মুকসুদপুর উপজেলা

মুকসুদপুর উপজেলা গোপালগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।[2]

মুকসুদপুর
উপজেলা
মুকসুদপুর
বাংলাদেশে মুকসুদপুর উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৯′১৩″ উত্তর ৮৯°৫২′৩″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাগোপালগঞ্জ জেলা
আয়তন
  মোট৩০৯.৬৩ কিমি (১১৯.৫৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৮৯,৪০৬
  জনঘনত্ব৯৩০/কিমি (২৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৪৬.৪৩%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৮১৪০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৩৫ ৫৮
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

মুকসুদপুর উপজেলার আয়তন ৩০৯.৬৩ বর্গ কিমি। এটি ২৩°১০´ থেকে ২৩°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৮´ থেকে ৯০°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তরে নগরকান্দা উপজেলাভাঙ্গা উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাকাশিয়ানী উপজেলা, পূর্বে ভাঙ্গা উপজেলারাজৈর উপজেলা, পশ্চিমে কাশিয়ানী উপজেলাবোয়ালমারী উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

মুকসুদপুর থানা গঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে ৷ বর্তমানে এটি উপজেলা ৷ এই উপজেলার একটি পৌরসভা(১৬.৭৭ বর্গ কিঃ মিঃ),১৬ টি ইউনিয়ন (উজানী, কাশালিয়া, খান্দারপাড়, গোবিন্দপুর, গোহালা, জলিরপাড়, দিগনগর, ননীক্ষীর, পশারগাতী, বহুগ্রাম, বাশঁবাড়িয়া, বাটিকামারী, ভাবড়াশুর, মহারাজপুর, মোচনা, রাঘদী), ২০৬ টি মৌজা, ২৫৪ টি গ্রাম আছে ৷ এ উপজেলাটিতে প্রায় ২৮৪২০৫ জনের বসবাস ৷ শিক্ষার হার প্রায় ৪৭ শতাংশ ৷

ইউনিয়নসমূহের নাম
  • ১নং মুকসুদপুর ইউনিয়ন
  • ২নং পশারগাতি ইউনিয়ন
  • ৩নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন, মুকসুদপুর
  • ৪নং খান্দারপাড় ইউনিয়ন
  • ৫নং বহুগ্রাম ইউনিয়ন
  • ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন, মুকসুদপুর
  • ৭নং ভাবড়াশুর ইউনিয়ন
  • ৮নং মহারাজপুর ইউনিয়ন, মুকসুদপুর
  • ৯নং বাটিকামারী ইউনিয়ন
  • ১০নং দিগনগর ইউনিয়ন
  • ১১নং রাঘদী ইউনিয়ন
  • ১২নং গোহালা ইউনিয়ন
  • ১১৩নং মোচনা ইউনিয়ন
  • ১৪নং উজানী ইউনিয়ন
  • ১৫নং কাশালিয়া ইউনিয়ন
  • ১৬নং ননীক্ষীর ইউনিয়ন
  • ১৭নং জলিরপাড় ইউনিয়ন

ইতিহাস

প্রাচীনকালে  এ এলাকাটি বঙ্গ অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। সুলতানী ও মোঘল যুগের আগে ও এর কিছু সময় এ অঞ্চল হিন্দু রাজারা শাসন করতেন। মুঘল আমলে বঙ্গে বার ভুঁইয়াদের জমিদারীর সূচনা হলে শেষহয় এই অঞ্চলে হিন্দু রাজাদের শাসনাম। বার ভুঁইয়াদের শাসনামলে  বঙ্গ অঞ্চল ১২টি পরগণায় বিভক্ত ছিল,  যার একটি পরগণার নাম ছিল “ভূষণা” ।মুঘল শাসনামের মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়  এই “ভূষণা” পরগণাতেই  আজকের গোপালগঞ্জ তথা মুকসুদপুরের অবস্থান ।

বৃটিশ শাসনামলের বিভিন্ন দলিল পত্র থেকে জানা যায় মুকসুদপুর পর্যায়ক্রমে তৎকালীন মহববতপুর, তেলিহাটী, নলদী, আমিরাবাদ, ফতেজংপুর ও হাবড়ী  পরগণার অন্তর্ভুক্ত ছিল । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের (১৭৯৩) সময় মুকসুদপুর ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত। মুকসুদপুর থানাটি ১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দের পরবর্তী  পর্যায়ে এপাড় বঙ্গ তে প্রতিষ্ঠিত সীমিত কিছু থানা গুলোর একটি । (তথ্যসুত্র : ক্যালকাটা গেজেট পৃষ্ঠা নং-১৪৪৩ তারিখ- ১৫/৯/১৮৯৪) । ১৮০৭ সালে মুকসুদপুর থানা  যশোর থেকে ফরিদপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়।

