টুঙ্গিপাড়া উপজেলা

টুংগীপাড়া উপজেলা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

টুংগীপাড়া
উপজেলা
টুংগীপাড়া
বাংলাদেশে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৩′৪৯″ উত্তর ৮৯°৫২′৫৪″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাগোপালগঞ্জ জেলা
আয়তন
  মোট১২৭.২৫ কিমি (৪৯.১৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট৯৯,৭০৫
সাক্ষরতার হার
  মোট৫৩%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৮১০০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৩৫ ৯১
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

আয়তন ১২৭.২৫ বর্গ কিলোমিটার। টুংগীপাড়া উপজেলার উত্তরে রয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা সদর, দক্ষিণে ও পশ্চিমে মধুমতি নদী

প্রশাসনিক এলাকা

পৌরসভা ১টিঃ

  • টুংগীপাড়া পৌরসভা

ইউনিয়ন ৫টিঃ

ইতিহাস

নামকরণ

শোনা যায় পারস্য এলাকা থেকে আগত কতিপয় মুসলিম সাধক অত্র এলাকার প্লাবিত অঞ্চলে টং বেঁধে বসবাস করতে থাকেন এবং কালক্রমে ঐ টং থেকেই নাম হয় টুংগীপাড়া।

মুক্তিযুদ্ধে টুংগীপাড়া

১৭ মার্চে পাটগাতি বাজারে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ধানমন্ডি ৩২ থেকে শেখ জামাল পালিয়ে গেলে তাকে খোঁজ করতে হানাদার বাহিনী ১৯ মে ১৯৭১ তারিখে বঙ্গবন্ধুর বাড়ীতে চলে আসে। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ঐ দিন হানাদার বাহিনী নির্মম ভাবে এই গ্রামের ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করে। ভারতের বাগুন্ডিয়া ক্যাম্প থেকে মূলত টুংগীপাড়ার অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন ও অস্ত্র নিয়েছিলেন। টুংগীপাড়ায় বড় ধরনের কোন যুদ্ধ হয়নি। কারণ সে সময় এ অঞ্চল ছিল দুর্গম। এ কারণে হানাদার বাহিনী নদী দিয়ে গানবোট নিয়ে টহল দিত। তাই এ অঞ্চলের যোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছে।[1]

অর্থনীতি

এলাকার মানুষের প্রধান উপজীবিকা কৃষি। তবে চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীর রয়েছে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

নদনদী

টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় তিনটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে ঘাঘর নদী, মধুমতি নদী, দাড়ির গাঙ নদী, কাটাখাল নদী এবং শালদহ নদী[2][3]

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

  • বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্স,
  • শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্ক,
  • বর্নির বাওড়,
  • মধুমতি নদীর উপর পাটগাতি সেতু,
  • মধুমতি নদী
  • [বাঘিয়া বিল]
  • বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়ি
  • গওহরডাংগা মাদরাসা।

বিবিধ

তথ্যসূত্র

  1. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে, additional text
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.