মধুখালী উপজেলা
মধুখালী বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
মধুখালী | |
---|---|
উপজেলা | |
মধুখালী | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′৪৭″ উত্তর ৮৯°৩৭′৪৩″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৩১.২৭ কিমি২ (৮৯.২৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,০৪,৪৯২ |
• জনঘনত্ব | ৮৮০/কিমি২ (২৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ৫৬ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান
এই উপজেলার উত্তরে বালিয়াকান্দি উপজেলা ও রাজবাড়ী সদর উপজেলা, পূর্বে ফরিদপুর সদর উপজেলা ও বোয়ালমারী উপজেলা, দক্ষিণে বোয়ালমারী উপজেলা এবং পশ্চিমে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
পৌরসভা
মধুখালী উপজেলায় একটি মাত্র পৌরসভা রয়েছে- মধুখালী পৌরসভা
- এক নজরে মধুখালী পৌরসভা
১। স্থাপিতঃ ২৬ শে আশ্বিন ১৪১৯ বঙ্গাব্দ, ১১ ই অক্টোবর ২০১২ সাল
২। আয়তনঃ ১২ বর্গ কি.মি.
৩। জনসংখ্যাঃ ২৪,০৩২ জন (পুরুষ- ১২,০৪৯, মহিলা- ১১,৯৮৩)
৪। ওয়ার্ডঃ ৯টি
৫। মহল্লাঃ ১৬টি
ইউনিয়ন
মধুখালী উপজেলায় রয়েছে ১১ টি ইউনিয়ন:
- গাজনা
- নওপাড়া
- বাগাট
- মেগচামী ইউনিয়ন
- কামারখালী
- জাহাপুর
- রায়পুর
- ডুমাইন
- আড়পাড়া ইউনিয়ন
- কোড়কদী ইউনিয়ন
- কামালদিয়া ইউনিয়ন
জনসংখ্যার উপাত্ত
নদনদী
মধুখালী উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে গড়াই নদী, মধুমতি নদী, কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ), চন্দনা-বারাশিয়া নদী এবং পুরুষালী নদী।[2][3]
বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিত্ব
- মুন্সি আব্দুর রউফ, (১৯৪৩ - এপ্রিল ২০ ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।[4]+
- পল্লীকবি জসীমউদ্দীন
•ডা: কাজী আক্তার হোসেন:- যখন গ্রামাঞ্চলে তো দূরের কথা শহরেও কোন পাশ করা ডাক্তার ছিল না তখন অর্থাৎ ১৯৩২ সালে কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি এম বি পাশ করেন।তিনি অর্থ উপার্জনের লোভ সম্বরন করে কামারখালী বাজারে চিকিৎসা শুরু করেন।কিন্তু যেখানে অধিকাংশ লোকের দুবেলা ভাত জুটত না সেখানে চিকিৎসা খরচ চালাবে কোত্থেকে ? তাই তিনি বিনা ভিজিটে এমনকি নিজের টাকায় ঔষধ কিনে ,রোগীদেরকে বাসায় রেখে ও খাওয়ায়ে রোগীদের সুস্থ করে বাড়ী পাঠাতেন।তার এরূপ বিরল আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত এলাকাবাসীর হৃদয়ে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
দর্শনীয় স্থান
ফরিদপুর চিনি কল লিমিটেড
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সামান্য উত্তর দিকে এই ফরিদপুর চিনি কল লিমিটেড নামের এই শিল্প কমপ্লেক্সটি অবস্থিত।[5][6][7] এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান।[8]
মুথুরাপুর দেউল মন্দির
মথুরাপুর দেউল এই উপজেলায় অবস্থিত একটি দেউল বা মঠ। এই প্রত্নতাত্ত্বিক অবকাঠামোটি আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়; তবে কারো কারো অনুমান এটি সপ্তদশ শতকের স্থাপনা।[9] আনুমানিক ১৬০০ সালে মুথুরাপুর দেউল মন্দির তৈরি করা হয়।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মধুখালী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৫। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১৯-১২-২০১২
- আর্থসামাজিক উন্নয়নে ফরিদপুর চিনিকল।
- উপজেলা তথ্য বাতায়ন।
- ফরিদপুর চিনিকল সিবিএ নির্বাচন।
- আখমাড়াই মৌসুমে ফরিদপুর চিনিকল জোড়াতালি দিয়ে চলছে।
- কোদলা মঠ - বাংলাপিডিয়া।