সেসময় বর্তমান  গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর এলাকা ছিল বিশাল জলাভূমি এখানে নৌ-ডাকাতির প্রকোপ ছিল বেশী। এ অঞ্চলে আইন শৃংখলা ছিল খুবই দূর্বল।  এজন্য বাকেরগঞ্জ থেকে বিভাজিত হয়ে ১৮৫৪ সালে মাদারীপুর মহকুমা  প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৭২ সালে মাদারীপুর মহকুমায় গোপালগঞ্জ নামক নতুন একটি থানা গঠিত হয়। ১৮৭৩ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

জনশ্রুতি আছে যে,  বর্তমান মুকসুদপুর  উপজেলা সদর থেকে ৩ কি মিঃ পশ্চিমে কদমপুর  মৌজায় তৎকালীন নড়াইলের জমিদার বাবু রতন কুমার একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেন তার কাচারী বাড়ীতে । বৃটিশ রাজত্বে ১৯০৫ সালে বঙ্গ ভঙ্গ ও ১৯০৯ সালে বঙ্গ ভঙ্গ রদ হলে এপাড় বাংলার মানচিত্র ও প্রশাসনিক কাঠামোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। মুকসুদপুর থেকে আলাদা কাশিয়ানী যেটি ছিল এককালের একটি বিখ্যাত গ্রাম।  জমিদার রতন বাবু তার এই কাচারী বাড়ীর পুলিশ ক্যাম্পটিকে পূর্ণাংগ থানায় পরিণত করার জন্য কলকাতার লাট ভবন বা রাইটার্স বিল্ডিং এর উচ্চ পদস্থ রাজ কর্মচারী জনাব মোকসেদ আলী সাহেবের সার্বিক সহযোগিতা পান । এর স্বীকৃতি স্বরুপ জমিদার রতন কুমার কদমপুর পুলিশ ক্যাম্পকে মোকসেদপুর থানা নামকরণ করেন । যার বিবর্তিত রুপ মুকসুদপুর থানা।  ১৯০৯ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। গোপালগঞ্জ এবং কোটালীপাড়া থানার সঙ্গে ফরিদপুর মহকুমার মুকসুদপুর থানাকে গোপালগঞ্জ মহকুমার সাথে যুক্ত করা হয়। গোপালগঞ্জ মহকুমার মুকসুদপুর থানা ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই  প্রতিষ্ঠা হয়। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুকসুদপুর থানার কার্যক্রম শুরু হয়।

উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন পাক ভারত উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রমেশ চন্দ্র মজুমদার। শিক্ষাবিদ ও বাঙালি ঐতিহাসিক। তিনি ১৮৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর খন্দরপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে রমেশচন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন এবং ১৯৪২ সাল পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ভারতীয় বিদ্যাভবন সিরিজের ১১টি খন্ডে রচিত history and culture of the indian people ছিল মজুমদারের এক গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি। ৯২ বৎসর কর্মময় জীবন শেষে রমেশচন্দ্র মজুমদারের ১৯৮০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয়।

এছাড়া উপজেলার নগর সুন্দরদী গ্রামে ১৮৮৭ জন্ম গ্রহণ করেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, সমাজসেবক ও সাংবাদিক মৌলভী আবদুল হাকিম। বাংলার অশিক্ষিত মুসলমান সমাজকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলার জন্য তিনি নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। কলকাতার হানাফী, মুসলেম, হিতৈশী, ইসলাম দর্শন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৩০ সালে অভিভক্ত বাংলার মুসলিম সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রচিত প্রন্থ পল্লী সংস্কার, বিষাদ লহরী, মিলন, এসকে গোলজার, আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ, প্রতিশোধন, প্রতিদান প্রভৃতি। ১৯৫৫ সালে তিনি নিজ গ্রামে ইন্তেকাল করেন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের মিছিলে ছাত্র জনতার উপর পুলিশের গুলির প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি এ উপজেলায় শোক মিছিল ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৬ সালে এ উপজেলায় আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে স্কুল ছাত্র মহানন্দ শহীদ হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি বিমান থেকে গুলিবর্ষণ করলে বানিয়ারচরে ৫ জন লোক আহত হয় এবং একটি লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৯ আগস্ট মুকসুদপুর থানায় মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত আক্রমণে পুলিশ ও রাজাকারসহ ৮৪ জন নিহত হয়। ১২ অক্টোবর বামনডাঙ্গা বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের লড়াইয়ে ২২ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। এছাড়াও ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিগনগর ব্রিজের নিকট মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের লড়াইয়ে ৩০ জন পাকসেনা ও ১০ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ (দিগনগর ও বাগাতি গ্রাম)।

বিখ্যাত ব্যক্তি

'''ফারুক খান''' (জন্ম: ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫১) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সাবেক বাণিজ্য ও শিল্প সম্পাদক।

