
অর্থনীতি
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঢাকা কুষ্টিয়া মহসড়ক থেকে পায়ে হেটে অথবা ভ্যান, রিক্সা, অটো রিক্সা করে যাওয়া যায়। রাজবাড়ী জেলা থেকে কালুখালী উপজেলার দূরুত্ব প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ। রাজবাড়ী থেকে পশ্চিমে পাংশা উপজেলা এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
- রাজ রাজেশ্বর গাছের মন্দির - মদাপুর ইউনিয়ন;
- কালুখালী রেলস্টেশন - রতনদিয়া ইউয়নিয়নের মালিয়াট গ্রাম;
- গজারিয়ার বিল - বোয়ালিয়া ইউনিয়ন;
- কলিমদ্দিন খান-এর মাজার - পুরাতন কালুখালী গ্রাম;
- রুপসা গায়েবী মসজিদ - রুপসা গ্রাম।
- সাপের খামার - কলকলিয়া গ্রাম , বোয়ালিয়া ইউনিয়ন ।
বিবিধ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কালুখালী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "কালুখালী উপজেলার পটভূমি"। বাংলাদেশ বাতায়ন। ১৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪।