শেখ রাসেল

শেখ রাসেল (অক্টোবর ১৮, ১৯৬৪ – আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।[1] ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব হত্যার সময় সপরিবারে তাকেও হত্যা করা হয়।

শেখ রাসেল
শেখ রাসেল
জন্ম
শেখ রাসেল

(১৯৬৪-১০-১৮)১৮ অক্টোবর ১৯৬৪
বঙ্গবন্ধু ভবন, ধানমন্ডি, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৫ আগস্ট ১৯৭৫(1975-08-15) (বয়স ১০)
ধানমন্ডি, ঢাকা
মৃত্যুর কারণহত্যা
জাতীয়তাবাংলাদেশি
নাগরিকত্ববাংলাদেশি
যেখানের শিক্ষার্থীইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ[1]
পরিচিতির কারণশেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র
আদি নিবাসগোপালগঞ্জ
পিতা-মাতা
আত্মীয়শেখ হাসিনা
শেখ কামাল
শেখ জামাল
শেখ রেহানা[1]

প্রাথমিক জীবন

শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[1][2] পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শেখ রেহানা[1] শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।[1]

হত্যাকাণ্ড

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব, তার পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়।[3][4] শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যাক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, "আমি মায়ের কাছে যাব"।[5] পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন "আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দিন"।[6]

স্মৃতিচিহ্ন

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র

শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি।[7]

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ।

১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রিয়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বন্ধবন্ধুর আদর্শ ধারন করে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।

তথ্যসূত্র

  1. "শেখ রাসেলের জন্মদিন"। ishwardi.com। ২০১৩-১০-১৮। ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০২
  2. "শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ"। alltimenews24.com। ২০১৩-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০৩
  3. Rashid, Harun-or। "Mujib, (Bangabandhu) Sheikh Mujibur" (HTML)Banglapedia। Asiatic Society of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৭-০৬
  4. Frank, Katherine (২০০২)। Indira: The Life of Indira Nehru Gandhi। USA: Houghton Mifflin। পৃষ্ঠা 388। আইএসবিএন 0-395-73097-X।
  5. "শেখ রাসেলের জন্মদিন"। dailyjanakantha.com। ২০১২-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০৩
  6. "১৫ই আগষ্ট যারা নিহত হয়েছিলেন"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। নভেম্বর ১৯, ২০১৭। নভেম্বর ১৯, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
  7. রাসেলের উৎসব, কালের কণ্ঠ

গ্রন্থসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.