শাকিব খান

শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯) হলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। শাকিব খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচিত্রের কিং খান নামে পরিচিত ৷ তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার সহ বিভিন্ন বেসরকারি সম্মাননা পেয়েছেন ৷ তার অভিনয়ের দহ্মতায় তিনি বাংলাদেশ ছাডিয়েও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য প্রদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ৷

রমেশ চন্দ্র মজুমদার।

মৌলভী আবদুল হাকিম।

ওয়াজেদ মুন্সি।

সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস। (লেখক)

শিক্ষা

এখানে শিক্ষার গড় হার ৪৭.১%; পুরুষ ৫১.৪%, মহিলা ৪২.৬%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০০, কেজি স্কুল ৮, মাদ্রাসা ১৮। ৪টি কলেজের মধ্য ১টি সরকারি যা হচ্ছে," সরকারি মুকসুদপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ"। কলেজটি ১৯৭২ সালে স্থাপিত। ৪৩ টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্য ১টি সরকারি- সাবের মিয়া জসীম উদ্দীন (এস.জে) উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলটি ১৯২৮ সালে স্থাপিত। ৯০ বছর পদার্পণের পর স্কুলটি জাতীয়করণ হল অত্র সাল (২০১৮) থেকে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

১. মুকসুদপুর সরকারি কলেজ ২. উজানী বি.কে.বি ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয় ৩. বঙ্গরত্ন ডিগ্রি কলেজ ৪. কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয় ৫. পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় ৬. এস.জে উচ্চ বিদ্যালয় ৭. গোহালা টি. সি. এ. এল উচ্চ বিদ্যালয় ৮. জে. কে. এম. বি. মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয় ( জলিরপাড়) ৯. ইস্ট লখন্ডা জিরাতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়( জিরাতলী) ১০.১১৩ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়( জিরাতলী)

নদনদী

মুকসুদপুর উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ), মাদারীপুর বিলরুট নদী এবং দিগনার নদী।[3][4]

অর্থনৈতীক ও জীবন-যাপন

এই স্থানের জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি-৬৩%, অকৃষি শ্রমিক-২.১৪%, শিল্প-০.৫৩%, ব্যবসা-১৩.০৫%, পরিবহন ও যোগাযোগ-১.২১%, চাকরি-৮.৯%, নির্মাণ-২.৪%, ধর্মীয় সেবা-০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স-০.৭% এবং অন্যান্য-৭.৮৫%।

কৃষিভূমির মালিকানাসহ ভূমিমালিক-৬৮.২৭%, ভূমিহীন-৩১.৭৩%। (শহরে ৫৬.৭১% এবং গ্রামে ৬৯.০৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।)

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, সরিষা, ডাল, আখ, গম, পান, পিঁয়াজ, মিষ্টি আলু, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, চীনা, নীল, তিল, তিসি, মটর, ছোলা।

প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, তাল, পেয়ারা, লেবু, লিচু।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৬ টি, গবাদিপশুরগবাদিপশু খামার- ৪৫ টি, হাঁস-মুরগির খামার-৯৭ টি, চিংড়ির ঘের -২০ টি, হ্যাচারি -২ টি, নার্সারি -১১টি।

যোগাযোগঃ পাকারাস্তা ১৩২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫১০ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

আরও আছে শিল্প ও কলকারখানা জুটমিল, আটামিল, স’মিল, রাইসমিল, তেলমিল, কটনমিল, আইস ফ্যাক্টরি, ওয়েল্ডিং কারখানা।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প -৬৬টি, মৃৎশিল্প -১০২টি, লৌহশিল্প -২৪৮ টি, সূচিশিল্প -৮২৫ টি, বাঁশের কাজ -২৭৫ টি, কাঠের কাজ- ৯০৭ টি।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩৮ টি, মেলা ৭টি।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পাট, পিঁয়াজ, তালের গুড়, গম, মিষ্টি আলু।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৪.৬১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ এ উপজেলার চান্দার বিল এলাকায় পীট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৮৯%, ট্যাপ ০.২৬%, পুকুর ১.৭২% এবং অন্যান্য ৩.১৩%। এ উপজেলার ৮০% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩৭.৭৭% (গ্রামে ৩৬.২৯% এবং শহরে ৫৯.৫২%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.৫০% (গ্রামে ৫৪.৮৩% এবং শহরে ৩৪.০৯%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৮.৭৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১৩, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ১।

এছাড়া আছে এনজিও ব্র্যাক, প্রশিকা, কারিতাস, আশা, ওয়ার্ল্ড ভিশন।

বিবিধ

  • বিখ্যাত মিষ্টি- ১. লক্ষী নারায়ন মিষ্টান্ন ভান্ডার ২. সত্য নারায়ন মিষ্টান্ন ভান্ডার ৩. ঘোস মিষ্টান্ন ভান্ডার

ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মুকসুদপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "মুকসুদপুর উপজেলা"muksudpur.gopalganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  4. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.